মিডিয়া : এক প্রতিশোধপরায়ণা জাদুকরী নারী

ইয়লকাস রাজ্যের রাজা ছিলেন ইসন। রাজা ইসনের একমাত্র ছেলে জেসন। রাজা ইসনের মৃত্যুর সময় তার পুত্র জেসনের বয়স ছিলো খুবই কম, রাজ্যের দায়িত্বভার নেওয়া ছোট্ট জেসনের পক্ষে সম্ভব না। আর তাই রাজা ইসন তার সৎ ছোটভাই পেলিয়াসকে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে যান। এবং বলে যান তার ছেলে জেসন যখন বড় ও দায়িত্বশীল একজন পুরুষ হয়ে উঠবে তখন যেনো তার ছেলেকে রাজ্যের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন।

0 Comments

Norwegian Wood (নরওয়েজিয়ান ওড) : যে উপন্যাস বিষন্নতার দিকে ঠেলে দেয়

সময়টা ১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকের। জাপানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের সময় ১৯ বছরের তরু ওয়াতানাবে টোকিওতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা নিয়ে পড়াশোনা করতে।

0 Comments

ওরুনৌকো: রাজকুমার থেকে ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছিলেন

উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয় আফ্রিকার এক দেশ যার নাম কোরামেন্টিন (বর্তমানে তা পরিচিত ঘানা নামে)। সেই কোরামেন্টাইনের এক রাজার নাতির নাম ওরুনৌকো। সেই রাজার বয়স প্রায় ১০০ এর অধিক। তার ছেলে ছিলো ৩২ জন, তাদের সকলেই যুদ্ধে মারা গেছেন। কারন আফ্রিকায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে তখন সবসময় যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকতো। 

0 Comments

উইলিয়াম শেক্সপিয়ার: অজপাড়াগাঁ থেকে সাহিত্য সম্রাট

জেফ্রি চসারের মৃত্যুর পর ইংরেজি সাহিত্যের জগতে আঁধার নেমে এসেছিলো। চসারের মৃত্যুর প্রায় ১৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও; ইংরেজি সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য…

0 Comments

দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স: উপন্যাসের আড়ালে মাস্কেটিয়ার্সদের বাস্তব জীবন

দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসটি ১৭ শতকের ফ্রান্সের প্রেক্ষাপটে রচিত। উপন্যাসের শুরু হয় ফ্রান্সের গ্যাসকনের ডার্টানিয়ান নামক এক যুবক ছেলেকে দিয়ে। ডার্টানিয়ান গ্যাসকন ছেড়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার জীবনের উদ্দেশ্য সে রাজার রক্ষীবাহিনী মাস্কেটিয়ার্সের দলে যোগ দিয়ে নিজের জীবনের ক্যারিয়ার গড়বে। আর প্যারিসে এসেই বিভিন্ন ঘটনাবহুল দৃশ্যপটের মাধ্যমে তার বন্ধুত্ব হয় ফ্রান্সের রাজা লুই ত্রয়োদশ এর তিন অনুগত মাস্কেটিয়ার অ্যাথোস, পোর্থোস এবং অ্যারামিসের সাথে।

0 Comments

অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম: রূপকথার চরিত্র যখন অসুখ

১৮৬৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় লুইস ক্যারলের কালজয়ী ভিক্টোরিয়ান ক্লাসিক ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’। শিশুসাহিত্য হলেও এটি এতোটাই জনপ্রিয় হয় যে শিশুদের পাশাপাশাই তরুণ ও বৃদ্ধরাও এটি পছন্দ করতে শুরু করে। বইটির প্রধান চরিত্র অ্যালিসের কার্যকলাপ নিয়ে এমনি এক বিরল মানসিক ব্যাধি বা সিন্ড্রোম রয়েছে যার নামকরণ করা হয়েছে অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম নামে। অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম নাম ছাড়াও এটি এআইডব্লিউএস, টডস সিনড্রোম বা ডিসমেট্রোপসিয়া নামেও পরিচিত।

0 Comments

মেটামরফোসিস: যে গল্পে ফ্রানৎস কাফকা পুঁজিবাদী সমাজের নিষ্ঠুরতা ফুটিয়ে তুলেছেন

গল্পের প্রধান চরিত্র গ্রেগর সামসা নামক এক যুবক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার দেহ মানুকের আকৃতি থেকে পরিবর্তিত হয়ে একটা বিশাল বড় কীট বা পতঙ্গে আকৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে অর্থাৎ মেটামরফোজড হয়ে গেছে।

