মধ্যযুগের ইউরোপের অদ্ভুত সব রীতি নীতি

মধ্যযুগের ইউরোপে আদালতে শুধু মানুষ নয় পশুদেরকেও বিচার করা হতো। এটা শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি। এডমন্ড পি. ইভান্সের “দ্য ক্রিমিনাল প্রসিকিউশন অ্যান্ড ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস” বইতে লেখক লিখেছেন কিভাবে, অর্ধ সহস্রাব্দেরও কম আগে, প্রাণীদের বিচার করা হয়েছিল, উপহাস করা হয়েছিল, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং নির্বাসিত করা হয়েছিল। বেশ কিছু নথিপত্র ঘাটাঘাটি করে দেখা যায় কমপক্ষে ৮৫ টি প্রাণীর বিচার করা হয়েছিলো মধ্যযুগের ইউরোপে।

0 Comments

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা : প্রচলিত কি উদ্ভট থিওরি

জার্মানির হ্যামিলন শহরে ইঁদুরের আক্রমণ এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল য়ে তা একপ্রকার মহামারি আকার ধারন করেছিল। আর সেই সময়ে সেই শহরে হাজির হয় হরেক রঙের পোশাক গায়ের এক বাঁশিওয়ালা। শহরের মেয়র তাকে প্রস্তাব দেয় যদি সে শহর থেকে সকল ইঁদুর তাড়াতে পারে তাহলে তাকে ১০০০ স্বর্ণমুদ্রা দেওয়া হবে।

0 Comments

উমোজা : পুরুষবিহীন এক আফ্রিকান গ্রাম

উমোজা আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার সাম্বুরু কাউন্টির একটি গ্রাম। রাজধানী নাইরোরি থেকে ৬ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম। আফ্রিকার অন্যান্য ৮/১০ টি উপজাতিদের গ্রামের মতোই উমোজা গ্রামের পরিবেশ; গ্রামের আশেপাশে আছে তৃণভূমি, আর বসতবাড়িগুলো কুঁড়েঘরের আর গ্রামটি পরিচালিত হয় স্থানীয় সমপ্রদায়ের নিয়মানুযায়ী। তবে অন্যান্য আফ্রিকান গ্রাম গুলোর থেকে উমোজা গ্রামের ব্যতিক্রম দিক হচ্ছে ‘এই গ্রামে পুরুষ নিষিদ্ধ!’। এখানো কোনো পুরুষ বাস করতে পারে না। তবে এর মানে এই না যে সেখানে কোনো পুরুষই প্রবেশ করার অনুমতি নেই!

0 Comments

কিছু বিখ্যাত পেইন্টিং এর পেছনের গল্প

পেইন্টিং টির নাম ‘Flood Scene’, ১৮ শতাব্দীতে Joseph-Désiré Court নামের এক ফরাসি নারী চিত্রশিল্পী এঁকেছিলেন। ছবিটি মূলত আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্থের কাহিনি নোয়া বা নূহ (আঃ) এর মহা প্রলয়ের ঘটনার ছায়া অবলম্বনে তৈরি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুরুষটি তার বৃদ্ধ বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, নিজের সন্তান আর স্ত্রীর জীবনকে উপেক্ষা করে। আর ছবিটির মা চেষ্টা করছেন নিজের সন্তান কে বাঁচাতে। ছবির বৃদ্ধ প্রতিনিধিত্ব করছে অতীতকে, পুরুষটি জীবনকে, মা প্রতিনিধিত্ব করছে বর্তমান কে, আর শিশুটি ভবিষ্যৎ কে।

0 Comments

রেনেসাঁস এর শুরু ইতালিতে কেনো হয়েছিল?

রেনেসাঁস সৃষ্টির পেছনে ইতিহাসবিদরা যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন সেটি অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান। গ্রীক কে বলা হয় ইউরোপের সংস্কৃতির আদি পিতা। ১৪৫৩ সালে কনস্টানিপল অটোমান শাসক রা দখল করে নিলে গ্রীক পন্ডিতরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে থাকেন। এর আগে থেকেই তারা সেই জায়গা থেকে পালাতে শুরু করেন। এই পন্ডিত লোকগুলো বিশেষ করে ইউরোপের ইতালিতে আশ্রয় নেন। সেই সাথে তারা তাদের সাথে নিয়ে যান হাজার বছরের পুরনো দার্শনিকদের মহামূল্যবান গ্রন্থগুলো।

0 Comments

৬ টি অদ্ভুত ধর্মীয় আচার ও বিশ্বাস

সাধারণত শকুন দিয়ে মৃতদেহ খাওয়ানো পবিত্র বলে মনে করা হয়। তিব্বতিরা শকুনদেরকে চেনে ‘ডাকিনিস’ হিসেবে। তিব্বতীয় মতে 'ডাকিনিস'রা হলো দেবদূত। ডাকিনিসের অর্থ হচ্ছে আকাশের নৃত্যশিল্পী। তিব্বতীয়দের বিশ্বাস ডাকিনীরা মৃতের আত্মাকে স্বর্গে নিয়ে যায়। এটা হচ্ছে শান্তিময় এক স্থান, যেখানে আত্মাদেরকে পুনর্জন্মের পূর্ব পর্যন্ত রাখা হয়। এছাড়া শকুনদেরকে মৃতদেহ ভক্ষণ করতে দেয়া হলে মৃতের পুণ্য হয় বলে মনে করে সবাই, এমনকি মৃতের স্বজনরাও।

Comments Off on ৬ টি অদ্ভুত ধর্মীয় আচার ও বিশ্বাস

১৯ শতকের লাল চুল এবং অপরাধের ভুল ধারণা

১৯ শতক পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ছিলো লাল চুল অপরাধমূলক আচরণের সিম্বল বা চিহ্ন। যাদের মাথার চুল লাল তাদের অপরাধ করার বা অপরাধী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ১৯ শতক পর্যন্ত এমনই কুসংস্কার বংশপরম্পরায় লালন-পালন করে এসেছে সাধারণ মানুষজন।

0 Comments

অ্যাডোনিস: গ্রীক মিথলজির সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ

অ্যাডোনিস গ্রীক মিথলজির সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ, যার সৌন্দর্যে মজেছিলেন স্বয়ং গ্রীক দেবী আফ্রিদি। তবে অ্যাডোনিস ও দেবী আফ্রোদিতির প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, বন্য জন্তুর আক্রমনে প্রেমিক অ্যাডোনিস কে হারিয়ে এক দীর্ঘকালীন বিষাদে ডুবে গিয়েছিলেন দেবী আফ্রোদিতি।

2 Comments

রদ্রিগো ডি ডেরেজ: তামাক সেবনের অপরাধে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন

ক্রিস্টোফার কলম্বাসের অভিযাত্রীদের জাহাজ স্পেনের সেভিলার আয়ামন্টে বন্দরে পৌঁছালে, জেরেজ জনসমক্ষে ধূমপান করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাধারণ মানষজন তার নাক ও মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখে ভেবে বসেছিলো শয়তান হয়তো মানুষের রূপে পুনর্জন্ম নিয়েছে।

0 Comments

সেপ্পুকু বা হারাকিরি: জাপানি সংস্কৃতিতে অনুমোদিত আত্মহত্যা

সেপ্পুকু বা হারা-কিরি অর্থ হল পেট কেটে ফেলা। হ্যাঁ, এই রীতিতে নিজেই নিজের পেট কেটে মৃত্যুবরণ করে আত্মহত্যাকারী।

0 Comments

End of content

No more pages to load