প্রাচীন রোমের ক্রীতদাসদের জীবন
দাসপ্রথার অস্তিত্ব মেসোপটেমিয়াতে প্রায় ৩৫০০ খৃস্টপূর্বে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে অধিকাংশ এলাকাতেই দাসপ্রথার প্রচলন…
দাসপ্রথার অস্তিত্ব মেসোপটেমিয়াতে প্রায় ৩৫০০ খৃস্টপূর্বে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে অধিকাংশ এলাকাতেই দাসপ্রথার প্রচলন…
আলুর জন্য ঘটে যাওয়া এই দুর্ভিক্ষ পরিচিত বৃহৎ এক ক্ষুধা নামে যা সংঘটিত হয়েছিল ১৮৪৫ সালে। সেসময় Phytophthora Infestense নামের এক ধরনের ফাঙ্গাস দাবানলের চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিলো পুরো আয়ারল্যান্ডের জমি জুড়ে। এই ছত্রাকটির উপদ্রবে ধ্বংস হয়ে যায় আইরিশদের প্রধান খাদ্য আলুর প্রায় ৮০ শতাংশ জমি।
২৯ মে ১৫৯৩ সালে রিচার্ড বেইন্স একটি রিপোর্ট জমা দেন ক্রিস্টোফার মার্লো সম্পর্কে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিস্টোফার মার্লো শুধু নাস্তিকই নন! তিনি যেখানে যান সেখানেই মানুষকে নাস্তিক হতে প্ররোচিত করেন।
তিনি ১৪২৯ সালে ১০০ বছরের যুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে ব্রিটেনের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন, তাও আবার জগদ্বিখ্যাত জোয়ান অফ আর্কের সহযোদ্ধা হয়ে! এতো সম্মানী একজন মানুষ যখন শিশু হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত হলেন তখন সমগ্র ফান্স ধাক্কা খেয়েছিল।
এই ধর্মের প্রচার শতাব্দী থেকে শতাব্দী পর্যন্ত চলছিল। সেসময় রেমান সম্রাট থেওডোসিয়াস প্রথম ঘোষণা করেন, যে বা যারা এই ধর্ম পালন করবে তাকে হত্যা করা হবে। এই আদেশ জারি করার ফলে এই ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কমতে থাকে।
হারেম শব্দটি তুর্কি শব্দ। কেউ কেউ বলেন হারেম শব্দটি আরবি শব্দ হারাম থেকে এসেছে। যার অর্থ নিষিদ্ধ। সহজ ভাষায় হারেম অর্থ মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থান, যেখানে সাধারণ পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ ছিলো বলেই ডেই সময়কার পুরুষদের কাছে হারেম ছিলো অতি আগ্রহের জায়গা।
দ্বিতীয় এলিজাবেথের রানী হওয়ার কথাই ছিলো না। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার অবস্থান ছিলো পিতৃব্য অষ্টম এডওয়ার্ড এবং পিতা ষষ্ঠ জর্জের পরে। কিন্তু রাজপরিবারের একটি ঘটনা সকল সমীকরণ পাল্টে দেয়।
১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্লুইটা শহরের একজন মুরগির খামারি ‘মাইক’ নামের এই মুরগী টির মাথা কেটে ফেলার পরেও মুরগী টি ১ বছর ৬ মাস বেঁচে ছিল।
