You are currently viewing রাজা ঈডিপাস: নিয়তি যার অভিশাপ

রাজা ঈডিপাস: নিয়তি যার অভিশাপ

পৃথিবীর অন্যতম ট্রাজিক নাট্যকার সফোক্লিসের কালজয়ী নাটক ‘ঈডিপাস’। নাটকের কাহিনি সম্পর্কে বলার আগে চলুন সফোক্লিস সম্পর্কে জানি।

সফোক্লিস

বিখ্যাত গ্রীক নাট্যকার সফোক্লিস জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৪৯৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এথেন্সের নিকটবর্তী কলোনাস নামের এক গ্রামে। সফোক্লিস এর বাবা ছিলেন একজন অস্ত্র নির্মাতা সাথে সেই গ্রামের একজন জনপ্রতিনিধি। সে হিসেবে বলা যায় সফোক্লিস ছিলেন একজন ধনী ঘরেরই সন্তান।

সফোক্লিস Image credit: De Agostini Picture Library

প্রাচীন গ্রীসের অন্যান্য অভিজাত পরিবারের মতোই সফোক্লিস কাব্য, সঙ্গীত, নৃত্যকলা ও শরীরচর্চায় বিশেষ বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। অবশ্য পরবর্তীতে তিনি সামরিক ও কূটনীতিক দিকেও যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন।

যুবক থাকাকালীন সময়েই সফোক্লিস সঙ্গীত ও নৃত্যকলায় তার দক্ষতা দেখিয়েছিেন। এথেন্স সেস সময়ে নৌযুদ্ধে পার্সিয়ানদের হারিয়ে জয়ী হয় তখন তিনি একটি কোরাস সঙ্গীত রচনা করে সারা ফেলে দিয়েছিলেন। আর এই কারনে তিনি এথেন্সের সরকারি প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে যুক্ত নিযুক্ত হন। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকাকালীন সফোক্লিস গ্ীক শিল্পকলায় যথেষ্ট প্রভাব রাখেন। নাটক লেখার পাশাপাশি সফোক্লিস ছিলেন একজন অসাধারণ অভিনেতা।

নাটক রচনায় সফোক্লিস সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন গ্রীক ট্রাজেডি নাটক রচয়িতা এস্কাইলাসের দ্বারা। একটা সময়ে তিনি এস্কাইলাস কে ও অতিক্রম করে যান। ৪৬৮ খৃস্টপূর্বাব্দে এথেন্সের নাট্যকলা প্রতিযোগিতায় ট্রাজেডি নাটক রচনা করে তিনি প্রথম পুরষ্কার জিতে নেন।

খৃস্টপূর্বাব্দের ৫ম শতাব্দী ছিলো গ্রীক ড্রামার সোনালী অধ্যায়। ট্রাজেডি নাটক রচয়িতা হিসেবে সফোক্লিস ছিলেন সেকালে একেবারে তুঙ্গে। সফোক্লিস কে বলা হয় গ্রীক ট্রাজেডি নাটকের সার্থক স্রষ্টা।

সফোক্লিসের বিখ্যাত নাট্যকর্মের মধ্যে অ্যজ্যাক্স, এন্টিগোনে, ইলেক্ট্রা, ঈডিপাস দি কিং, ঈডিপাস অ্যাট কলোনাস অন্যতম। জীবদ্দশায় সফোক্লিস ১২০ টির মতে নাটক রচনা করেছিলেন।

এথেন্সের অভিজাত মহল থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক সকলেই সফোক্লিসের নাট্যকর্মের অনুরাগী দর্শক ছিলেন।

৪০৫ খৃস্টপূর্বাব্দে এই মহান গ্রীক নাট্যকার পৃথিবী ত্যাগ করেন।

রাজা ঈডিপাস

ল্যাবডেকাসের পুত্র লেয়াস থিবীসের রাজা। লেয়াসের স্ত্রীর নাম জোকাস্টা। বহুদিন ধরে সন্তান কামনা করছিলেন লেয়াস, কোন সন্তান না হওয়ায় এর মূল কারণ জানার জন্য তিনি গোপনে ডেলফির মন্দিরে গেলেন। দৈববানী এলো, তার এই সন্তান না হওয়াটা দুর্ভাগ্য কিংবা অভিশাপ নয় , এটাকে আশীর্বাদ বলে গ্রহণ করা উচিত। কারণ রানী জোকাস্টার সন্তান একদিন তাকেই হত্যা করবে। রাজা লেয়াস এ কথা জোকাস্টার কাছে প্রকাশ না করে জোকাস্টার কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলেন।

