লিংচি শব্দটি চীনা শব্দ। যার অর্থ হাজার টুকরো করে মৃত্যু দেওয়া বা স্লো স্লাইসিং (ধীরে ধীরে অঙ্গ কাটা)। এই নৃশংস অত্যাচারটি চীনের প্রাচীন যুগ থেকে উনিশ শতকের গোড়ার দিক পর্যন্ত নিয়মিত চলমান নির্যাতনের অনুশীলন ছিল।
এই নির্যাতনে বন্দী বা দোষী ব্যক্তিকে কাঠের খন্ডে বেঁধে রাখা হতো। তারপর ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের একাধিক টুকরো করা হতো। প্রথমে শরীর বুক, হাত ও পরে অন্যান্য অংশ অপসারণ করা হতো।
বুকর পাঁজরের হাড় ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের হাড় দৃশ্যমান না হওয়া পর্যন্ত শরীরের মাংস ধীরে ধীরে খুলে নেওয়া হতো।
এই শাস্তি প্রক্রিয়া খুবই ধীর গতিতে চলতো। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে ৩ দিনের বেশি সময় লাগতো এবং ৩০০০ এরও বেশি বার শরীর কাটা হতো।
এই নৃশংস শাস্তি কোনো সাধারণ অপরাধের জন্য দেওয়া হতো না। লিংচি শুধুমাত্র রাষ্ট্রদ্রোহিতা, গণহত্যা বা পিতাহত্যার মতো ঘৃণ্য ও গুরুতর অপরাধের জন্য দেওয়া হতো।
অত্যাচারের এই পদ্ধতিটি খ্রিস্টীয় ১০ শতাব্দীর প্রথম দিকে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং প্রায় এক হাজার বছর পর ১৯০৫ সালে এই নৃশংস পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা হয়।
লিংচির পদ্ধতির শেষ শিকার ছিলেন এক ব্যক্তি, বাম ছিলো ফৌচৌলি। সে একজন মঙ্গোলিয়ান রাজপুত্রকে হত্যা করেছিলো।
চীনের শেষ রাজবংশ কিং রাজবংশ (১৬৪৪-১৯১১) তাদের রাজত্বের শেষ দিনগুলোতে এই শাস্তির পরিমান ছিলো অতিরিক্ত পরিমানে।