তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি : তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের ৪০ টি বিখ্যাত উক্তি
কাঁদিলে তাহার বুকের ভিতরে গভীর যন্ত্রনাদায়ক আবেগটা কমিয়া যায়। কাঁদিতে কাঁদিতে সে কিছুক্ষণ পর তৃপ্তি অনুভব করে, তাহার পর একটা আনন্দ পায়।
কাঁদিলে তাহার বুকের ভিতরে গভীর যন্ত্রনাদায়ক আবেগটা কমিয়া যায়। কাঁদিতে কাঁদিতে সে কিছুক্ষণ পর তৃপ্তি অনুভব করে, তাহার পর একটা আনন্দ পায়।
তুমি বরং আমার একটা নাম দিও ভালোবাসার সময় হলে সে নাম ধরে ডাক দিও কখনো যদি হইগো উধাও এপার-ওপার খুঁজে না পাও তোমার দেওয়া নামটি ধরে শেষ একটি বার ডাক দিও
মানুষের মহত্ত্ব এইখানে যে সব রকম আদর্শের কথাই সে ভাবে। কিন্তু তার দুর্বলতা এইখানে যে সে কোনও আদর্শকেই শেষ পর্যন্ত সম্মান করে না, শক্তি অর্জন করার পরই তার মাথা খারাপ হয়ে যায়৷
যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি।
আত্মার উন্নয়ন না করে শারীরিক সুস্থতা অর্থহীন। জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আত্মার উন্নয়ন সাধনই মানুষের প্রথম ও প্রধান কাজ।
একটি কাক আরেকটি কাকের মুখের খাবার কেড়ে নেয়ার জন্য যতরকম ধূর্ততার আশ্রয় নিয়ে থাকে, একজন কবি আরেকজন কবির প্রাপ্য সম্মানটুকু কেড়ে নেয়ার জন্য তাঁর চাইতে কিছু কম করে না।
আপনি যদি একটি দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়ে নিজের ৩৫ বছর বয়সেও সেই দরিদ্রই থাকেন তবে দরিদ্র হয়ে থাকাটা আপনার কপালের দোষ নয়, আপনি এটি প্রত্যাশা করেন। কারন আপনি আপনার যুবক বয়সকে কোন কাজে লাগাতে পারেন নি, আপনি সম্পূর্ণ ভাবে সময়টা নষ্ট করে দিয়েছেন।
ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান— তারা রাগে না। পাছায় লাত্থি মারলেও লাত্থি খেয়ে হাসবে। -রূপার পালঙ্ক, হুমায়ূন আহমেদ
আমি একা এই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারবোনা। তবে আমি স্বচ্ছ জলে একটি ছোট পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করে বড় বড় জলতরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারবো।
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।
সে নিজে বেশ বুঝতে পারে, এই এক বৎসরে তাহার মনের প্রসারতা এত বাড়িয়া গিয়াছে, এমন একটা নতুনভাবে সে জগৎটাকে, জীবনটাকে দেখিতে আরম্ভ করিয়াছে… সে এটুকু বেশ বোঝে, কলেজে পড়িয়া ইহা হয় নাই, কোনো প্রফেসরের বক্তৃতাতেও না- যাহা কিছু হইয়াছে, এই বড় আলমারি ভরা লাইব্রেরিটার জন্য, সে তাহার কাছে কৃতজ্ঞ। সে যতক্ষণ লাইব্রেরিতে থাকে, ততক্ষণ তাহার খাওয়াদাওয়ার কথা তত মনে থাকে না। এই সময়টা এক একটা খেয়ালের ঘোরে কাটে। খেয়ালমত এক একা বিষয়ে প্রশ্ন জাগে মনে, তাহার উত্তর খুজিতে গিয়া বিকারের রোগীর মত অদম্য পিপাসায় সে সম্বন্ধে যত বই পাওয়া যায় হাতের কাছে- পড়িতে চেষ্টা করে।
তুমি বসন্তের কোকিল। প্রাণ ভরিয়া ডাক, তাহাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু তোমার প্রতি আনুরোধ সময় বুঝিয়া ডাকিবে।
অসম্ভব সেই সব মানুষের তৈরি একটা বড় শব্দ যাঁরা অজুহাতেই বাঁচতে চান। নিজেদের ক্ষমতা জানতে চান না, কোনও কিছু বদলাতে চান না। অসম্ভব কোনও ঘটনা নয়, একটা মত। অসম্ভব কেউ ঘোষণা করেনি। এটা সাহস। এটা ক্ষমতা। অসম্ভব অস্থায়ী। অসম্ভব কিছুই না।
লোকে বলে বোরখা নারীদের বন্দি করে রেখেছে, আমি তো দেখি বোরখা নারীর সুবিধের জন্যই, ইচ্ছে করলেই নিজেকে লুকিয়ে ফেলা যায় বোরখার আড়ালে।
জ্ঞানী মানুষ কখনো দুই মনের হয় না; পরোপকারী মানুষ কখনই চিন্তা করে না; আর সাহসী মানুষ কখনো ভয় পায় না।