You are currently viewing অ্যাপোলো: গ্রীক পুরাণের সোনালী কোঁকড়া চুলের এক সুদর্শন দেবতা

অ্যাপোলো: গ্রীক পুরাণের সোনালী কোঁকড়া চুলের এক সুদর্শন দেবতা

গ্রীক মিথলজির দেবতাদের মধ্যে অ্যাপোলো ছিলেন সবচেয়ে সুদর্শন ও সকল দেবদেবীর প্রিয়। সোনালী কোঁকড়া চুলের অধিকারী এই সুদর্শন এই দেবতা একই সাথে ছিলেন আলো, সঙ্গীত, কবিতা, চিকিৎসা, দৈববাণী ও ধনুবিদ্যার দেবতা।

গ্রীসে অ্যাপোলোর ভাষ্কর্য Photo Credit: Astronomy Magazine


অ্যাপোলো তার এই নাম ছাড়াও আরো বেশ কিছু নামে পরিচিত তার মধ্যে ফিবাস ও হাইপীরিয়ন অন্যতম। কিছু কিছু জায়গায় অ্যাপেলো কে সূর্যের দেবতা বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রচুর ক্ষমতার অধিকারী এই দেবতাকে অলিম্পিয়াসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেবতাদের একজন মানা হয়।

অ্যাপোলোর জন্ম হলো যেভাবে

অলিম্পিয়াসের দেবরাজ জিউসের পরকীয়ার ফলে লিটো গর্ভবতী হন। লিটোর গর্ভবতী হওয়ার কথা যখন দেবতা জিউসের স্ত্রী হেরা জানতে পারেন তখন তিনি রাগে ক্রোধে ফেটে পড়েন (হেরা দেবরাজ জিউসের একমাত্র বৈধ স্ত্রী)।

আর তাই হেরার রাগ ও ক্রোধের রোষানল থেকে বাঁচতে লিটো ডেলসে পালিয়ে যান। এই ডেলসেতেই লিটো যমজ সন্তানের জন্মদেন। তারা হলেন অ্যাপেলো ও তার বোণ আর্তেমিস। এই আর্তেমিস হলেন চন্দ্রের দেবী।

অ্যাপোলো ও আর্তেমিস Photo credit: Amino apps

স্বর্গলোক অলিম্পিয়াস থেকে পালিয়ে লিটো হেরার ক্রোধ থেকে নিস্তার পান নি। হেরার প্রতিহিংসার জন্য নিজের যমজ সন্তানদের প্রতিপালন করতে পারেন নি লিটো। আর তাই নিজের সন্তান কে লালন পালনের দায়িত্ব দেন থেস কে থেলিসর হাতে বেশ ভালোভাবেই প্রতিপালিত হতে থাকেন অ্যাপোলো।

হেরা Photo courtesy: Wikipedia

অ্যাপোলোর জন্মের পর বেশ কিছুদিন পর ন্যায় বিচার ও শৃঙ্খলার দেবী থেমিস তাকে কয়েক ফোঁটা অমৃত দেয়। আর সেই অমৃত খেয়ে অ্যাপোলো চোখের পলকেই শিশু থেকে সুদর্শন যুবক এ পরিণত হয়।

অ্যাপোলোর জীবনের প্রথম কৃতিত্ব হচ্ছে, জন্মের কিছুদিন বাদেই তিনি বিরাট এক বিষাক্ত পাইথন হত্যা করেন। এই বিষাক্ত পাইথন সাপটি দেবী হেরা পাঠিয়েছিলেন লিটোকে হত্যা করার জন্য। সাপটির বিষের প্রভাব এতোটাই বেশি ছিলো যে সেটি ঝর্ণার পানি ও ফসলকেও বিষাক্ত করে তুলছিল। বিষাক্ত সাপের হাত থেকে নিজের মাকে বাঁচাতে অ্যাপোলো আগুন ও অস্ত্র নির্মাণের দেবতা হেফায়েস্টাস এর নিকট তীর ও ধনুক এর জন্য প্রার্থনা করেন। দেবতা হেফায়েস্টাস মুহূর্তের মধ্যে অ্যাপোলোকে একটি সুন্দর ধনুক ও তূণীর ভর্তি ঝলমলে রূপার তীর দেন। এগুলো পেয়ে এপোলো ডেলফির একটি পবিত্র গুহায় পাইথন সাপটিকে কে হত্যা করেন।

অ্যাপেলোর আরো একটি বৃহৎ কাজ হলো ডেলসিতে এক দৈববাণীর মন্দির গড়ে তোলা। আর তাই অ্যাপোলোকে দৈববাণীর দেবতাও বলা হয়। এছাড়া অ্যাপোলো হলেন সকল প্রাণের উৎসস্বরূপ এবং রোগনিরাময়েরও দেবতা। তার পুত্র এসক্যালাপিয়াসের মধ্যে এই দুটি গুণের বেশী পরিচয় পাওয়া যায়। এসক্যানাপিয়াসকে ওষধি ও চিকিৎসাশাস্ত্রের অধিষ্ঠাতা দেবতাও বলা হয়। তিনিই এই শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন মর্ত্যে।

