গ্রীক মিথলজি ও পৃথিবী বিখ্যাত ট্রয়ের যুদ্ধের অন্যতম এক চরিত্রের নাম আগামেমনন। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা ট্রয় যুদ্ধে আগামেমনন ছিলেন গ্রীক সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার। আগামেমনন চরিত্রগত দিক থেকে ছিলেন অহংকারী, কর্তৃত্ববাদী, কঠোর, দায়িত্বশীল কিন্তু ভুল সিদ্ধান্তপ্রবণ পারিবারিক জীবনে দুর্বলএবং এক ব্যক্তি। আর তার এইসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্যই তার জীবনের সমাপ্তি ঘটে করুণ এক ট্রাডেজির মাধ্যমে।
আগামেমনন ছিলেন প্রাচীন গ্রীসের আরগোস রাজ্যের রাজা। তার আপন ছোট ভাইয়ের নাম মেনেলাউস। আগামেমনন বিয়ে করেন স্পার্টার রাজকন্যা ক্লাইটেম্নেস্ট্রাকে, আর আগামেমননের ছোটভাই মেনেলাউস বিয়ে করেন ক্লাইটেম্নেস্ট্রারই ছোটবোন হেলেনকে। হেলেনকে তখন বলা হতো প্রাচীণ গ্রিসের সবচেয়ে সুন্দরী নারী। মেনেলাউস হেলেনকে বিয়ে করে স্পার্টার রাজা হয়ে যান।
এরইমধ্যে ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিস স্পার্টার রাজা মেনেলাউসের অতিথি হিসেবে সেখানে যায়। প্রাচীন গ্রিক রীতিতে অতিথি ছিল অত্যন্ত সম্মানিত, তাই তাকে রাজপ্রাসাদে থাকতে দেওয়া হয়। মেনেলাউস তখন কোনো এক কারণে স্পার্টা ছেড়ে ক্রিট দ্বীপে যায়। মেনেলাউসের অনুপস্থিতিতে মেনেলাউসের স্ত্রী হেলেনকে দেখে প্যারিস গভীরভাবে তার প্রেমে পড়ে যায়। প্যারিস হেলেনকে প্রলুব্ধ করে বা (কিছু মতে) সম্মতিতে তাকে নিয়ে চলে যায়। এই প্রেমের পেছনে রয়েছে গ্রীক প্রেমের দেবী আফ্রোদিতির কারসাজি।
প্যারিস হ্যালেনকে নিয়ে পালিয়ে যাবার অনেকদিন আগে একটি বিবাহে যোগ দিয়েছিলেন। বিয়েটি ছিলো রাজা পেলিয়াস ও জলদেবী থেটিসের মধ্যে। বিয়েতে অনেক গ্রীক দেব দেবী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেই বিবাহে ঝামেলার দেবী এরিসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর তাই রাগান্বিত হয়ে এরিস সেই বিবাহের মাঝে একটি আপেল ছুঁড়ে মারেন। যার উপর লেখা ছিল ‘পৃথিবীর সুন্দরতম নারীর জন্য’। তিন দেবী হেরা, অ্যাথেনা, অ্যাফ্রোদিতি মধ্যে কে সবচেয়ে সুন্দর সেটার বিচারক হিসেবে নির্ধারণ করবার দায়িত্ব এসে পড়ে প্যারিসের উপর। অ্যাফ্রোদিতি প্যারিসকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে তাকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী নারী উপহার দিবে যদি সে আফ্রিদিকে সবচেয়ে সুন্দর ঘোষণা করে। সেই প্রতিশ্রুতির ফল হিসেবে হেলেনকে লাভ করা প্যারিসের নিয়তি হিসেবে দেখা হয়।
প্যারিস হ্যালেনকে নিয়ে পলায়ন করার হেলেনের স্বামী মেনেলাউস তার ভাই আগামেমননের সাহায্য নিতে তার কাছে আসেন। আগামেমনন তখন সকল গ্রীক রাজা ও তার বাহিনী নিয়ে ট্রয় আক্রমণের জন্য হাজার জাহাজ নিয়ে ট্রয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। গ্রিকদের বিশাল নৌবহর ট্রয়ের দিকে যাত্রা করার পর সমুদ্রের মাঝে তাদের জাহাজগুলো আটকে যায়। সমুদ্র তখন স্থির হয়ে যায়। জাহাজের পাল বাতাস ছাড়া একটুও এগুতে পারছিলো না। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারন দেবী আর্তেমিসের রোষ বলে মনে করা হয়। এক পুরাণকথায় বলা হয়: অ্যাগামেমনন একদিন গর্ব করে বলেছিলেন যে তিনি নাকি দেবী আর্তেমিসের চেয়েও ভালো শিকারি। দেবী আর্তেমিস এতে রেগে যান। আবার আরেক সংস্করণে বলা হয় অ্যাগামেমনন আর্তেমিসের পবিত্র হরিণী হত্যা করেছিলেন। আর সেই অপরাধের শাস্তি হিসেবে আর্তেমিস আগামেমনের নৌবহরকে আটকে দেন।

