মধ্যযুগের কিছু অসমাপ্ত রহস্য

১৫১৮ সালের জুলাই মাসে লেডি ট্রফিয়া (বা ফ্রাউ ট্রফিয়া) নামে একজন মহিলা স্ট্রাসবার্গের (তখন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য, আজকের আধুনিক ফ্রান্স) একটি ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ উম্মাদের মতো নাচতে শুরু করেন। তার নাচ দেখে অনেক দর্শক জমে যায়, সাথে তার নাচের ক্ষমতার প্রশংসাসূচক হিসেবে হাত তালিও দিতে শুরু করেছিলেন।

0 Comments

ইতিহাসের সবচেয়ে অদ্ভুত ৩ টি রহস্যময় ঘটনা; যা কখনো সমাধান হয়নি

রহস্যময় এই ব্যক্তি ১৭০৩ সালে বাস্তিল দুর্গে মারা যান। তার মৃত্যুর পর বছরের পর বছর ধরে তার পরিচয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি হতে থাকে। গুজব ছিলো বন্দী লোকটির সাথে ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের সম্পর্ক ছিল। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার সেই কারাগারের বন্দীদের প্রশ্ন করেছিলেন; তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরণো কয়েদিরা দাবি করেছিলেন বন্দী লোকটি রাজা লুইয়ের অবৈধ সৎ ভাই।

0 Comments

মারি অঁতোয়ানেত সিন্ড্রোম: যে রোগে রাতারাতি চুলের রঙ সাদা হয়ে যায়

এই বিরল ও অদ্ভুতুরে রোগটির নামকরণ করা হয়েছে ফরাসি রাণী মারি অঁতোয়ানেতের নামানুসারে। রাণীর চুল অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তার ফলে রাতারাতি সাদা রঙে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ইতিহাস গভেষকরাও এই হঠাৎ পরীবর্তের জন্য চরম মানসিক ধাক্কা, শোক এবং যন্ত্রণাকেই দায়ী করেন।

0 Comments

দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক: ফ্রান্সের ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় ব্যক্তি

১৬৮০ এর দশকের কথা ফ্রান্সের সাধারণ মানুষের মধ্যে কানাঘুষো হতে থাকে একজন রহস্যময় বন্দী সম্পর্কে। ফ্রান্সের রাজা লুই চতুর্দশের আদেশে একজন বেনামী লোককে আটক করে বাস্তিল দুর্গে বন্দী করে রাখা হয়েছে। লোকটির আসল পরিচয় কেউ জানে না; কারণ লোকটির মুখ ছিলো লোহার মুখোশে বন্দী। তাকে নাকি জোর জবরদস্তি করেই সেই লোহার মুখোশ পড়তে বাধ্য করা হয়েছে।

0 Comments

জ্যাক দ্য রিপার: মানব ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় এক সিরিয়াল কিলার

জ্যাক দ্য রিপার যে সময়টায় খুন গুলো করেছিলেন তখন ব্রিটেনে প্রচুর আইরিশ অভিবাসী ও পূর্ব ইউরোপ থেকে বহু ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রবেশ করতে শুরু করে। তখন আজকের দিনের মতো অভিবাসী প্রবেশের ব্যাপারে এতো নিয়ম ও কড়াকড়ি আইন ছিলো না।

0 Comments

তারারে: পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত মানুষ; যিনি জীবন্ত কুকুর, বিড়াল এমনকি বাচ্চা শিশু খেয়েছিলেন

তারারের পরিবার ছিলো মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। তাদের পক্ষে তার এই বিশাল পরিমান খাদ্যের যোগান দেওয়া ছিলো অসম্ভব। আর তাই পেটের ক্ষুধার দায়ে ঘর ছাড়েন তারারে। পেটের ক্ষুধার জন্য তিনি রাস্তায় খাবার ভিক্ষা করতে শুরু করেন, কখনওবা ক্ষুধার জ্বালায় ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া মানুষের উৎচিষ্ঠ ও পচা খাবারগুলোই খুঁজে খেতে শুরু করেন। বেশ কিছুকাল এভাবে চলার পর তারারে যোগ দেন একটি সার্কাস পার্টিতে। এই সার্কাস দলটি ছিলো পকেট মারদের। তারা সাধারণ মানুষদের সার্কাস দেখানোর ছলনায় তাদের পকেট মারতো।

0 Comments

মধ্যযুগের ফরাসী নারীরা স্বামীকে কাছে রাখতে বিষ প্রয়োগ করতেন

পুরুষ তার স্ত্রীর কাছে অর্থাৎ বাড়ি ফিরতে যত দেরি করবে, সে তত বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে। এবং, অবশেষে যখন তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন, তার স্ত্রী অজান্তেই তাকে সেই বিষের প্রতিষেধক দিতেন।

1 Comment

লেক নেট্রোনের অজানা কথা

২০১১ সাল, ব্রিটিশ ফোটোগ্রাফার নিক ব্র্যান্ড ছবি তুলছিলেন পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়ার সীমান্তের পাশে। এক সময় তিনি প্রবেশ করে তানজানিয়ার আরুশা অঞ্চলে। তিনি একটি হৃদ দেখতে পান যার নাম ন্যাট্রন হৃদ। এই হৃদটা অন্যান্য হৃদ থেকে সম্পুর্ন আলাদা। কিন্তু বিস্ময়ের এখানেই শেষ নই। কেননা, এর তীরের দিকে অনেক পশু পাখির মৃত দেহ এবং সেগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে মমি করে রাখা। মিশরীয়রা যেমন করে মমী করতো।

0 Comments

কাক যখন সিআইএ এজেন্ট!

এক সুউচ্চ টাওয়ারের উঁচু এক তলায় বিলাসবহুল এপার্টমেন্টে কয়েকজন ব্যক্তি বসে আছেন। গোপন মিটিং করছেন তারা। মিটিংয়ের বিষয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই মিটিং স্থলের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা। মিটিংটা শুরু হবার আগেও চারপাশ ভালোভাবে খুঁজে দেখা হয়েছিলো, কোনো প্রকার গোপন ডিভাইস লাগানো আছে কিনা রুমে।

0 Comments

ডগ’স সুইসাইড ব্রিজ: যে ব্রিজ থেকে কুকুর’রা আত্মহত্যা করে

ব্রিজটি স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটনে অবস্থিত। ব্রিজটির নাম ওভারটাউন, যা ১৯ শতকে নির্মিত হয়েছিল। কুকুরদের আত্মহত্যার কারনে এই ব্রিজ নিজের নাম হারিয়ে রূপ নিয়েছে ‘ডগ'স সুইসাইড ব্রিজ। গথিক শৈলীতে নির্মিত এই সেতুটির কাঠামো অসামান্য। সেতুর থেকে ৫০ ফুট নিচেই রয়েছে একটি পাথুরে গিরিখাত।

0 Comments

End of content

No more pages to load