জোকাস্টা নানা ছলচাতুরীর দ্বারা রাজাকে প্রভাবিত করে গর্ভে সন্তান ধারণ করলেন। নয় মাস পর রানী সন্তান জন্ম দিলেন। রাজা লেয়াস নবজাত শিশুকে রানীর কোল হতে ছিনিয়ে নিলেন এবং একজন মেষপালকের হাতে তুলে দিলেন পর্বতের নির্জন কোন স্থানে নিয়ে তাকে হত্যা করার জন্য। নবজাতক শিশুর পা দুটো লোহার বেড়ী দ্বারা আটকে দেয়া হল যাতে সে গড়াগড়ি দিয়ে অন্য কোথাও সরে যেতে না পারে । কিন্তু নিয়তির বিধান ছিল তার বিপরীত। প্রাণে বেঁচে রইল নবজাতক শিশু।

পাশের রাজ্য করিন্থের এক মেষপালক তাকে কুড়িয়ে পেয়ে তার নাম রাখল ঈডিপাস। কারণ লোহার বেড়ী পরানোর কারণে পা দুটো তার ফুলে গিয়েছিল। ঈডিপাস শব্দের অর্থ হচ্ছে ফুলে যাওয়া পদযুগল। মেষ পালক তাকে নিয়ে এল করিন্থে।

সে সময় করিন্থের শাসক ছিলেন রাজা পলিবাস। রাজা পলিবাস ও তার রানী মেরোপীর কোন সন্তান ছিল না। তাই তারা নবজাত শিশুটিকে গ্রহণ করে নিজ সন্তানের মত লালন পালন করতে লাগলেন। একদিন করিন্থের এক যুবক ঈডিপাসকে উপহাস করে বলল, সে তার পিতা মাতার মত নয় দেখতে। ঈডিপাস মনে সন্দেহ নিয়ে গেল ডেলফির মন্দিরে। দৈববাণীর মাধ্যমে সঠিক উত্তর পেল না সে। তার বদলে তাকে জানানো হল, সে তার পিতাকে হত্যা করে নিজ মাতাকে বিবাহ করবে।

আরো পড়ুন:  কৃষক যখন সম্রাট: চীনের ইতিহাসে ক্ষমতার পালাবদল

হতাশা আর ব্যথা বেদনায় ভেঙ্গে পড়ল ঈডিপাস, এ অবস্থায় সে আর করিন্থে ফিরে গেল না। একা একা উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরতে ঘুরতে সে ডেলফি হতে বেশ দূরে কোসিস নামক স্থানের একটি তেমাথা পথের মোড়ে এল। সে সময় একজন বৃদ্ধ। রাজপুরুষ রথে আরোহণ করে যাচ্ছিলেন পরিচারক বর্গসহ। ঈডিপাসকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলা হল । কিন্তু ঈডিপাস মোটেই পথ থেকে সরে যাবেন না। শেষে রাজপুরুষ রথ চালনা করার নির্দেশ প্রদান করলেন। ধাবমান রথের চাকায় ঈডিপাসের পা থেতলে গেল, ঈডিপাস ক্রোধে দিশেহারা হয়ে রাজপুরুষ ও তার পরিচারকদের হত্যা করলেন। শুধু একজন অনুচর কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়ে থিবীসে এসে জানাল রাজা লেয়াস তার লোকজনসহ দস্যুদের হাতে নিহত হয়েছেন। দস্যুদলের কথাটা সে একটু বাড়িয়ে বলেছিল।

ঈডিপাস ঘুণাক্ষরেও জানতে পারল না যে, দৈববাণীর প্রথম অংশটুকু সে কার্যকর করে ফেলেছে এরই মাঝে, সে তার পিতাকে হত্যা করবে এটা সত্যি হল।

সে সময় থীবিসের জনগণ ‘স্ফিংস’ (দেহের উপরের অংশ নারী এবং নিচের অংশ সিংহের এমন দেহধারী) নামক এক দানবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। একাকী কোন পথচারীকে সামনে পেলে স্ফিংস একটি ধাঁধা জিজ্ঞেস করত। ধাঁধার জবাব না দিতে পারলে পথচারীকে সে হত্যা করতো।

রাজা লেয়াসকে হত্যা করার পর ঈডিপাস থিবীসের দিকে যেতে থাকে। পথিমধ্যে সে স্ফিংসের কবলে পড়ে। স্ফিংস তাকে জিজ্ঞেস করেঃ- বল দেখি , এমন কোন প্রাণী আছে পৃথিবীতে যে সকালে চার পায়ে হাঁটে,দুপুরে দু’পায়ে হাঁটে আর বিকেল বেলায় হাঁটে তিন পায়ে?
ঈডিপাস জবাব দিলেন, সে প্রাণী হচ্ছে মানুষ। শৈশবে হামাগুড়ি দেয়, যৌবনে দু’পায়ে হাঁটে আর বৃদ্ধকালে দু’পা আর একটি লাঠি এই তিন দ্বারা হাঁটে।