আগামেমননের জাহাজে থাকা গ্রিক ভবিষ্যদ্বক্তা ক্যালকাস তখন আগামেমননকে বলেন, যে দেবী আর্তেমিস তখনই বাতাস ও স্রোত দেবেন, যদি অ্যাগামেমনন তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস নিজের মেয়ে ইফিজেনিয়াকে দেবী আর্তেমিসের উদ্দেশ্যে বলি দেন। যুদ্ধ ও কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে অ্যাগামেমনন কঠিন সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি নিজ সন্তান ইফিজেনিয়াকে বলি দেবেন। আর তাই আগামেমনন তার স্ত্রী ক্লাইটেম্নেস্ট্রাকে একটি চিঠি পাঠান। অ্যাগামেমনন ক্লাইটেম্নেস্ট্রাকে সরাসরি বলেননি যে তাকে বলি দেওয়া হবে। তিনি চিঠিতে বলেন যে বীর যোদ্ধা অ্যাকিলিসের সঙ্গে তার মেয়ে ইফিজেনিয়ার বিয়ে দিবেন। সেজন্য ইফিজেনিয়াকে পাঠিয়ে দিতে বলেন।
ইফিজেনিয়া যখন গ্রীক রণতরীতে পৌঁছায় সেখানে সে সত্য জানতে পেরে ভেঙে পরে। ইফিজেনিয়া স্বেচ্ছায় বাবার বলিদানের প্রস্তাব মেনে নেয়। এতে সে মনে করেছে এতে গ্রীকরা যুদ্ধ জয় লাভ করবে। মৃত্যুর আগে ইফিজেনিয়া বলেছিল ‘গ্রীসের কল্যাণের জন্য আমি আমার জীবন দেব।’ ইফিজেনিয়াকে বেদীর উপর বলি দেওয়া হয়। অ্যাগামেমনন তার নিজের হাতে মেয়ে হারান। এই ঘটনা তার স্ত্রী ক্লাইটেম্নেস্ট্রাকে পাগল করে তোলে। আগাম্যমননের স্ত্রী অপেক্ষায় থাকেন কখন তার স্বামী যুদ্ধ হতে ফিরে আসবেন আর তারপর তিনি প্রিয় সন্তান হত্যার প্রতিশোধ নেবে।
অ্যাগামেমনন ও তার বাহিনী দীর্ঘ ১০ বছর চেষ্টা করেও ট্রয় নগরীর শক্ত প্রাচীর ভেদ করতে পারছিলেন না। সে সময় তার শিশিরে গ্রীক দেবতা অ্যাপোলো প্লেগ রোগ ছড়িয়ে দেন কারন অ্যাগামেমনন দেবতা অ্যাপোলোর পুরোহিত স্রাইসেস এর মেয়ে সাইস্রিস কে বন্দি নিজের নিজের দৈহিক কামনা পূরণের জন্য নিজের মিস্ট্রেস বানিয়ে রেখেছে। দেবতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে অ্যামেমনন সাইস্রিসকে তার বাবার কাছে ফেরত পাঠাতে বাধ্য হয়। এর পরিবর্তে অ্যাগামেমনন বীর যোদ্ধা অ্যাকিলিসের মিস্ট্রেস ব্রিসিসকে নিজের মিস্ট্রেস হিসেবে নিজের কাছে নিয়ে নেন। এই ঘটনায় একিলিস ক্রুদ্ধ হয়ে নিজেকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে নেয়। কিন্তু যখন অ্যাকিলিসের প্রিয় বন্ধু পেট্রোক্লাস ট্রয়ের রাজপুত্র ও সেনাপতি হেক্টরের হাতে মৃত্যু হয় একিলিস তখন আবারো যুদ্ধে পুনরদয় অংশগ্রহণ করে এবং হেক্টরকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়। হেক্টরের মৃত্যুর পর অ্যাগামেনন আরেক বীর যোদ্ধা ইউলিসিস এর সহযোগিতায় গ্রীক প্রাচীর ভেদ করতে সক্ষম হয় এবং পুরো নগরী তারা ধ্বংস করে ফেলে। সকল পুরুষ আর শিশুদের তার হত্যা করে ফেলে আর নারীদের রেখে দেয় কেবল নিজেদের দৈহিক লালসা পূরণের জন্যে।
