You are currently viewing দূরবীন উপন্যাস উক্তি

দূরবীন উপন্যাস উক্তি

দূরবীন উপন্যাসটি বিখ্যাত ঔপন্যাসিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। দূরবীন মূলত তিন প্রজন্মের গল্প। প্রথম প্রজন্মের নায়ক জমিদার হেমকান্ত, দ্বিতীয় প্রজন্মের নায়ক কৃষ্ণকান্ত এবং তৃতীয় ও শেষ প্রজন্মের নায়ক ধ্রুব। উপন্যাসের প্রথম পর্যায়ে বিপত্নীক হেমকান্ত ও রঙ্গময়ী নামের প্রবল ব্যক্তিত্ব অধিকারী এক পুরোহিত কন্যার গোপন প্রণয় কাহিনী ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য পারিবারিক কাহিনী নিয়ে গল্প এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয় প্রজন্মের নায়ক কৃষ্ণকান্ত। স্বদেশী আন্দোলনে উদ্ভুদ্ধ কৃষ্ণকান্তের দেশ ভাগের পর আমুল পরিবর্তন নিয়ে এই উপন্যাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাহিনী। তৃতীয় ও শেষ প্রজন্মের নায়ক ধ্রুব। বিশ শতকের উপান্ত পর্বে এক দিক ভ্রষ্ট বিদ্রোহী যুবক ধ্রুব। ধ্রুবর স্ত্রী রেমি, যার সঙ্গে এক অদ্ভুত সম্পর্ক তার। কখনো ভালবাসা, কখনো উপেক্ষা, কখনো বা প্রবল বিরাগ। অথচ রেমির ভালবাসা শত-আঘাতেও অবিচল। একদিকে রেমির সঙ্গে সম্পর্ক অন্যদিকে পিতা কৃষ্ণকান্তের মধ্যে সেই ব্রহ্মচারী ও স্বদেশের জন্য উৎসর্গকৃত প্রানসত্তা টিকে খুঁজে না-পাওয়ার ব্যর্থতায় ক্ষতবিক্ষত ধ্রুবর অদ্ভুত কাহিনী দিয়েই গল্পটি শেষ হয়।

১#

সবচেয়ে অবাধ্য, সবচেয়ে বখে যাওয়া, সবচেয়ে নিন্দিত ও ধিকৃত এই ছেলেটির প্রতি তাঁর এক অপরিমেয় দুর্বলতা রয়েছে, যা ব্যাখ্যার অতীত, যা যুক্তিহীন।

২#

মেয়েরা অত্যাচারীদের পছন্দ করে, জানো না?

৩#

শোন রেমি, শরীরের কোন দোষ হয় না। শরীর তো একটা নিরপেক্ষ জিনিস। মন যেভাবে চালায় সে সেইভাবে চলে। তোমার শরীরটা কী করেনি সেটা বড় কথা নয়। তোমার মন তো টলেছে। সেটাই আসল কথা।

৪#

কত আদরের এই দেহ । তবু যখন দেহ মরে তখন তাহা অশুচি হইয়া যায়। প্রিয়জন যতক্ষণ জীবিত থাকে , ততক্ষণ কত সমাদর , কত আদর ও সোহাগ। সেই প্রিয়জন যখন মৃতদেহে পর্যবসিত হইল তখনই তাহা অস্পৃশ্য।

Leave a Reply