Credit: Wikimedia Commons

স্ফিংস তার জবাব শুনে পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়। কারণ এটাই ছিল তার নিয়তি। স্ফিংসের মৃত্যুতে নিশ্চিত ও কৃতজ্ঞ থিবীসের জনগণ ঈডিপাসকে তাদের রাজা হিসেবে বরণ করে নিল। ঈডিপাস থিবীসের রাজা হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়ে প্রচলিত দেশাচার অনুযায়ী রাজার বিধবা স্ত্রী জোকাস্টাকে বিয়ে করল। ঈডিপাস জানতেও পারল না যে এই জোকাস্টাই তার গর্ভধারিণী মাতা।

এরপর পার হয়ে গেল দীর্ঘ ১৫ টি বছর। দ্বিবীসের রাজ্যভার গ্রহণ করে ঈডিপাস যথেষ্ট যোগ্যতার পরিচয় প্রদান করেছে দেশ শাসনের ক্ষেত্রে, এ কারণে সে রাজ্যের সবার কাছে প্রিয়। আর রানী জোকাস্টাকে রানী হিসেবে পেয়েও সে তৃপ্ত। এরই মাঝে ঈডিপাস ও রানী জোকাস্টার চারটি ছেলেমেয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। দুই পুত্র একজনের নাম ইটিওক্লিস,অন্য জনের নাম পলিনিসেস। দু’বোনের একজনের নাম এন্টিগোনে , অন্যজনের নাম ইসমেনি। ইডিপাস ঘুণাক্ষরেও জানতে পারল না যে, সে তার নিজ মাতার শয্যাসঙ্গী হয়ে তার গর্ভে সন্তান উৎপাদন করেছে।

ঈডিপাস তখন রাজা হয়ে রাজ্য শাসন করছেন দীর্ঘদিন। হঠাৎই তার রাজ্যে শুরু হয় দুর্ভিক্ষ আর সাথে মহামারী। প্রজারা তার কাছে আসে এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে রাজার সাহায্য চাওয়ার জন্য। তারা রাজাকে বলছেন কোনো এক অদৃশ্য কারণে রাজ্যে ফসল উৎপন্ন হচ্ছে না, রমণীদের গর্ভে সন্তান আসছে না, প্লেগ মহামারিতে মানুষ মরছে অগণিত। এভাবে চলতে থাকলে রাজ্য তো গোরস্থান হয়ে যাবে।

রাজা ঈডিপাস প্রজাদের সেসব কথা শুনে ব্যাথিত হন। কোন কারণে তার রাজ্যে এমন মরক লেগেছে তা জানার জন্য সাথে সাথেই তার শ্যালক ও পরামর্শদাতা ক্রেয়নকে ডেলফির মন্দিরে পাঠান দৈববাণী জানার জন্য।

ক্রেয়ন ডেলফির মন্দির থেকে দৈববাণী নিয়ে ফেরত আসে এবং ঈডিপাস কে ক্রেয়ন সে দৈববাণী একান্তভাবে জানাতে চাইলে সে কথা প্রত্যাখান করে এবং তাকে সে কথা সবার সামনে বলতে নলে। ক্রেয়ন বলে এই রাজ্যের আগের রাজা লেয়াস কে যে হত্যা করেছে, সে এই রাজ্যেই অবস্থান করছে আর সে মহাপাপ লালন করছে। তার এই মহাপাপের জন্যই আজ রাজ্যের এই দুর্ভিক্ষ ও মহামারী।

আরো পড়ুন:  ওয়েটিং ফর গডো : শূণ্যতা ও অর্থহীন জীবনের অবিরাম অপেক্ষা

ঈডিপাস তারপর শুরু করেন তদন্ত কে খুন করেছে রাজা লেয়াস কে? এজন্য তিনি অন্ধ জ্যোতিষী টেরেসিয়াস কে ডেকে পাঠান। টেরেসিয়াস ঈডিপাস কে সত্যি জানতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু ঈডিোস নাছোর বান্দা, সে সত্য জেনেই ছাড়বে। টেরেসিয়াস ঈডিপাস কে বলে এই সত্যি প্রকাশ করলে ঈডিপাসেরই ক্ষতি হবে।

কিন্তু ঈডিপাস টেরেসিয়াস এর কথা পাত্তা না দিয়ে তাকে কঠোর ভাবে তিরস্কার ও হুমকি দিতে থাকেন, সাথে তাকে মৃত্যু ভয় ও দেখান।

টেরিসিয়াস তখন বাধ্য হয়ে বলেন, যে রাজা লেয়াস কে হত্যা করেছে সে লেয়াসেরই বিধবা স্ত্রী অর্থাৎ নিজের মাকেই বিয়ে করে এই রাজ্য শাসন করছে। এই রাজা ঈডিপাসই লেয়াসের খুনি। সেই রাজ্যের মহামারী ও দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী।

