প্রাচীন মিশরের মানুষের জীবন

প্রাচীণ যে কয়েকটি সভ্যতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয় তার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। অনেক ইতিহাসবিদ বা গভেষক তো মিশরীয় সভ্যতায় এতোটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে মন্তব্যই করে বসেছেন…

0 Comments

প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস উপন্যাস রিভিউ

এই উপন্যাসটি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস। বছর ২ আগেও যখন কেউ আমায় জিজ্ঞেস করতো, আমার প্রিয় উপন্যাস কোনটি? আমি কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই বলে দিতাম ‘প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস’।…

0 Comments

প্যান্ডোরার বাক্স: যে বাক্স পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে দুঃখ দূর্দশা

গ্রীক মিথলজি মতে প্যান্ডোরা হলেন পৃথিবীর প্রথম নারী। আর এই মিথের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় খ্রীস্টপূর্ব ৭০০ বছর আগের গ্রীক লেখক হেসিওদের লেখা থেকে।  অলিম্পাসের দেবতারা যখন টাইটানদের কাছ থেকে…

0 Comments

দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স: উপন্যাসের আড়ালে মাস্কেটিয়ার্সদের বাস্তব জীবন

দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসটি ১৭ শতকের ফ্রান্সের প্রেক্ষাপটে রচিত। উপন্যাসের শুরু হয় ফ্রান্সের গ্যাসকনের ডার্টানিয়ান নামক এক যুবক ছেলেকে দিয়ে। ডার্টানিয়ান গ্যাসকন ছেড়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার জীবনের উদ্দেশ্য সে রাজার রক্ষীবাহিনী মাস্কেটিয়ার্সের দলে যোগ দিয়ে নিজের জীবনের ক্যারিয়ার গড়বে। আর প্যারিসে এসেই বিভিন্ন ঘটনাবহুল দৃশ্যপটের মাধ্যমে তার বন্ধুত্ব হয় ফ্রান্সের রাজা লুই ত্রয়োদশ এর তিন অনুগত মাস্কেটিয়ার অ্যাথোস, পোর্থোস এবং অ্যারামিসের সাথে।

0 Comments

অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম: রূপকথার চরিত্র যখন অসুখ

১৮৬৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় লুইস ক্যারলের কালজয়ী ভিক্টোরিয়ান ক্লাসিক ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’। শিশুসাহিত্য হলেও এটি এতোটাই জনপ্রিয় হয় যে শিশুদের পাশাপাশাই তরুণ ও বৃদ্ধরাও এটি পছন্দ করতে শুরু করে। বইটির প্রধান চরিত্র অ্যালিসের কার্যকলাপ নিয়ে এমনি এক বিরল মানসিক ব্যাধি বা সিন্ড্রোম রয়েছে যার নামকরণ করা হয়েছে অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম নামে। অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম নাম ছাড়াও এটি এআইডব্লিউএস, টডস সিনড্রোম বা ডিসমেট্রোপসিয়া নামেও পরিচিত।

0 Comments

১৮ শতকের লন্ডন শহর: কেমন ছিলো শত বছর আগের লন্ডন শহর?

১৮ শতকের শুরু দিকে রাতের বেলায় লন্ডন শহরে তখনো আলো আসেনি। রাস্তাগুলো ছিলো পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন। ফলে চোর, পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারীদের উপদ্রব ছিলো ভয়াবহ রকমের। রাস্তাঘাটে বখাটে ছেলেদের উপদ্রব ও ছিলো। ফলে ভদ্র ঘরের মেয়েরা রাতের বেলা তো দূর তারা দিনের বেলাতেও রাস্তায় বের হওয়ার সাহস করতো না। রাস্তায় চলাচল করার চেয়ে লন্ডনের মানুষজন জলপথেই যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সকলেই নৌকায় যাতায়াত করতো। নৌকোগুলো তখন বিভিন্ন রঙে সুসজ্জিত থাকতো।

0 Comments

ইতিহাসের সবচেয়ে অদ্ভুত ৩ টি রহস্যময় ঘটনা; যা কখনো সমাধান হয়নি

রহস্যময় এই ব্যক্তি ১৭০৩ সালে বাস্তিল দুর্গে মারা যান। তার মৃত্যুর পর বছরের পর বছর ধরে তার পরিচয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি হতে থাকে। গুজব ছিলো বন্দী লোকটির সাথে ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের সম্পর্ক ছিল। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার সেই কারাগারের বন্দীদের প্রশ্ন করেছিলেন; তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরণো কয়েদিরা দাবি করেছিলেন বন্দী লোকটি রাজা লুইয়ের অবৈধ সৎ ভাই।

