You are currently viewing তসলিমা নাসরিন এর ৩০ টি বিখ্যাত উক্তি

তসলিমা নাসরিন এর ৩০ টি বিখ্যাত উক্তি

কতেই হবে ভালবেসে যদি গোপনে কিছু করো,
প্রত্যাশা কোনও, এমনকি ভালোবাসা পাবার আশা।

যেরকম ছিলে, সেরকমই তুমি আছ
কেবল আমাকে মাঝপথে ডুবিয়েছ
স্বপ্নের জলে উল্টো ভাসান এত
আমি ছাড়া আর ভাগ্যে জুটেছে কার!”

তুমি ছাড়া তোমার কেউ নেই
কোন প্রাণী বা উদ্ভিদ নেই।
তবু এত যে বলো তুমি তোমার,
তুমিও কি আসলে তোমার?

যৌন উত্তেজনা বেড়েছে তোমার, সে তোমার সমস্যা, আমার নয়। তোমার সেটি বাড়ে বলে আমার নাক, চোখ, মুখ সব বন্ধ করে দেবে এ হতে পারেনা। যৌন উত্তেজনা আমারও আছে, সে কারণে তোমার নাক, চোখ, মুখ ঢেকে রাখার দাবি আমি করিনি।

যে তোমাকে বন্ধ বলে,
সেও তোমার কেউ নয়।
তুমি একা।
তুমি যখন কাঁদো, তোমার আঙুল
তোমার চোখের জল মুছে দেয়,
সেই আঙুলই তোমার আত্মীয়।“

যদি ভুলে যাবার হয়,ভুলে যাও।
দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে
হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,
দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে
এভাবে বিরক্তও করো না।

নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সামান্য সচেতন হলে
মেয়েরা নিশ্চই বুঝতো যে জগতে যত নির্যাতন আছে
মেয়েদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় নির্যাতন হল
মেয়েদের সুন্দরী হওয়ার জন্য লেলিয়ে দেওয়া।

ও কী গুনছ! দিন!
দিন তো যাবেই! দুঃখ পোষা মেয়ে!
শুঁকোতে দাও স্যাঁতস্যাঁতে এ জীবন রোদের পিঠে,
আলোর বিষম বন্যা হচ্ছে দেখ, নাচছে ঘন বন…
সঙ্গে সুখী হরিণ।

হে নারী,
কেউ যদি তোমাকে ধর্ষণ করতে আসে,
তুমিও তাকে ধর্ষণ করে দাও।
পুরুষদের দেখিয়ে দাও,
ধর্ষণ শুধু তারা নয়, তোমরাও পারো।

বাংলাদেশ আর ভারতকে ভাগ করলে চলবে?
ভাগ করতে হবে খারাপ লোক আর ভালো লোক।
ভারতের সকলে যেমন ভালো নয়,
বাংলাদেশের সকলেও তেমন ভালো নয়।

ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত,
এখনো কেমন যেন হৃদয় টাটায়
প্রতারক পুরুষেরা  এখনো আঙুল ছুঁলে
পাথর শরীর বয়ে ঝরনার জল ঝরে।

আজকাল তো ব্যস্ততাও বেড়েছে খুব।
সেদিন দেখলাম সেই ভালোবাসা গুলো কাকে
যেন দিতে খুব ব্যস্ত তুমি,
যেগুলো তোমাকে আমি দিয়েছিলাম।

আরো পড়ুন:  ফ্রানৎস কাফকার উক্তি | ফ্রানৎস কাফকার ২০ টি বিখ্যাত উক্তি

যেরকম ছিলে, সেরকমই তুমি আছ
কেবল আমাকে মাঝপথে ডুবিয়েছ
স্বপ্নের জলে উলটো ভাসান এত
আমি ছাড়া আর ভাগ্যে জুটেছে কার!”