এসব শুনে ঈডিপাস ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেন। তিনি বলেন এসব কিছুই ক্রেয়নের ষড়যন্ত্র। ক্রেয়ন এই অন্ধ টেরেসিয়াস কে শিখিয়ে পড়িয়ে এসব আজগুবি কথা বলাচ্ছে যেনো তাকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে ক্রেয়ন নিজে সিংহাসনে বসতে পারে। এরপর শুরু হয় ক্রেয়ন ও ঈডিপাসের মধ্যে বাকবিতণ্ডা। ঈডিপাস সিদ্ধান্ত নেয় ক্রেয়নকে নির্বাসনে পাঠানোর।

রাণী জোকাস্টা ঈডিপাস কে শান্ত করার চেষ্টা করে। এবং বুঝায় সে রাজাকে খুন করতে পারেই না। কারণ রাজার পুত্রসন্তান কে রাজা অনেক বছর আগে পাহাড়ের পাদদেশে ফেলে রেখে হত্যা করেছে। আর রাজা খুন হয়েছিল দস্যুদের হাতে। এটা রাজ্যের সবাই জানে।

এসব কথা শুনে ঈডিপাস চমকে উঠে। কারণ এই রাজ্যে ঢোকার মুখেই সে একজন রাজপুরুষ সহ কয়েকজন পেয়াদাকে হত্যা কারেছিল।

ঈডিপাস তখন তার জন্মরহস্য জানার জন্য মারিয়া হশে উঠে। রাণী জোকাস্টা অনেক নিষেধ করে। এবং বলে বেশি সত্য জানা ভালো ব্যাপার নয়। কিন্তু ঈডিপাস নাছোরবান্দা। তার সত্য খুঁজে বের করতেই হবে।

এমন সময় করিন্থ থেকে দূত এসে জানায় রাজা পলিবাস মৃত্যুবরণ করেছে। সে রাজ্যের সবাই ঈডিপাস কেই তাদের পরবর্তী রাজা বানাতে চায়। কিন্তু ঈডিপাস দৈববাণী শুনেছে সে তার মাতাকেই বিয়ে করবে। এ ভয়ে সে যেতে চাইল না, কারণ রাণী মেরোপি তখনো জীবিত।

করিন্থের রাজদূত জানাল, ঈডিপাসের কোন ভয় নেই। কারণ সে পলিবাসের আসল পুত্র নয়। তাকে পলিবাসের মেষপালক সিথেরন পাহাড়ে কুড়িয়ে পেয়েছিল। ঈডিপাস এবার সেই মেষপালককে খুঁজে আনার নির্দেশ দিল।

মেষপালক কে খুজে পাওয়া গেলো সে ততোদিনে ষাটোর্ধ বুড়ো। সে ঈডিপাস কে অনেক অনুনয় করে যে সত্য বলতে পারবে না এতে ঈডিপাসেরই ক্ষতি হবে। ঈডিপাস জের করতে থাকে তাকে সত্য বলার জন্য। তখন সেই বৃদ্ধ মেষপালক তার অতীত বলতে শুরু করে। সে জানাল ঈডিপাসই রাজা লেয়াসের পুত্র। এসব কথা রানী জোকাস্টা ও রাজ্যের প্রজা ও কর্মী সকলের সামনে এই সত্য প্রকাশ হয়।

ঈডিপাস বুঝল সে – ই তার পিতাকে হত্যা করে তার মাতা রানী জোকাস্টাকে বিয়ে করেছে। এটা প্রকাশ পাওয়ায় রানী জোকাস্টা শোকে দুঃখে লজ্জায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করল।

আর রাজা ঈডিপাস তার কৃত পাপকর্মের জন্য নিজের দু’চোখ উপড়ে ফেলে নিজেকে অন্ধ করে দিল। সে জানাল তাকে এ রাজ্য হতে দূরে কোথাও নির্বাসন প্রদান করা হোক।

আর সাথে সে তার শ্যালক ও মামা ক্রেয়নের কাছে খারাপ ব্যাবহারের জন্য ক্ষমা চায়। ক্রেয়ন তাকে নির্বাসনে না পাঠিয়ে প্রাসাদেই বন্দী করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। আর অনুরোধ করে তার সন্তান/ তার ভাইবোন কে সে যেনো দেখেশুনে রাখেন। ঈডিপাস নাটকের সমাপ্তি ও এখানে।

Mehadi Bhuiyan

Mehadi Bhuiyan holds a BA in English Literature from the National University of Bangladesh. His academic interests include literature, history, and cultural studies, with a particular focus on modern and contemporary writing. He works as a freelance writer, researcher, and editor, specializing in literary analysis, historical narratives, and cultural topics.

Leave a Reply

This Post Has One Comment

  1. Mazharul Islam

    ধন্যবাদ, উপকৃত হলাম।