আরো পড়ুন:  বিষকন্যা: তাদের সাথে চুম্বন কিংবা মিলনের ফলাফল ছিল মৃত্যু

একবার এসক্যালাপিয়াস এক মৃত ব্যক্তির মধ্যে প্রাণসঞ্চার করতে গেলে তার ঔদ্ধত্যের জন্য জিয়াস তাঁকে হত্যা করেন। মৃতকে সজীবিত করার ক্ষমতা একমাত্র দেবতা জিউসের। এসক্যালাপিয়াস মৃত্যুকালে তার কন্যা হাইজিয়ার হাতে তার প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসাবিভাগের সকল ভার দিয়ে যান।

সূর্যদেবতা অ্যাপোলোর শুধু রোগনিরাময়ের ক্ষমতা নয়, মহামারী বা মারাত্মক রোগ সৃষ্টির ক্ষমতাও রয়েছে। তার রথ একই সঙ্গে বাহিত হয় এক সিংহ আর এক বনহংসের দ্বারা। তিনি যে কোন সময়ে তার একটি মাত্র শরনিক্ষেপের দ্বারা যে কোন দেশে এক মহামারী সংঘটিত করতে পারেন।

ট্রয় অবরোধকারী গ্রীকদের শিবিরে এইভাবে এক মহামারী সৃষ্টি করেন অ্যাপোলো। মানবসভ্যতার ইতিহাসে আজ পর্যন্ত যত সব শিল্পকলার উদ্ভব হয়েছে এ্যাপোলো তারও অধিষ্ঠাতা দেবতা। কিন্তু এ্যাপোলোর সবচেয়ে বড় দান হলো সঙ্গীতে। সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক ও বীণাবাদক অর্ফিয়াস হলো তারই পুত্র।

অ্যাপোলোর অধীনে ছিল শিল্পকলার ন’টি বিভাগের ন’জন অধিষ্ঠাত্রী দেবী।

তারা হলেনঃ-

ক্লিও (ইতিহাস)
ইউতারপে (গীতিকবিতা)
থেনিয়া (মিলনাস্ত নাটক)
মেলপোমেলে (বিয়োগান্ত নাটক )
তাপিঁশোর (নাটক ও গান)
ইরাতো (প্রেমসঙ্গীত)
পলিমিয়া (গুরুগম্ভীর স্তোত্র গান)
ইউরানিয়া (জ্যোতির্বিদ্যা) ও
ক্যালিওপ (মহাকাব্য)

এই সব দেবীদের প্রিয় মিলনস্থান হলো মাউন্ট হেলি – কন আর পার্ণেসাস পাহাড় আর সেই সংলগ্ন কাস্টালিয়ন ঝর্ণা। এই ঝর্ণার জলে যত সব কবি ও শিল্পীরা স্নান করে তাদের আরাধ্য দেবতা অ্যাপোলোর উপাসনা করে।

পিত্তারের বিবরণ থেকে জানা যায় একবার দেবতারা পৃথিবীটাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করায় অ্যাপোলো তার পূর্বের পার্থিব আসনগুলি হারিয়ে ফেলেন। তিনি তখন জিয়াসের কাছে গিয়ে বলেন, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি , ঐ তরঙ্গায়িত সমুদ্রের অতল গর্ভ থেকে অদূর ভবিষ্যতে উঠে আসবে এক বিশাল আগ্নেয়গিরি। আমার পবিত্র স্থান নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে। এই জায়গার নাম হবে রোডস্। পরে সেখানে সমুদ্রের এক খাড়ির উপর একশো ফুট উঁচু অ্যাপোলোর এক বিশাল প্রতিমূর্তি নির্মাণ করে সেখানে স্থাপন করা হয়। তাকে লোকে বলত কলোসাস। পরে এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের ফলে ভূমিসাৎ হয়ে যায় সে প্রতিমূর্তি। ফিলিস্টাইনের মত নাস্তিকরা আবার অ্যাপোলোকে ইঁদুরদের দেবতা বলে উপহাস করে থাকে।