“বড়শিতে গাঁথা হৃদপিন্ডের আঁশ
ছিঁড়ে খেতে চাও, তুমি তো পুরুষই খাবে।
সাঁতার জানি না, মধ্যনদীতে ডুবি
অন্ধকে টোপ দেবার মানুষ নেই।”

আমি তাকে ভালোবেসে,ঘৃণা করে, তাকে সসম্মানে, গোপনে,
তাকে হৃৎপিণ্ডে, রক্তচলাচলে বহন করি, বাঁচাই।
আমার সময়। আমার আততায়ী, আমি জন্মে তাকে জন্ম দিই।”

শোনো শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, সীতাকুণ্ড- পাহাড়-আমি ফিরব।
যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন।”

সে তোমার বাবা, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার ভাই, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার বোন, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার মা, আসলে সে তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।”

“যে তোমাকে বন্ধু বলে, সেও তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।
তুমি যখন কাঁদো, তোমার আঙুল
তোমার চোখের জল মুছে দেয়, সেই আঙুলই তোমার আত্মীয়।”

“তুমি ছাড়া তোমার কেউ নেই
কোন প্রানী বা উদ্ভিদ নেই।
তবু এত যে বলো তুমি তোমার,
তুমিও কি আসলে তোমার ?”

আজকাল তো ব্যস্ততাও বেড়েছে খুব।
সেদিন দেখলাম সেই ভালবাসাগুলো
কাকে যেন দিতে খুব ব্যস্ত তুমি,
যেগুলো তোমাকে আমি দিয়েছিলাম।”

ঠকতেই হবে ভালবেসে যদি গোপনে কিছুর করো
প্রত্যাশা কোনও, এমনকি ভালবাসাও পাবার আশা।”

ইচ্ছে ছিল বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের জলে, কেউ জানবে না,
ভাসিয়ে দেব একদিন
কচুরিপানার মতো, খড়কুটোর মতো, মরা সাপের মতো ভাসতে ভাসতে দুঃখরা
চলে যাবে কুচবিহারের দিকে…”
দুঃখবতী মা – তসলিমা নাসরিন

এখনো কেমন যেন কল কল শব্দ শুনি
নির্জন বৈশাখে, মাঘচৈত্রে
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
বিশ্বাসের রোদে পুড়ে নিজেকে অঙ্গার করি”।

“প্রতারক পুরুষেরা একবার ডাকলেই
ভুলে যাই পেছনের সজল ভৈরবী
ভুলে যাই মেঘলা আকাশ, নাফুরানো দীর্ঘ রাত।
একবার ডাকলেই
সব ভুলে পা বাড়াই নতুন ভুলের দিকে
একবার ভালোবাসলেই
সব ভুলে কেঁদে উঠি অমল বালিকা।

আরো পড়ুন:  লর্ড বায়রনের উক্তি | ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবির ৩০ টি বিখ্যাত উক্তি

“ভুল প্রেমে তিরিশ বছর গেল
সহস্র বছর যাবে আরো,
তবু বোধ হবে না নির্বোধ বালিকার।”

ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
এখনো কেমন যেন হৃদয় টাটায়
প্রতারক পুরুষেরা এখনো আঙুল ছুঁলে
পাথর শরীর বয়ে ঝরনার জল ঝরে”।

যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও।
দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,
দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে এভাবে বিরক্তও করো না।”

“ভুলে যেতে হলে ভুলে যাও, বাঁচি।
যত মনে রাখবে, যত চাইবে আমাকে, যত কাছে আসবে,
যত বলবে ভালোবাসো, তত আমি বন্দি হতে থাকবো তোমার হৃদয়ে, তোমার জালে,
তোমার পায়ের তলায়, তোমার হাতের মুঠোয়, তোমার দশনখে”।

আমার সংজ্ঞায় চরিত্রহীনতার সঙ্গে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক আছে শঠতা, নীচতা, অসততা, মিথ্যে, প্রতারণা, ছলনা, চাতুরীর সঙ্গে”।

“বাংলাদেশ আর ভারতকে ভাগ করলে চলবে? ভাগ করতে হবে খারাপ লোক আর ভালো লোক। ভারতের সকলে যেমন ভালো নয়, বাংলাদেশের সকলেও তেমন ভালো নয়।”

“মানুষের চরিত্রই এমন
বসলে বলবে না, বসো না
দাঁড়ালে, কি ব্যাপার হাঁটো
আর হাঁটলে, ছি: বসো।
শুয়ে পড়লে ও তাড়া – নাও উঠো,
না শুলে ও স্বষ্তি নেই, একটু তো শুবে!”