0 Comments

আঙ্কেল টম’স কেবিন: যে উপন্যাস আমেরিকার ইতিহাস পরিবর্তন করে দিয়েছে

হ্যারিয়েটের লেখা আঙ্কেল টমস কেভিল কে মনে করা হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার ভিত্তি স্তম্ভ। বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হওয়ার প্রথম বছরেই বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বিক্রি হয় প্রায় ৩ লক্ষেরও অধিক কপি আর গ্রেট ব্রিটেনে তার সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। সে সময়ে কোনো বই এতো বিশাল সংখ্যক পরিমাণে বিক্রি ছিলো কেবলই কল্পনা। শুধুমাত্র বাইবেল বিক্রির সংখ্যাই এই উপন্যাসের কাছাকাছি ছিলো।

0 Comments

মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমি: স্রষ্টার প্রেমে মাতাল এক সুফি কবি

রুমি রচিত ‘মসনবী’ কে আজো ফার্সি ভাষার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বলে ভাবা হয়। মসনবী নিয়ে পারস্য দেশের গুণী-জ্ঞানীরা বলেন, আল্লাহ যদি আরবি ভাষায় কোরান প্ৰকাশ না করে ফার্সিতে করতেন, তবে মৌলানা জালালউদ্দীন রুমির ‘মসনবি’ কেতাবখানাকে কোরান নাম দিয়ে চালিয়ে দিতেন।

0 Comments

জেন অস্টিন: লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা এক সাহিত্য সম্রাজ্ঞী

ইংরেজি সাহিত্যে পুরুষদের থেকে নারীদের অবস্থা অনেকটাই পিছিয়ে থাকলেও জেন অস্টিন সেখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। জেন অস্টিন এর জীবন ও সাহিত্যকর্ম…

0 Comments

‘দ্য রোড নট টেকেন’ কবিতার পেছনের মর্মান্তিক গল্প

প্রিয় বন্ধু টমাসের সাথে অবসর সময়ে কবি রবার্ট ফ্রস্ট প্রায়ই ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলে ঘুরতে যেতেন। ঘুরাঘুরির ক্ষেত্রে টমাসের এক অদ্ভুত অভ্যেস ছিলো। ফ্রস্টের সাথে তিনি যে পথেই যেতেন তিনি আফসোস করতেন। আর বলতেন যদি অন্য পথ দিয়ে যেতেন তাহলে ফ্রস্ট ইংল্যান্ডের আরো আকর্ষণীয় জায়গাগুলো দেখতে পেতেন।

0 Comments

এডমন্ড স্পেনসার: তিনি কবিদের কবি

কবি শৈশবে শিক্ষালাভ করেছেন লন্ডনের মার্চেন্ট টেলার্স স্কুলে এবং কেম্ব্রিজের প্রেমব্রোক হলে। ১৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রমকে হল থেকেই তিনি ম্যাট্রিক পাস করন এবং ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে সেখান থেকেই তিনি এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তাকে দারিদ্র্যের মধ্যে অতিবাহিত করতে হয়। প্রেমব্রোক কলেজে ঝাড়ুদার ও চাকরের কাজ তাকে করতে হতো। বিনিময়ে পেতেন খাদ্য ও আশ্রয়।

0 Comments

বিউলফ: ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য

বেউলফ মহাকাব্য শুরু হয়েছে রাজা হ্রথগারের কাহিনি দিয়ে। তিনি তার স্বজাতীয়দের জন্য হেওরট নামে এক বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। এই প্রাসাদে তিনি, তার স্ত্রী ওলেথথিউ ও তার যোদ্ধারা গান গেয়ে ও আনন্দ করে সময় কাটাতেন। এই আওয়াজে গ্রেন্ডেল নামে এক ট্রোল-আকৃতির দৈত্য বিরক্ত হলো। সে ছিল বাইবেলেরই চরিত্র কেইনের বংশধর। সে প্রাসাদটিকে আক্রমণ করে হ্রথগারের ঘুমন্ত যোদ্ধাদের অনেককে হত্যা করে খেয়ে ফেলল। হ্রথগার ও তার অবশিষ্ট যোদ্ধারা গ্রেন্ডেলকে পরাজিত করতে না পেরে হতাশ হয়ে হেওরট ছেড়ে চলে গেলেন।

1 Comment

ক্রিস্টোফার মার্লো: পাদরি হওয়ার স্বপ্ন দেখে হয়েছিলেন ঘোরতর নাস্তিক

২৯ মে ১৫৯৩ সালে রিচার্ড বেইন্স একটি রিপোর্ট জমা দেন ক্রিস্টোফার মার্লো সম্পর্কে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিস্টোফার মার্লো শুধু নাস্তিকই নন! তিনি যেখানে যান সেখানেই মানুষকে নাস্তিক হতে প্ররোচিত করেন।

1 Comment