গত শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ানক ও ভয়াবহ যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তবে সুখকর বিষয় হচ্ছে সেটি বেশিদিন দীর্ঘায়িত হয়নি। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ বছর স্থায়ী ছিলো এই যুদ্ধ। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় মানব ইতিহাসে যুদ্ধ চলেগে যুগ থেকে যুগ পর্যন্ত এমনকি শত বছর পর্যন্ত। ফ্রান্স ইংল্যান্ডের ‘হান্ড্রেড ইয়ার ওয়ার’ কিংবা ক্রুসেডে দীর্ঘ ৮০০ বছরের যুদ্ধ তার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। সেই তুলনায় এই যুদ্ধ ক্ষণস্থায়ী বলা চলে। তবে সবার জন্য এই যুদ্ধ মাত্র ৫ বছর ছিলো না, কারো কারো জন্য এটি আরো বেশি দীর্ঘ ছিলো।
হিরো ওনোদা নামের এই জাপানি সৈন্যের কথা বলা যাক তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২৯ বছর পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি দীর্ঘ ৩০ টি বসন্ত কাটিয়েছেন মিছিমিছি। চলুন আজ আপনাদের শোনাই হার না মানা এই সৈনিকের গল্প।
হিরো ওনোদার জন্ম জাপানের ঐতিহ্যময় সামুরাই যোদ্ধা পরিবারে। ১৯২২ সালের ১৯ মার্চ জাপানের কাইনান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ওনোদারা ছিলেন ৭ ভাইবোন। এরমধ্যে ওনোদা ছিলেন ৫ম। ওনোদা যখন ১৭ বছর বয়সী তখন তাকে কাজের জন্য চীনে পাঠানো হয়; হুবেই প্রদেশের তাজিমা ইয়োকো ট্রেডিং কোম্পানিতে। কিন্তু বেশিদিন সেখানে কাজ করতে পারেননি। কারণ ততদিনে দুনিয়া জুড়ে শুরু হয়ে গেছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ।

২০ বছর বয়সে তাই শত্রুদেশ থেকে ফিরে আসেন ওনোদা। যোগ দেন জাপান সম্রাটের সেনাবাহিনীতে। সেখানে তাকে একজন ইন্টেলিজেন্ট অফিসার হিসেবে গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ট্রেনিং শেষে ওনোদাকে ফিলিপাইনের লুবাং দ্বীপপুঞ্জে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। তার উপর আদেশ বর্তে ছিল– যেকোনো উপায়ে শত্রুপক্ষের চলাচল, আক্রমণে বাধা প্রদান করা।
ওনোদা ১৯৪৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ফিলিপাইনের লুবাং দীপপুঞ্জে পা রাখেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নৃশংস নগ্নতায় সমগ্র ফিলিপাইন তখন নিমজ্জিত। সব জায়গায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্রশক্তির জয়জয়কার। শেষ চেষ্টা হিসেবে অক্ষপক্ষের অন্যতম সদস্য জাপান যা করতে পারতো ওনোদার অর্পিত দায়িত্ব ঠিক তাই ছিল- পদে পদে শত্রুপক্ষকে বাধাপ্রদান করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওনোদা তার কাজ ঠিকমতো করতে পারেনি। আর সেটা হয়নি ওনোদার গ্যারিসন কমান্ডারদের নানারকম গাফিলতির কারণে।

লুবাং দ্বীপপুঞ্জে আসার সাথে সাথেই সেখানে অবস্থানরত সুগি ব্রিগেডের জাপানী সৈন্যদের সাথে সাক্ষাৎ হয় ওনোদার। সেখানকার যেসব অফিসার ওনোদার থেকে র্যাঙ্কের দিক থেকে উচ্চপদস্থ ছিল তাদের কেউ কেউ ওনোদাকে ঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করেনি। তাদের এই অসহযোগিতা মিত্রপক্ষকে দারুণভাবে সহযোগিতা করলো। ফলে যা হবার তা-ই হল। ১৯৪৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন কমনওয়েলথ ফোর্সের সম্মিলিত আক্রমণে লুবাং জাপানের হাতছাড়া হতে শুরু করলো এবং এক সময় হয়েও গেলো। ওনোদা সহ মোট চারজন সৈন্য কোনোমতে পালিয়ে বাঁচতে পারলো। বাকিরা হয় মারা গেছে, নয়তো যুদ্ধবন্দীত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছে। বীপটি ছিল ২৫ কিঃমি দীর্ঘ ও ৯ কিঃমি চওড়া আর যথেষ্ট বন জঙ্গল থাকায় সেখানে ৪ জন সৈন্যরই লুকিয়ে থাকা খুব একটা কঠিন ব্যাপার ছিলো না।