খুব অল্প বয়সেই ফস্টাস ধর্মশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, চিকিৎসা ও আইনশাস্ত্র সকল ক্ষেত্রেই বিচরণ করেছেন।ধর্মশাস্ত্র ও ঈশ্বর সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে তী্ক বিতর্ক করতে বিশেষ ভালোবাসতেন ফস্টাস। এতো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার পরেও ফস্টাসের মনে তৃপ্তি আসে নি। সে চাচ্ছিল এমন জ্ঞান অর্জন করতে যার মাধ্যমে সে এতোটাই প্রভাবশালী ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে দুই মেরুর সবকিছুই তার আয়ত্বে থাকবে।
বইটি ১৯ শতকের গোড়ার দিকে আবিষ্কৃত হয়। এই বইটি প্রাচীন মিশরের একটি বই। বইটি মূলত মৃত্যুর পরবর্তী জীবন অর্থাৎ পরকালের রহস্য নিয়ে লেখা। কিভাবে একজন মানুষ মারা যায় আর কিভাবে তার পরবর্তী জীবন অর্থাৎ পরকালের জীবন শুরু হবে তার বিশদ বিবরণ উল্লেখ আছে।
অ্যাস্কাইলাস প্রাচীন গ্রীসের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন। তাকে সবচেয়ে বেশি স্মরন করা হয় তার লেখা ট্রাজেডিগুলোর জন্য। তাকে গ্রীক ট্রাজেডির জনকও বলা হয়।অথচ তার মৃত্যুকে বিয়োগাত্মক নয়, বরং হাস্যরসাত্মকভাবে লোকমুখে শোনা যায়। অ্যাসকাইলাসের মৃত্যুর পর, খুব অল্প সময় বেঁচে থাকা এক রোমান লেখকের ভাষ্যমতে, গ্রীসের এই ট্রাজেডিয়ানের মৃত্যু হয়েছিল আকাশ থেকে পতিত হওয়া এক কচ্ছপের দ্বারা ! আপনি হয়ত ভাবছেন যে এটা কিভাবে সম্ভব! ঠিক আছে, তাহলে শুনুন।অ্যাসকাইলাইসের মাথাকে পাথর মনে করে এক ঈগল ভুল করে উপর থেকে এক কচ্ছপ ছুঁড়ে ফেলেছিল। ভেবেছিল শক্ত পাথরের আঘাতে তার শিকারের খোলসটা ভেংগে যাবে। কিন্তু হায়, ওটা পাথর নয় বরং অ্যাসকাইলাসের শক্ত মাথা ছিল! সাধারনত ঈগল পাখীরা তাদের শিকার করা কচ্ছপদেরকে পাথরের উপরই নিক্ষেপ করে থাকে। আর একটা ঈগলের ভুল সিদ্ধান্তেই এসকাইলাসের মৃত্যু হয়।
জিপসি মানে হল নামবিহীন ঠিকানাহীন রহস্যময় ও লোক বা যাযাবর।জিপসিরা হলেন ইউরোপের এক প্রকার যাযাবর জাতি। রোমানি বা রোমাদেরকে জিপসি বলা হয়। রোমানিরা মূলত ভারতীয়-আর্য বংশোদ্ভূত। জিপসিরা নিজেদেরকে বলে ‘রোম’ যার অর্থ মানুষ।
বিষকন্যাদের ব্যবহার করা হতো মূলত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আর গুপ্তহত্যার প্রয়োজনে। লালসার বশে বিষকন্যাদের দুর্নিবার আবেদনে সাড়া দিলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেন ক্ষমতাবান রাজপুরুষেরা।
১৮৭৮ সালে ঢাকা শহরে আধুনিক সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়। এর আগে ঢাকায় খাবার পানির উৎস ছিল পুকুর,কুয়া,নদী।সে সময় কিছু লোক টাকার বিনিময়ে মশক (চামড়ার ব্যাগ)-এ করে ঢাকা শহরের বাসায় বাসায় খাবার পানি পৌঁছে দিতো। এ ধরনের পেশাজীবীদের বলা হত ‘ভিস্তিওয়ালা’ বা ‘সুক্কা’। আর ভিস্তিওয়ালা বা সুক্কা-রা পুরান ঢাকার যে এলাকায় বাস করতো সেটা কালক্রমে ‘সিক্কাটুলি’ নামে পরিচিত হয়।
লিংচি শব্দটি চীনা শব্দ। যার অর্থ হাজার টুকরো করে মৃত্যু দেওয়া বা স্লো স্লাইসিং (ধীরে ধীরে অঙ্গ কাটা)। এই নৃশংস অত্যাচারটি চীনের প্রাচীন যুগ থেকে উনিশ শতকের গোড়ার দিক পর্যন্ত নিয়মিত চলমান নির্যাতনের অনুশীলন ছিল।