যে সব শিল্পী ও ভাস্করেরা অ্যাপোলোর ভক্ত তারা সবাই প্রায়ই এক বিশেষ মূর্তিতে মূর্ত করে তোলে অ্যাপোলোকে। অপূর্ব যৌবনশ্রীসম্পন্ন সে মূর্তি হলো সম্পূর্ণ নগ্ন। মাথায় লরেল পাতার মুকুট। রোমের ভার্টিকানে এই ধরনের একটি মূর্তি আছে সূর্য দেবতা, শিল্পকলার দেবতা অ্যাপোলোর । চিরযুবক, চিরসুন্দর অ্যাপোলোর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পরিচয় হলো তিনি মানব প্রেমিক। মার্জিত রুচিসম্পন্ন ভক্তদের প্রতি বিশেষভাবে অনুগ্রহশীল তিনি। সমগ্রভাবে গ্রীকধর্ম ও গ্রীক পুরাণের একটি দিককে নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল ও গৌরবময় করে তুলেছেন একা অ্যাপোলো ।

আরো পড়ুন:  রাজা ঈডিপাস: নিয়তি যার অভিশাপ

অ্যাপোলোর প্রেম ভালোবাসা

মানুষের মত ভালমন্দ দুটি গুণই ছিল এ্যাপোলোর চরিত্রে। শুধু নারী নয় তিনি পুরুষ এবং নারী উভয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। একবার তিনি হায়াসিনথ নামে এক মর্ত্যাবালককে ভালবাসতে থাকেন গভীরভাবে তিনি তার সঙ্গে শিশুর মত খেলা করতেন যখন তখন। একদিন এইভাবে তাঁর সঙ্গে খেলা করতে করতে ঘটনাক্রমে অ্যাপোলোর একটি তীরের আঘাতে মৃত্যুমুখে পতিত হয় হায়াসিনথ। সে মৃত্যুতে শোকে দুঃখে একেবারে ভেঙ্গে পড়েন অ্যাপোলো। এক অপ্রতিরোধ্য বেদনায় ভেঙ্গে পড়েন মরণশীল মানুষের মত। কিন্তু হায়াসিনথের নামকে চিরদিন মর্তো অমর করে রাখার জন্য তার মৃত্যুর সময় তার দেহ থেকে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল সেই রক্ত থেকে এক নীল ফুলের জন্ম দেন তিনি।

অ্যাপোলো ও হায়াসিনথ photo credit: Madeline miller

অ্যাপোলোর আরেক প্রেমিকা ছিলেন ডাফনে নামে। ডাফনে ছিলেন একজন জলপরী।
“কিন্তু স্বর্গের দেবতার একান্তভাবে সাময়িক বা তাৎক্ষণিক ভালবাসায় কোন মানবী বা অর্ধদেবী কখনো সুখী হতে পারে না!”
এই কথা ভেবে অ্যাপোলোর কবল থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে ডাফনে। পালিয়ে গেলেও পরে আবার ধরা পড়েন। কিন্তু ধরা পড়লেও অ্যাপোলোর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হতে হয়নি তাকে। কারণ তার আগেই এ্যাপোলোর অভিশাপে লরেল গাছে পরিণত হয় ডাফনে। তবে এত কিছু সত্ত্বেও লরেলরূপিণী ডাফনের একটা উপকার করেন অ্যাপোলো। তাকে দান করেন চিরসবুজ পাতা, যে পাতার রং ম্লান হবে না কোনদিন।

অ্যাপোলো ও ডাফনে Image credit: Rowena Flower

অ্যাপোলোর আরো এক প্রেমিকার নাম ছিল মারপেসা। মারপেসা ইভেনসাস এর কন্যা। ইভেনাস এই সম্বন্ধে মত দিলেও মারপেসা রাজি হয়নি। সে ইডা নামক এক তরুণের সাথে পোসেইডনের দেয়া উড়ন্ত রথে করে পালিয়ে যায়। কিন্তু অ্যাপোলো তাদের ধরে ফেলে এবং জোর করে মারপেসা কে ছিনিয়ে নেয়। তখন জিউস এসে মধ্যস্থতা করে। সে মারপেসা কে সুযোগ দেয় নিজের বর ঠিক করতে। মারপেসা দেবতা নয় বরং নশ্বর ইডা কে পছন্দ করে নেয়। কারণ মানুষ হওয়ায় তারা দুজন একসাথে বৃদ্ধ হবে ও মারা যাবে কিন্তু দেবতাকে বেছে নিলে সে তাকে বৃদ্ধ বয়সে পরিত্যাগ করবে।

মারপেসা ও ইডা Image Source: Amino apps

এছাড়াও ট্রয়ের রাজা প্রায়াম এর স্ত্রী হেকুবা এর সাথে অ্যাপোলোর প্রণয়ের ফলে ত্রয়লাস নামক এক পুত্র সন্তান এর জন্ম হয়। একটি দৈববাণীতে উল্লেখ আছে যে এয়লাস এর বয়স বিশ বছর হলে ট্রয় নগরীর পতন হবেনা। কিন্তু তা হওয়ার আগেই একিলিস এয়লাস কে মেরে ফেলে।

আরো পড়ুন:  নার্সিসাস: নিজের শারীরিক সৌন্দর্যে মাতাল এক যুবক
হেকুবা Image credit: British mesuem blogs