আমার সংজ্ঞায় চরিত্রহীনতার সঙ্গে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক আছে শঠতা, নীচতা, অসততা, মিথ্যে, প্রতারণা, ছলনা, চাতুরীর সঙ্গে”।

“বাংলাদেশ আর ভারতকে ভাগ করলে চলবে? ভাগ করতে হবে খারাপ লোক আর ভালো লোক। ভারতের সকলে যেমন ভালো নয়, বাংলাদেশের সকলেও তেমন ভালো নয়।”

“মানুষের চরিত্রই এমন
বসলে বলবে না, বসো না
দাঁড়ালে, কি ব্যাপার হাঁটো
আর হাঁটলে, ছি: বসো।
শুয়ে পড়লে ও তাড়া – নাও উঠো,
না শুলে ও স্বষ্তি নেই, একটু তো শুবে!”

পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে”।

“হে নারী, কেউ যদি তোমাকে ধর্ষণ করতে আসে, তুমিও তাকে ধর্ষণ করে দাও। পুরুষদের দেখিয়ে দাও, ধর্ষণ শুধু তারা নয়, তোমরাও পারো।”

আরো পড়ুন:  আনিসুল হকের উক্তি: সাহিত্যিক আনিসুল হক এর বিখ্যাত উক্তি

“যৌন উত্তেজনা বেড়েছে তোমার, সে তোমার সমস্যা, আমার নয়। তোমার সেটি বাড়ে বলে আমার নাক চোখ মুখ সব বন্ধ করে দেবে, এ হতে পারে না। আমি তোমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নই যে তুমি আমাকে আদেশ দেবে আমি কি পরবো, কীভাবে পরবো, কোথায় যাবো, কতদূর যাবো। তোমার সমস্যার সমাধান তুমি করো। আমাকে তার দায় নিতে হবে কেন! যৌন উত্তেজনা আমারও আছে, সে কারণে তোমার নাক চোখ মুখ ঢেকে রাখার দাবি আমি করিনি”।

“যে সমাজে শিক্ষিত, স্বনির্ভর, সচেতন মেয়ের সংখ্যা বেশি, সেই সমাজে বিচ্ছেদের সংখ্যাটা বেশি, বিয়ের সংখ্যাটা কম।”

ও কী গুণছ !
দিন!
দিন তো যাবেই ! দুঃখপোষা মেয়ে !
শুকোতে দাও স্যাঁতস্যাঁতে এ জীবন
রোদের পিঠে, আলোর বিষম বন্যা
হচ্ছে দেখ, নাচছে ঘন বন…
সঙ্গে সুখী হরিণ। ”

“তুমি মেয়ে,
তুমি খুব ভাল করে মনে রেখো
তুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবে
লোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।
তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবে
লোকে তোমার পিছু নেবে, শিস দেবে।
তুমি যখন গলি পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠবে
লোকে তোমাকে চরিত্রহীন বলে গাল দেবে।
যদি তুমি অপদার্থ হও
তুমি পিছু ফিরবে
আর তা না হলে
যেভাবে যাচ্ছ, যাবে।”

নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সামান্য সচেতন হলে মেয়েরা নিশ্চয়ই বুঝত যে জগতে যত নির্যাতন আছে মেয়েদের বিরুদ্ধে, সবচেয়ে বড় নির্যাতন হল- মেয়েদের সুন্দরী হওয়ার জন্য লেলিয়ে দেওয়া”।

“ ও মেয়ে, শুনছ !
বাইরে খানিক মেলে দাও তো এসব
দুঃখ তোমার একদম গেছে ভিজে…
হাওয়ার একটি গুণ চমৎকার
কিছু দুঃখ উড়িয়ে নেয় নিজে।”

পৃথিবীর ইতিহাসে, কোনও অন্ধকার সমাজে যখনই কোনও নারী পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে উঠেছে, নিজের স্বাধীনতার কথা বলেছে, ভাঙতে চেয়েছে পরাধীনতার শেকল, তাকেই গালি দেওয়া হয়েছে পতিতা বলে।”

যা পেতে ইচ্ছে করে, আমি তাকেই বলি সুন্দর।
প্রত্যেকটি প্রাণেরই এক-একটা স্বতন্ত্র চেহারা থাকে।
সুন্দরের কোনো নির্দিষ্ট চেহারা নেই, সে আপেক্ষিক।

Leave a Reply