কষ্টের উক্তি : কষ্টের নিয়ে ৪৫ টি উক্তি
পৃথিবিতে সব চেয়ে অসহায় সে, যে নিজের রাগ,অভিমান, কষ্ট কাউকে দেখাতে পারেনা একটু চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পৃথিবিতে সব চেয়ে অসহায় সে, যে নিজের রাগ,অভিমান, কষ্ট কাউকে দেখাতে পারেনা একটু চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পরশপাথর যেন ছুয়েছি, সোনা হলেম। চুল বাঁধিলাম; ভাল কাপড় পড়িলাম; খোপার ফুল দিলাম; কাঁকালে চন্দ্রহার পরিলাম; কানে দুল দুলিল; বাদন, করুম, চুয়া, পান, গুয়া, সোনার পুত্তলি পর্যন্ত হইল। মনে কর সকলই হইল। তাহা হইলেই বা কি সুখ?
কোথাওই নেই ভালোলাগা শুধুই গাঁদা জীবন্ত ক্ষতই লুকানো যায় না যায় পালা, জীবন তেড়ে বেড়ায় তোমাকে আমায় … তোমাকে আমায়
সমুদ্র? না প্রাচীন ময়াল? পৃথিবী বেষ্টন করে শুয়ে আছে। তার খোলা মুখের বিবরে অন্ধকার। জলের গর্জন।
এই একলা ঘর আমার দেশ আমার একলা থাকার অভ্যেস ভাবি কিছুতেই ভাববো না তোমার কথা বোবা টেলিফোনের পাশে বসে তবু গভীর রাতের অগভীর সিনেমায় যদি প্রেম চায় নাটুকে বিদায় আমি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি আবার দেখি চোখ ভিজে যায় কান্নায়
মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা, তারা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে, যত তরুণ-অরুণ গেছে অস্তাচলে? যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি, আজ স্বদেশব্রতে মহাদীক্ষা লভি সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি। যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগাল আশা, মৌন মলিন মুখে জাগালো ভাষা, আজ রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি বিজয়লক্ষ্মী দেবে তাদের-ই গলে।।
পড়ালেখার সাথে মানুষের বুদ্ধিমত্তা মেলানোর ব্যাপারটাই আমার পছন্দ না। আপনি একটি ব্যাচেলর ডিগ্রির মালিক হয়েও একজন ইডিয়ট হতে পারেন।
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে। পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়, সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
আগামীকাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারণ শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতার কয়েকটা পাতাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে পারেনা।
নারী-শিক্ষা যখন ভালো মতন চালু হয়নি, মেয়েরা ঘর ছেড়ে তখনও বাইরে আসে না— সেই যুগেও বাংলা সাহিত্যে যতজন উল্লেখযোগ্য লেখিকা ছিলেন, তার তুলনায় এখন বহু রকম সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও লেখিকার সংখ্যা এত কম কেন? …অন্য গল্প-কবিতার কথা বাদ দিলেও, শিশু-সাহিত্যে তো মেয়েরা অনেক কিছু দিতে পারতেন। বস্তুত, শিশুদের সম্পর্কে মেয়েদের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হাজারগুণ বেশি। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের গল্প বলেও ভোলাতে হয় তাঁদের। সেই হিসেবে, শিশু-সাহিত্যটাই মেয়েদের একচেটিয়া হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনা তা নয়। পৃথিবীর নাম-করা লেখিকাদের মধ্যে অনেকেই বাচ্চাদের জন্য এক লাইনও লেখেননি! এও এক অদ্ভুত ব্যাপার।
বাঙালি অদ্ভুত এক জাতি। যাদের বিশ্বাস করে, তাদের সব কথা বিশ্বাস করে। তারা যদি বলে- চিলে কান নিয়ে গেছে- কান নিয়েছে কী নেয় নি যাচায় করে না। গালের পাশে হাত দিলেই বুঝবে কান এখনো আছে। জুলপির পাশেই ঝুলছে। তারপরেও দলবেঁধে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটতে থাকে চিলের পেছনে।
যাহাকে নির্বোধ বলিয়া গালি দিলে লুকাইয়া হাসে, এবং শ্রদ্ধায় কৃতজ্ঞতায় তদগত হইয়া প্রশংসা করিলে কাঁদাইয়া ভাসাইয়া দেয়, এমন অদ্ভুত প্রকৃতির জীবকে লইয়া সংসারের জ্ঞানীলোকের সহজ কারবার চলে কি করিয়া!
বুড়ো মানুষদের খুব ভোরে ঘুম ভাঙে; একটা লম্বা দিন পাবার জন্য।
ক্ষমা করো পৃথিবী, তাকে আমি ঘৃণা করতে পারিনি! তাকে আমি নিষ্ঠুর মৃত্যু দিতে পারিনি! যার হাতের পাঁচটা আঙুল আমার নিরবতা, যার বুকের পাজরে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ আমার সবচেয়ে প্রিয়,যার উষ্ণ ঠোঁটের ছোয়া আমার প্রতিদিনের অভ্যাস, যার এলোমেলো চুলে আমি হারিয়ে যায়, যার ভালোবাসর আহ্বনে সবকিছু তুচ্ছ করে ছুটে যাই, তার কষ্ট আমি কি করে সহ্য করি? ও পৃথিবী সবাইকে বলে দিও আমি তাকে ভালোবাসি!
আমি সবসময়ই পরীক্ষার বিরোধীতা করি। পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহকে মেরে ফেলে। শিক্ষার্থীর জীবনে কোন ভাবেই দুইটির বেশি পরীক্ষা দেওয়া উচিত নয়। আমি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিনার আয়োজন করতাম। শিক্ষার্থীরা যদি মনোযোগ দিয়ে শুনতো তা হলেই আমি তাদের ডিপ্লোমা দিয়ে দিতাম। – আইনস্টাইন