ওনোদার সঙ্গে আরো যে ৩ জন ছিলো তারা ছিল সৈনিক। পদমর্যাদায় ওমেদার থেকে তারা ছিল অনেক নীচে। ১৯৪৯ সালে তাদের মধ্যে একজন সৈনিক (নাম উইচি) ফিলিপিন ফোর্সের কাছে আত্মসমর্পণ করে দল ছাড়ে। উইচি চলে যাওয়ার পর বাকি ৩ জন আরো সতর্ক হয়ে যায়।
উইচি আত্মসমর্পণের পর উইচি কে দিয়ে আকাশ পথ দিশে লিফলেট নিচে ফেলতে থাকে যে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের কেউ সেসব বিশ্বাস করে নি। তারা ভেবেছে উইচি শত্রুপক্ষের হাত মিলিয়ে তাদের বেকা বানাতে চাইছে। আর তাই ওরা ৩ জন আরো গভীর জঙ্গলে ঢুকে গেলো। যুদ্ধের সময় অনেক প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায়, তখন সত্য কে ও মিথ্যা বানোয়াট ও প্রোপাগান্ডা মনে হয়, ওনোদাদের ও তাই হয়েছিল।
মনে করা হয় যুদ্ধের পর পরই তাদের ওখানে বিমান দিয়ে লিফলেট বিলি করে জাপানিরা। লিফলেটে লেখা ছিলো যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে তোমরা বাড়ি ফিরে এসো। দীর্ঘ দিন তারা যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয় এগুলো সব ভুয়া, তাদের কে ধরার জন্য এসব লিফলেট ছাড়া হচ্ছে।
এরপর ১৯৫২ সাল, প্লেন থেকে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের পক্ষে চিঠি ও ছবি ফেলা হল। বলা হল ফিরে আসার জন্য। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তিনজন এটাকেও ধোঁকা হিসেবে ধরে নিলো। পরের বছর (১৯৫৩) জুন মাসে এক দুর্ঘটনা ঘটে গেলো। একদল ফিলিপিনো জেলের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শিমাদার পায়ে গুলি লাগে। সেবার ওনোদার ঐকান্তিক সেবায় সুস্থ হয়ে উঠে শিমাদা। কিন্তু ১৯৫৪ সালের ৭ মে লুবাং দ্বীপের গন্টিন সৈকতে শিমাদা মারা পড়লো তাদেরকেই খুঁজতে আসা অনুসন্ধানকারী দলের গুলিতে।
ওনোদার সাথে এখন শুধুই কজুকা। শিমাদা মারা যাবার দশ দিনের মাথায় আবারো লিফলেট ফেলা হল। সাথে লাউডস্পিকারে ঘোষণা করা হল, “ওনোদা, কজুকা, যুদ্ধ শেষ।” বরাবরের মতো এটাকেও তারা আমেরিকানদের একটা কূটকৌশল হিসেবে ধরে নিলো। এক্ষেত্রে ওনোদাকে দোষ না দিলে দোষের কিছু হবে না হয়তো। ওনোদা ও কজুকার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, একদিন তার স্বদেশীরা আমেরিকানদের হটিয়ে আবার এই দ্বীপপুঞ্জের দখল ফিরে পাবে। একজন জাপানি নাগরিক বেঁচে থাকতে তাদের জন্মভূমি হেরে যেতে পারে না। আর এতো বড় যুদ্ধ তো আর রাতারাতি থেমে যাবার নয়। একশ’ বছর তো অন্তত লেগে যাবে এই মহাযুদ্ধে জিততে।
ফিলিপাইনের গহীন অরণ্যে পালিয়ে বেড়ানো, কখনো খাবারের জন্য স্থানীয় ফিলিপিনোদের আক্রমণ করা, তারপর আবার পালিয়ে বেড়ানো, ঝোপে-ঝাড়ে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত পতঙ্গের কামড় সহ্য করে টিকে থাকা- এই ছিল ওনোদাদের ‘সংগ্রামী’ জীবনের দৈনন্দিন চক্র।