এছাড়া ট্রয়ের রাজকন্যা ক্যাসান্দ্রাকে অ্যাপোলো খুব ভালোবাসতো। সে ভালোবেসে ক্যাসান্দ্রাকে দৈব শক্তিও দান করে। কিন্তু ক্যাসান্দ্রা তাকে বার বার ফিরিয়ে দিলে সে অভিশাপ দেয় যে ক্যাসান্দ্রার দৈববাণী কেউ বিশ্বাস করবেনা। তাই হেলেন এর ব্যাপারে প্যারিসকে বললেও সে বিশ্বাস করেনি। এমন কি ট্রয় যুদ্ধের সময় গ্রীকদের তৈরি কাঠের ঘোড়ার ব্যাপারেও সে সাবধান করে কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করেনি।

কাসান্দ্রা Image credit: Wikipedia

অন্যান্য দেবতারা তাদের ক্ষণপ্রণয়িণীদের উপর যে ব্যবহারই করুন না কেন, ডাফনের প্রতি এ্যাপোলোর আচরণটা ছিল সত্যিই বীরের মত মর্যাদাসম্পন্ন। কিন্তু তার সন্তান এ্যাসক্যালাপিয়াস এর মায়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপোলোর আচরণটা কিন্তু ন্যায়সঙ্গত হয়নি; বরং সেটা এক ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে গিয়ে পড়ে।

একবার একটা কাক সহসা এক কুৎসা রটনা করতে থাকে এসক্যালাপিয়াসের মায় সম্পর্কে। এই কুৎসার কথা শুনে এ্যাপেলো ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করেন এসক্যালাপিয়াসের মাকে। বলা হয় সেই সময় কাকের রং সাদা ছিল। এই ঘটনার পর এক অভিশাপে কুৎসাপ্রিয় কলহপ্রিয় সব কাকের রং কালো করে দেন অ্যাপোলো।

এছাড়াও এপোলোর পছন্দের তালিকায় আরো অনেকে ছিলো। তার পুরুষ সঙ্গীদের তালিকায় ছিলো হায়াসিন্থ, সাইপারিসাস, হিপ্পোলিটাস , ফোর্বাস ও আরো অনেকে।

ট্রয় যুদ্ধে অ্যাপোলো

ট্রয় যুদ্ধে অ্যাপোলো ট্রজানদের পক্ষ অবলম্বন করে। যুদ্ধে অ্যাপোলোর মন্দিরের যাজক ক্রিসেস এর কন্যা ক্রিসেইস কে অপহরণ করে নিয়ে যায় এগামেনন এবং ক্রিসেস তাকে ফেরত চাইলে এগামেনন তাকে অপমান করে ফলে ক্রিসেস এপোলোর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। আর তাই অ্যাপোলো গ্রীক সৈন্য শিবিরে প্লেগ ছড়িয়ে দেন। অ্যাপোলোর ক্রোধ থেকে বাঁচতে এগামেনন নিজ হাতে ক্রিসেস এর কন্যা ক্রিসেইস কে ফেরত দিয়ে যান।

হোমারের ইলিয়ডে উল্লেখ আছে আফ্রোদিতির সন্তান ইনিয়াস যখন ডায়োমিতের দ্বরা আঘাতপ্রাপ্ত হন তখন অ্যাপোলো তাদের রক্ষা করেন। আফ্রোদিতি নিজের সন্তান কে বাচাতে গিয়ে নিজেই আহত হন, তখন অ্যাপোলো মা ছেলেকে মেঘের দ্বারা আড়াল করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন।

ট্রয় যুদ্ধে মহান বীর যোদ্ধা অ্যাকিলিস কে হত্যা করতে অ্যাপোলো প্যারিস কে সহায়তা ও করেছিলেন। অ্যাপোলোর ছেলে ত্রয়লাস কে অ্যাকিলিস মন্দিরের বেদিতে হত্যা করেছিলেন, মূলত ছেলের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই অ্যাকিলিস কে হত্যা করার জন্য প্যারিস কে সহায়তা করেন।

ট্রয় যুদ্ধ Credit: Greeking. Me

অলিম্পিয়াসের দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে সুদর্শন ও শক্তিশালী দেবতা অ্যাপোলো। রোমানদের কাছে গ্রীক দেবতারা বিভিন্ন নামে পরিচিত থাকলেও অ্যাপোলো নামেই তিনি রোমানদের কাছে বেশি পরিচিত।

তথ্যসূত্র: গ্রীক মিথলজি, গ্রীক পুরাণকথা, উইকিপিডিয়া

Leave a Reply

This Post Has One Comment

  1. Anonymous

    যদি সম্ভব হয় গ্রীক পুরাণের সব দেব দেবী নিয়ে লিখবেন