দীর্ঘ ১০ বছরের যুদ্ধ শেষে অ্যাগামেমনন তার নিজ রাজ্য আর্গোসে ফিরে আসেন। আর তার সাথে ছিলো ট্রয়ের এক রাজকন্যা কাসান্দ্রা। যুদ্ধ জয়ের উপঢৌকন হিসেবে অ্যাগামেমনন কাসান্দ্রাকে লাভ করেছে। কাসান্দ্রা এখন তার নতুন মিস্ট্রেস। ওদিকে অ্যাগামেমননের স্ত্রী ক্লাইটেম্নেস্ট্রা দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছে স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষায়, যাতে সে নিজের প্রিয় সন্তান হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারে।
অ্যাগামেমননের জীবনে এতো এতো বাঁধা তার পেছনে রয়েছে তার পরিবারের বংশগত পাপ। অ্যাগামেমননের পরিবারের ইতিহাস গ্রিক মিথলজির সবচেয়ে অভিশপ্ত বংশগুলোর মধ্যে, যার নাম House of Atreus বা অ্যাট্রিয়াসের বংশ। এই বংশের মধ্যেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হত্যা, প্রতারণা, কানিবালিজম, বিশ্বাসঘাতকতা—এমন ভয়ংকর অপরাধ ঘটে এসেছে। তাই অ্যাগামেমনন জন্ম থেকেই এক অভিশাপ বহন করছিলেন।

অ্যাগামেমননের বাবা নাম ছিলো অ্যাট্রিয়াস, আর তার চাচা থায়েস্টিস। থায়েস্টিস অ্যাট্রিয়াসের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করেন নিজের লালসা মেটাতে। এই ঘটনায় প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে অ্যাট্রিয়াস তার ভাই থায়েস্টিসের তিন ছেলেকে হত্যা করেন। শুধু হত্যা করেই থেমে থাকেন নি। সেই মৃত সন্তানদের মাংস রান্না করে তিনি থায়েস্টিসকে খাওয়ান। এই অপরাধটি গ্রিক মিথলজির সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধগুলোর মধ্যে একটি। এরপর থায়েস্টিস সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং থায়েস্টিস আবার নিজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে একটি ছেলে এইজিস্থাসের জন্ম দেন। যিনি বড় হয়ে অ্যাগামেমননকে হত্যা করবে এবং বাবার প্রতিশোধ নেবে।
দীর্ঘ ১০ বছর অ্যাগমেমননের অনুপস্থিতিতে এইজিস্থাস ক্লাইটেম্নেস্ট্রার প্রেমিকে পরিণত হয়।ক্লাইটেম্নেস্ট্রা নিজের মেয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চায় এইজিস্থাস তা জানে। আর তাই নিজের বাবা ও ভাইয়ের প্রতিশোধ নিতে সে ক্লাইটেম্নেস্ট্রার সাথে প্রণয়ে জড়ায়। অ্যাগামেমনন যুদ্ধে জয় লাভ করে ফিরে আসছে সেই খবর ক্লাইটেম্নেস্ট্রা বহু আগেই পেয়ে যায়। ইতোমধ্যে সে বহুবছর ধরে বিভিন্ন লোকজনকে কাজে নিয়োজিত রেখেছিলো যুদ্ধের খবরাখবর পাবার অপেক্ষায়। যুদ্ধ জয়ে খবর পেয়ে ক্লাইটেম্নেস্ট্রা ছক করতে শুরু করে কিভাবে সে নিজের স্বামীকে হত্যা করে নিজের প্রিয় সন্তান ইফিজেনিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে।