স্থানীয় ফিলিপাইন মানুষদের কাছে তারা ছিল পাহাড়ি দস্যু। মাঝেমধ্যেই স্থানীদের উপর তাদের হামলা হতো। গোয়েন্দা তথ্য মতে কম করে তারা ৩২ জন স্থানীয় ফিলিপিনীয়র প্রান নিয়েছে।
৬৫ এর শেষের দিকে ওনোদা ও কজুকা একটা ট্রানজিস্টার রেডিও সংগ্রহ করলেন যেখানে পিকিং থেকে সংবাদপ্রবাহ হচ্ছিলো। যেহেতু তাদের মন সেই ’৪৫ এই আটকে ছিল, তাই কোনো কিছুই তারা বিশ্বাস করতে পারছিলো না। তবে শিল্প পরাশক্তি হিসেবে জাপানের উত্থানের খবর তাদের মনে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেয়। আর এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো তাদের দিনগুলো।
১৯ অক্টোবর ১৯৭২ সাল ওনোদা ও কজুকা ধান সেদ্ধ করছিলেন। বলে রাখা ভালো সেগুলো স্থানীয় মানুষের থেকে কেড়ে নেয়া। তাদের ধান সেদ্ধ করার ধোঁয়া স্থানীয় পুলিশের চোখে পড়ে। পুলিশ সেখানে আক্রমণ করলে কজুকা নিহত হয়। আর অতগুলো পুলিশ কে আক্রমণ করলে নিজেরই মরতে হবে তাই সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওনোদা।
১৯৫৯ সালে ওনোদা ও কাজোকা উভয়কেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। কজুকার মৃত্যুর পর আবার শুরু হয় সার্চ পার্টির দৌড়াদৌড়ি, লাউডস্পীকারে ঘোষণা আর লিফলেট ফেলা। ওনোদা সেসবে বিশ্বাস করেন নি, তিনি একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলেন বাকি জীবনটা এই জঙ্গলেই কাটিয়ে দেবেন।
১৯৭৪ সালের কথা ওনোদা আক্রমণ করে বসেন সুজুকি নামে একজন জাপানির উপর। সুজুকি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পড়ালেখা ভালো লাগতো না তাই সে দেশ ঘুরে কাটাতে বের হয়। ১৯৭২ সাল থেকে ওনোদার বেঁচে থাকার ব্যাপারে কথা শুনেছিলো সে ও তাই তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো ওনোদা কে খুঁজে বের করা আর তাই সে পা রেখেছিল লুবাং দ্বীপে। সুজুকি জানায় যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। এবং সবশেষে সে গোঁয়ার ওনাদা কে বুঝাতে সক্ষম হয়, কিন্তু সে বলে তার কমান্ডারদের কেউ যদি তাকে ফিরে আসার নির্দেশ দেন তো তবেই তিনি ফিরবেন। নতুবা নয়। সুজুকি কথা দিলেন তিনি তার কমান্ডারদের সাথে কথা বলবেন। ওনোদার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলেন সুজুকি। প্রমাণ হিসেবে জাপান সরকারকে তাদের দুজনের মধ্যে তোলা ছবিগুলো দেখালেন। ওনোদা তাকে কী কী বলেছিল তা-ও তাদের বললেন।

ওনোদার কমান্ডার ইয়োশিমি তানিগুচিকে বের করে তার আদেশপত্র নিয়ে সুজুকি ছুটলেন লুবাং দ্বীপে। সুজুকি কমান্ডারের দেয়া চিরকুট দিলো ওনোদা কে। চিরকুট পরে সে যেনো কিছুক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। ওনোদার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো। পুরো ব্যাপারটা হজম করতে তার অনেক সময় লাগলো।
