মুহাম্মদ আলীর আসল নাম ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র ইংরেজি: Cassius Marcellus Clay, Jr.। পেশসয় তিনি একজন মার্কিন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন, সাধারণভাবে যাকে ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ক্রীড়াজীবনের শুরুর দিকে আলী রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক এবং বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড তাকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় এবং বিবিসি তাকে শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করেছে। মোহাম্মদ আলী মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে ২২ বছর বয়সে তিনি সনি লিস্টনকে পরাজিত করে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন। ফেব্রুয়ারি ২৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবিতর্কিত হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তিনি সম্মান পান এবং এর কয়েকদিন পরেই তিনি নেশন অব ইসলামে যোগদান করে তার নাম পরিবর্তন করেন।
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সুন্নি ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। ১৯৬৭ সালে আলী তার ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের বিরোধিতার কারণে মার্কিন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান করতে অস্বীকৃত হন। এর কয়েকদিন পরেই তাকে এই কারণে দোষী সাব্যস্ত করে তার বক্সিং উপাধি কেরে নেওয়া হয়। এরফলে তিনি তার জীবনের সেরা সময়ে পরবর্তী চার বছর কোন ধরনের বক্সিং প্রতিযোগিয়ায় নামতেই পারেননি। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর আপীল সুপ্রিম কোর্টে পেশ হয় এবং সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়। যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিবেকজনিত কার্যকলাপ তাকে সংস্কৃতি বিরোধী প্রজন্মের নিকট শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে। বক্সিং জগতে ফিরে এসেই আলী ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন। পেশাদার কুস্তিগির জর্জ ওয়েগনার দ্বারা অনুপ্রাণিত আলী বক্সিং-এর সঙ্গে সম্পর্কহীন বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও সাক্ষাতকারে স্পষ্ট মতামত জানাতে দ্বিধা করতেন না। আলী শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের বিরোধিতা করে আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীড়াজগতের অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হন। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা জুন, শ্বাসনালীর সংক্রমণে অ্যারিজোনায় মুহাম্মদ আলী মৃত্যুবরণ করেন।
১
বিশ্বাসের অভাবেই মানুষ চ্যালেন্জ নিতে ভয় পায়। আমি নিজের উপর সবসময়ই বিশ্বাস রাখি।
২
বয়স হচ্ছে তুমি যা ভাবো তাই। তুমি নিজেকে যত বছর বয়সী ভাবো তুমি আসলেই তত বছর বয়সী।
৩
আমিই সেরা। এই বাক্যটি আমাকে আমি চেনার অনেক আগেই বলেছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি যদি আমি যথার্থভাবে বলতে পারি তাহলে গোটা বিশ্বকে আমি মুগ্ধ করতে পারব। আমি আসলেই সেরাদের সেরা ছিলাম।
৪
প্রজাপতির মতো ভেসে থাকো এবং মৌমাছির মতো হুল ফোটাও।
৫
প্রশিক্ষণের প্রতিটি মিনিটকেই আমি ঘৃণা করেছি, কিন্তু নিজেকে বলেছি, ‘এখন কষ্ট করো, সারাজীবন চ্যাম্পিয়ন হয়ে কাটাতে পারবে’।
৬
লড়াইয়ের জয় পরাজয় বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে, লাইনের পেছনে, ব্যায়ামাগারে এবং পিচঢালা রাস্তায়; অনেক আগেই আমি সেইসব আলোতে নেচেছিলাম।
৭
আমি প্রার্থনা করি মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসে অন্য সব মানুষকেও সেভাবে ভালোবাসবে। তাহলে পৃথিবীটা আরো বেশী সুন্দর হবে।
৮
ঘাসেরা বেড়ে ওঠে, পাখি আকাশে ওড়ে, ঢেউ বালিকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এটাই ওদের কাজ। আমি মারি।
৯
আমি ওঠা-বসা গণনা করি না। আমি কেবল তখনই গুনতে শুরু করি যখন আঘাত পাই। কারণ, এগুলোই একমাত্র গনণার যোগ্য। কারণ, এগুলোই আপনাকে চ্যাম্পিয়ন বানাবে।
১০
ঝুঁকি নেওয়ার মতো সাহস যার নাই সে জীবনে কিছুই করতে পারে না।
১১
স্বপ্ন সফল করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো জেগে ওঠা।
১২
আমি জানি আমি কি করছি এবং কোনটা সত্য। তুমি আমাকে যেভাবে আশা করো আমাকে সেরকমই হতে হবে না। আমি কেমন হবো সে ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ স্বাধীন।
১৩
ইচ্ছাশক্তি অবশ্যই দক্ষতার চেয়ে শক্তিশালী।
১৪
বাড়িতে আমি খুবই ভদ্র, ভাল মানুষ। কিন্তু আমি চাই না গোটা বিশ্ব সেটা জানুক। ভদ্র মানুষরা বেশি দূর যেতে পারে না।
১৫
পর্বত তোমার উপরে ওঠার পথে বাধা নয়। তোমার জুতোয় আটকে থাকা নুড়িই তোমার অন্তরায়।
১৬
যদি স্বর্গ দেখতে চাও, তাহলে বাংলাদেশে আসো’।
১৭
অসম্ভব সেই সব মানুষের তৈরি একটা বড় শব্দ যাঁরা অজুহাতেই বাঁচতে চান। নিজেদের ক্ষমতা জানতে চান না, কোনও কিছু বদলাতে চান না। অসম্ভব কোনও ঘটনা নয়, একটা মত। অসম্ভব কেউ ঘোষণা করেনি। এটা সাহস। এটা ক্ষমতা। অসম্ভব অস্থায়ী। অসম্ভব কিছুই না।
১৮
যদি স্বপ্নেও আমাকে হারানোর কথা ভাবো, তা হলে এখনই জাগো। ক্ষমা চাও।
১৯
নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে না। আমি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখি।
২০
“প্রতিদিন এমন ভাবে বাঁচো যেন সেটাই তোমার জীবনের শেষে দিন। কারণ এক দিন তুমি ঠিক হবেই।”
২১
আপনি যা চিন্তা করবেন তাই হবেন।
২২
“তুমি ২০ বছরে যে ভাবে পৃথিবীটাকে দেখতে, যদি ৫০ বছরেও সে ভাবেই দেখ, তা হলে জীবনের ৩০ বছর তুমি নষ্ট করেছো।”
২৩
গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে মানুষকে ঘৃণা করা ভুল। এটি কোনো বিষয় নয় যে, কোন রংকে আপনি ঘৃণা করছেন। এটা সম্পূর্ণ ভুল
২৪
“অন্যদের সাহায্য করার মধ্যে দিয়েই তোমাকে এই পৃথিবীতে তোমার থাকার ঘরের ভাড়া চোকাতে হয়।”
২৫
“যার কল্পনা নেই, তার ভর করে ওড়ার ডানাও নেই।”
২৬
দিনকে আপনার গণনা করার প্রয়োজন নেই, দিনই আপনাকে গণনা করবে।
২৭
“আমি চাই মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসে সবাইকে সেভাবেই ভালোবাসবে। তাহলেই পৃথিবীটা আরও সুন্দর হবে।”
২৮
“কখনও দিনকে গুনতে যেও না। এমন কিছু কর যেন দিনই তোমাকে মনে রাখে।”
২৯
“যখন আপনার মাথায় ভালো কোনো উত্তর আসবে না, তখন নীরব থাকাটাই ভালো।”
৩০
“ইচ্ছাশক্তি অবশ্যই দক্ষতার চেয়ে শক্তিশালী।”