অ্যাগমমনন নিজ প্রাসাধের সামনে আসেন তার সাথে ছিলো তার মিস্ট্রেস ট্রয় রাজকুমারী কাসান্দ্রা। কাসান্দ্রার একটি বিশেষ গুণ ছিলো সে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারতো। সে এই ক্ষমতা পেয়েছিলো দেবতা অ্যাপোলোর মাধ্যমে। কিন্তু দেবতা অ্যাপোলো কাসান্দ্রাকে প্রেম নিবেদন করলে সে তা প্রত্যাখান করে। আর তাই অ্যাপোলো কাসান্দ্রাকে অভিশাপ দেয় যে সে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারলেও সেটা কেউ কখনো বিশ্বাস করবে না। কাসান্দ্রা তখন অ্যাগামেমনন কে খাবার কিছু ঘটতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করলেও অ্যাগামেমনন তখন তা কর্ণপাত করেনি।
রাজপ্রাসাদে প্রবেশের জন্য ও ট্রয় যুদ্ধে জয় লাভের জন্য সম্মানিত করতে ক্লাইটেম্নেস্ট্রা অ্যাগামেমননকে লাল বর্ণের একটি বিলাসবহুল কার্পেটের উপর হাঁটতে বলেন। গ্রিক সংস্কৃতিতে এটি ছিল দেবতাদের জন্য নির্ধারিত সম্মান, সাধারণ মানুষের নয়। একমাত্র দেবতারাই লাল কার্পেটের উপর হাঁটার অধিকার রাখেন। সাধারণ মানুষের জন্য তা পাপ। অ্যাগামেমনন প্রথমে দ্বিধা করলেও ক্লাইটেম্নেস্ট্রার জোরাজুরিতে তিনি কার্পেটের উপর হাঁটেন। ক্লাইটেম্নেস্ট্রা খুব স্নেহময়ী ও ভালোবাসাপূর্ণ অভিনয় করে। বাহির থেকে দেখায় যে সে তার স্বামীকে দেখে খুশি। বাস্তবে ভিতরে ভিতরে তার নিজের প্রতিশোধের পরিকল্পনা পাকা করে রেখেছে।
প্রাসাদে প্রবেশের পর ক্লাইটেম্নেস্ট্রা অ্যাগামেমননকে স্নানঘরে নিয়ে যান। এটি ছিল ক্লাইটেম্নেস্ট্রা ও এইজিস্থাসের প্রস্তুতকৃত হত্যাস্থল। অ্যাগামেমনন যখন স্নান করছিলো তখন সে ছিলো অস্ত্রহীন, অরক্ষিত, একাকী। স্নান প্রায় শেষ করে যখন অ্যাগামেমনন বের হয়ে আসছিলো তখন ক্লাইটেম্নেস্ট্রা দ্রুত একটি ভারী জাল অ্যাগামেমননের ওপর ছুঁড়ে দেয়। এতে করে সে জালের মধ্যে আটকা পড়ে যায়। সে হা পা নাড়াচাড়া করতে পারছিলো না। এরপর ক্লাইটেম্নেস্ট্রা তিনবার কুঠার দিয়ে অ্যাগামেমননকে আঘাত করে। প্রথম আঘাতে অ্যাগামেমনন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। দ্বিতীয় আঘাতে নড়বার শক্তি হারিয়ে ফেলে আর তৃতীয় আঘাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়।এরপর ক্লাইটেম্নেস্ট্রা ঘোষণা করে, অবশেষে সে তার প্রিয় সন্তান ইফিজেনিয়ার রক্তের প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হয়েছে!

ট্রয়ের রাজকন্যা কাসান্দ্রা জানত সেও মরবে। কারণ তার ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষমতা ছিল। অ্যাগামেমনন নিহত হওয়ার পর ক্লাইটেম্নেস্ট্রা কাসান্দ্রাকেও হত্যা করে। একেতো সে ছিল ট্রয়ের রাজকন্যা। আর বর্তমানে সে অ্যাগামেমননের সঙ্গী। স্ত্রী হিসেবে এটাকে ক্লাইটেম্নেস্ট্রা তার ব্যক্তিগত অপমান ভেবেছিল।
অ্যাগামেমনন ও কাসান্দ্রাকে হত্যা করার পর ক্লাইটেম্নেস্ট্রা রাজদরবারে এসে সবার সামনে দাঁড়িয়ে স্বীকার করে নিজের হাতে করা হত্যাকান্ডের কথা, অবশেষে সে কিভাবে নিজ সন্তান হত্যার প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হয়েছে।সেসময় ক্লাইটেম্নেস্ট্রার পাশে দাঁড়ায় এইজিস্থাস।যে নিজেও নিজ বাবা ও ভাইয়ের প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হয়েছে এবং নিজেকে আর্গোসের রাজা বলে ঘোষণা করেন। এভাবেই একসময়কার প্রতাপশালী রাজা ও গ্রিকদের কমান্ডার অ্যাগামেমননের জীবনের নৃশংস সমাপ্তি ঘটে।
