বই পড়া নিয়ে উক্তি : বই নিয়ে ১৫ টি উক্তি
যার একটা গ্রন্থাগার আর অনেকগুলো বই আছে তাকে ভয় পেওনা। ভয় পাও তাকে যার একটাই বই আছে, যেটাকে সে পবিত্র মানে কিন্তু পড়েনা।
যার একটা গ্রন্থাগার আর অনেকগুলো বই আছে তাকে ভয় পেওনা। ভয় পাও তাকে যার একটাই বই আছে, যেটাকে সে পবিত্র মানে কিন্তু পড়েনা।
আমি চিরদিনই চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী। আমার পৃথিবী জানলা দিয়ে দেখা। একেই তো খুব রক্ষণশীল বাড়ীর মেয়ে আবার প্রায় তেমন রক্ষণশীল বাড়ীর বৌও। চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত কেউ জানতো না আসলে ‘আশাপূর্ণা দেবী’ কে? ওটা কোনো পুরুষ লেখকের ছদ্মনাম নয়তো? পরে যখন বাইরের জগতে বেরিয়ে পড়ে সকলের সঙ্গে দেখা-টেখা হয়েছে, অনেকে বলেছেন, এই যেমন সজনীকান্ত দাস, প্রেমেন্দ্র মিত্র, ‘আমরা তো ভাবতাম ওটা বোধহয় একটা ছদ্মনাম। আসলে পুরুষের লেখা। এমন বলিষ্ঠ লেখা।
দীর্ঘ সময় ধরে যখন কোনো বন্ধু অবহেলা করে, তখন বুঝতে হবে যে সে আসলে বন্ধুই ছিল না,শুধু অভিনয় করে গিয়েছে। — ভলতেয়ার
প্রথম বয়সের প্রথম প্রেম অনেকগুলি ছোটোখাটো বাধার দ্বারা মধুর। লজ্জার বাধা, ঘরের লোকের বাধা, অনভিজ্ঞতার বাধা, এইগুলির অন্তরাল হইতে প্রথম পরিচয়ের যে আভাস দিতে থাকে তাহা ভোরের আলোর মতো রঙিন ; তাহা মধ্যাহ্নের মতো সুস্পষ্ট, অনাবৃত এবং বর্ণচ্ছটাবিহীন নহে।
পুরুষ নারীকে গৃহে বন্দী করেছে, তাকে। সতীত্ব শিখিয়েছে, সতীত্বকে নারীর জীবনের মুকুট ক'রে তুলেছে, যদিও লাম্পট্যকেই ক'রে তুলেছে নিজের গৌরব। পুরুষ উদ্ভাবন করেছে নারী সম্পর্কে একটি বড়ো মিথ্যা। যাকে সে বলেছে চিরন্তনী নারী। তাকে বলেছে দেবী, শাশ্বতী, কল্যাণী, গৃহলক্ষ্মী, অর্ধেক কল্পনা; কিন্তু পুরুষ চেয়েছে 'চিরন্তনী দাসী'।
কালো-কালো পাখি বাঁকা ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলে যায় দূরে, উঁচু থেকে ওরা দেখিতে কি পায় মোরে আর ছোকানুরে? রূপোর নদীতে রূপোর ইলিশ- চোখ ঝলসানো আঁশ, ওখানে দ্যাখো না- জালে বেঁধে জেলে তুলিয়াছে একরাশ।
শরীর ভালো রাখার চেয়ে বড়ো কাজ মানুষের নেই। শরীর ভালো না থাকলে মানুষ ভাবুক হয়, দুঃখ বেদনা কল্পনা করে, ভাবে জীবনটা শুধু ফাঁকি। বদহজম আর ভালোবাসার লক্ষণগুলি যে একরকম তা বোধ হয় তুই জানিস নে?
ধীরে ধীরে রাত বাড়তে লাগলো। চাঁদ হেলে পড়লো পশ্চিমে। উঠোনের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। পরীর দীঘির পারে একটা রাতজাগা পাখির পাখা ঝাপটানোর আওয়াজ শোনা গেলো। রাত বাড়ছে। হাজার বছরের পুরনো সেই রাত।
To be or not to be that is the question. হওয়া বা না হওয়া, এটাই প্রশ্ন। (এটা হ্যামলেট নাটকের সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি। হ্যামলেট তার বাবার হত্যাকারীকে হত্যা করবে কি করবে না এই সিদ্বান্তহীনতাকে বোঝানো হয়েছে। শুধু তাই নয় এর দ্বারা সকল মানব মনের সিদ্ধান্তহীনতাকেও বুঝানো হয়েছে। এ কারনেই বলা হয়ে থাকে Every modern man is a Hamlet)
বুদ্ধিজীবীরা আবার আমাকে বুদ্ধিজীবী মনে করে না, কারণ আমি হাসি। বিদ্যাবুদ্ধি তো আর কারো চেয়ে কম ছিল না, শুধু ওই একটা জায়গাতে মার খেয়ে গেলাম, আমার হাসি। হাসলে পরে তুমি আর বুদ্ধিজীবী থাকতে পারবে না। আপনি হাসেন? তার মানে তো আপনি লাইট!
তুমি যদি তোমার নিজের খ্যাতির ব্যাপারে উচ্চ ধারণা পোষণ করতে চাও তাহলে সংযুক্ত হওয়া ভালো গুণসম্পন্ন মানুষের সাথে; মন্দ সঙ্গের মধ্যে থাকার চেয়ে একাকী থাকা অধিকতর ভালো।
সকলেই বলিয়া থাকেন যে, তাঁহাদের আপন আপন ধর্মই একমাত্র সত্যধর্ম, অন্য কোন ধর্মই সত্য নহে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্বর্গপ্রাপ্তি, পরিত্রাণ, নির্বাণ বা মোক্ষলাভ ঘটিবে না। এ যেন বাজারের গোয়ালাদের ন্যায় সকলেই আপন আপন দধি মিষ্ট বলে।
যদি তুমি কারো সাথে তোমার ভাষায় কথা বল, তার কাছে যেতে পারবে; যদি তার ভাষায় কথা বল, তার হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
স্ত্রীলোকের পরিচয়ই বা কী? যাহারা কুলোপাধি ধারণ করিতে পারে না, তাহারা কী বলিয়া পরিচয় দিবে? গোপনে বাস করা যাহাদিগের ধর্ম, তাহারা কী বলিয়া আত্মপ্রকাশ করিবে? যেদিন বিধাতা স্ত্রীলোককে স্বামীর নাম মুখে আনিতে নিষেধ করিয়াছেন, সেইদিন আত্মপরিচয়ের পথও বন্ধ করিয়াছেন।
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে, হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।