আমরা সত্যি সত্যিই যুদ্ধে হেরে গেছি! কীভাবে তারা (জাপানিরা) এটা মেনে নিতে পারলো? হঠাৎই যেন সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেলো। আমার ভিতরে তখন ঝড় বয়ে যাচ্ছিলো। এতদিনের এত কষ্ট আর সতর্ক পদক্ষেপের জন্য নিজেকে বোকা বোকা মনে হতে লাগলো। তার থেকেও খারাপ লাগছিলো এই ভেবে যে, এতটা বছর তাহলে আমি করলামটা কি? ধীরে ধীরে আমার ভিতরের ঝড়টা স্তিমিত হয়ে আসতে লাগলো। আর প্রথমবারের আমি বুঝতে পারলাম, আমার ত্রিশ বছরের গেরিলা জীবনের এখানেই সহসা সমাপ্তি। আজ সব শেষ। আমি আমার রাইফেলের বোল্টটা পিছন দিকে টানলাম, বের করে আনলাম বুলেটগুলোকে। আমার কাঁধের বোঝাটিকে পিঠ থেকে নামিয়ে তার উপর রাইফেলটি রাখলাম। সত্যিই কি এই রাইফেলটি আমার আর কোনো কাজে আসবে না যাকে এত বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো অতি সযতনে রেখে দিয়েছিলাম! কিংবা কজুকার রাইফেল, যেটিকে পাহাড়ের খাঁজে লুকিয়ে রেখে এসেছি? সত্যিই কি ত্রিশ বছর আগেই যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছিলো? যদি তাই হয় তো কিসের জন্য শিমাদা আর কজুকা প্রাণ দিলো? যদি এটাই সত্য হয়, তাহলে কি তাদের সাথে আমারও মরে যাওয়া ভালো ছিল না?
১৯৭৪ সালের ১২ মার্চ ওনোদা ফিরে আসলেন তার প্রিয় জন্মভূমি জাপানে। বীরোচিত সম্মান দেওয়া হয় ওনোদাকে। শত-সহস্র উৎসুক মানুষ ঘিরে ধরল এই সাহসী বীরকে। এর আগে তাকে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্ষমা করে দিলেন ফিলিপাইনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস।
ওনোদা এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন যে কেউ কেউ তাকে জাপানের জাতীয় আইনসভা পরিচালনার অনুরোধ জানালেন। ১৯৭৪ সালে ওনোদা তার ৩০ বছরের গেরিলা জীবনের উপর মাতৃভাষায় একটি বই লিখলেন। এটি পরের বছর ইংরেজিতে অনুবাদিতও হয়- No Surrender: My Thirty-Year War। কিন্তু এতো কিছুর পরেও ওনোদা মানিয়ে নিতে পারছিলেন না নতুন এই পরিবেশের সাথে। পরিবর্তিত জাপান যেন তার কাছে বড়ই বেমানান লাগছিল। তাই ’৭৫ এর এপ্রিলে ওনোদা জাপান ত্যাগ করে তার বড় ভাই তাদাও এর কাছে চলে যান। তাদাও ব্রাজিলের এক পশু প্রজনন কেন্দ্রে কাজ করেন। ওনোদা তার সাথে যোগ দেন।
১৯৭৬ সালে ওনোদা বিয়ে করেন। ১৯৮৪ সালে আবার জাপানে ফিরে আসেন তিনি। কিশোর বয়সীদের জন্য গঠন করেন ওনোদা শিজেন জুকু অর্থাৎ ওনোদা নেচার স্কুল নামের এক প্রতিষ্ঠান যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের জীবনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা।
ওনোদা ১৯৯৬ সালে তিনি সেই লুবাং দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছিলেন। এবার আর যোদ্ধার বেশে বা হত্যাকারীর ভূমিকায় নয়; বরং একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে, দাতার ভূমিকায়। স্থানীয় এক স্কুলে দশ হাজার মার্কিন ডলার দান করেন হিরু ওনোদা।
আর হিরো ওনোদাকে খুঁজে বের করা সেই সুজুকি ইয়েতির খুঁজ করতে গিয়ে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে ১৯৮৬ সালের নভেম্বরে হিমালয় পর্বতমালার বরফ ধ্বসে প্রাণ হারান নোরিও সুজুকি। বন্ধুর মৃত্যুর ২৮ বছর পর ২০১৪ সালে ৯১ বছর বয়সে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যান হার না মানা এই যোদ্ধা।

Mehadi Bhuiyan holds a BA in English Literature from the National University of Bangladesh. His academic interests include literature, history, and cultural studies, with a particular focus on modern and contemporary writing. He works as a freelance writer, researcher, and editor, specializing in literary analysis, historical narratives, and cultural topics.