0 Comments

মধ্যযুগে মানুষ নির্যাতনের কিছু ভয়াবহ পদ্ধতি

ব্রেকিং হুইলে একটি বিশাল কাঠের চাকা থাকতো। সেই চাকায় অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে বেঁধে মারধর করা হতো। এই চাকাটিকে ঘুরানো যেতো তাই চাকার নিচে আগুন জ্বালিয়ে তা ঘুরানো হতো। ফলে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যাক্তির শরীর আগুনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু মুহূর্তের জন্য পুড়ে যেতো।

0 Comments

কিছু বিখ্যাত পেইন্টিং এর পেছনের গল্প

পেইন্টিং টির নাম ‘Flood Scene’, ১৮ শতাব্দীতে Joseph-Désiré Court নামের এক ফরাসি নারী চিত্রশিল্পী এঁকেছিলেন। ছবিটি মূলত আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্থের কাহিনি নোয়া বা নূহ (আঃ) এর মহা প্রলয়ের ঘটনার ছায়া অবলম্বনে তৈরি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুরুষটি তার বৃদ্ধ বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, নিজের সন্তান আর স্ত্রীর জীবনকে উপেক্ষা করে। আর ছবিটির মা চেষ্টা করছেন নিজের সন্তান কে বাঁচাতে। ছবির বৃদ্ধ প্রতিনিধিত্ব করছে অতীতকে, পুরুষটি জীবনকে, মা প্রতিনিধিত্ব করছে বর্তমান কে, আর শিশুটি ভবিষ্যৎ কে।

0 Comments

মেটামরফোসিস: যে গল্পে ফ্রানৎস কাফকা পুঁজিবাদী সমাজের নিষ্ঠুরতা ফুটিয়ে তুলেছেন

গল্পের প্রধান চরিত্র গ্রেগর সামসা নামক এক যুবক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার দেহ মানুকের আকৃতি থেকে পরিবর্তিত হয়ে একটা বিশাল বড় কীট বা পতঙ্গে আকৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে অর্থাৎ মেটামরফোজড হয়ে গেছে।

0 Comments

রেনেসাঁস এর শুরু ইতালিতে কেনো হয়েছিল?

রেনেসাঁস সৃষ্টির পেছনে ইতিহাসবিদরা যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন সেটি অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান। গ্রীক কে বলা হয় ইউরোপের সংস্কৃতির আদি পিতা। ১৪৫৩ সালে কনস্টানিপল অটোমান শাসক রা দখল করে নিলে গ্রীক পন্ডিতরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে থাকেন। এর আগে থেকেই তারা সেই জায়গা থেকে পালাতে শুরু করেন। এই পন্ডিত লোকগুলো বিশেষ করে ইউরোপের ইতালিতে আশ্রয় নেন। সেই সাথে তারা তাদের সাথে নিয়ে যান হাজার বছরের পুরনো দার্শনিকদের মহামূল্যবান গ্রন্থগুলো।

0 Comments

আঙ্কেল টম’স কেবিন: যে উপন্যাস আমেরিকার ইতিহাস পরিবর্তন করে দিয়েছে

হ্যারিয়েটের লেখা আঙ্কেল টমস কেভিল কে মনে করা হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার ভিত্তি স্তম্ভ। বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হওয়ার প্রথম বছরেই বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বিক্রি হয় প্রায় ৩ লক্ষেরও অধিক কপি আর গ্রেট ব্রিটেনে তার সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। সে সময়ে কোনো বই এতো বিশাল সংখ্যক পরিমাণে বিক্রি ছিলো কেবলই কল্পনা। শুধুমাত্র বাইবেল বিক্রির সংখ্যাই এই উপন্যাসের কাছাকাছি ছিলো।

0 Comments

মারি অঁতোয়ানেত সিন্ড্রোম: যে রোগে রাতারাতি চুলের রঙ সাদা হয়ে যায়

এই বিরল ও অদ্ভুতুরে রোগটির নামকরণ করা হয়েছে ফরাসি রাণী মারি অঁতোয়ানেতের নামানুসারে। রাণীর চুল অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তার ফলে রাতারাতি সাদা রঙে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ইতিহাস গভেষকরাও এই হঠাৎ পরীবর্তের জন্য চরম মানসিক ধাক্কা, শোক এবং যন্ত্রণাকেই দায়ী করেন।

0 Comments

মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমি: স্রষ্টার প্রেমে মাতাল এক সুফি কবি

রুমি রচিত ‘মসনবী’ কে আজো ফার্সি ভাষার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বলে ভাবা হয়। মসনবী নিয়ে পারস্য দেশের গুণী-জ্ঞানীরা বলেন, আল্লাহ যদি আরবি ভাষায় কোরান প্ৰকাশ না করে ফার্সিতে করতেন, তবে মৌলানা জালালউদ্দীন রুমির ‘মসনবি’ কেতাবখানাকে কোরান নাম দিয়ে চালিয়ে দিতেন।

0 Comments