You are currently viewing আমি পদ্মজা উপন্যাসের উক্তি : ৪০ টি উক্তি

আমি পদ্মজা উপন্যাসের উক্তি : ৪০ টি উক্তি

জ্যোৎস্নার আলোয় ভেসে যায় এক পবিত্র প্রেমের আখ্যান, সেই আলোর পাশেই লুকিয়ে থাকে অমাবস্যার কালো ছায়া। যেন শরতের শুভ্র মেঘের কোলে বিদ্যুতের ঝলক। দুটি প্রাণের সুরময় জাল – একটি পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, অন্যটি রাহুর গ্রাসে আচ্ছন্ন। এক নারীর চোখে স্বপ্নের স্বর্গ, আর তার প্রিয়তমের জীবনে নরকের দ্বার। যে ভূমিতে মৌসুমী ফুলের সৌরভ মেশে বিষাক্ত আগাছার নিঃশ্বাসে, সে ভূমিতে কেমন করে টিকে থাকে পবিত্র প্রেম? কে জিতবে এই যুদ্ধে – প্রভাতের আলো, নাকি রাত্রির ছায়া? একটি রহস্যময় বাঁধন, যেখানে প্রতিজ্ঞার প্রতিটি পাপড়িতে লুকিয়ে আছে ছলনার বিষ, প্রতিটি আলিঙ্গনে মিশে আছে মৃত্যুর স্পর্শ। দুটো আত্মার এই নৃত্য, একটি স্বর্গীয় সুরে বাঁধা, অন্যটি পাতালের তালে। মিলন-বিরহের এই ছলে, কোনটি সত্য, কোনটি ভ্রমজালে?

সারা অঙ্গ কলঙ্কে ঝলসে যাক তুই বন্ধু শুধু আমারই থাক!

খারাপের মাঝে ভালো থাকার মন্ত্র ছিলো তোমার দৃষ্টি, সেই দৃষ্টিতে যখন ঘৃনা দেখতে পায় তখন আমার বুক পুড়ে যায়।

মিথ্যা বলে যদি তোমার ভালোবাসা আবার পাওয়া যেতো তবে আমি মিথ্যাই বলতাম।


তুমি চাও বা না চাও, পরপারে দেখা হলে আমি আবার তোমার পিছু নেব!

পদ্মবতী আমার রানী, আমি কাঁটা বিছানো বাগানে শুয়ে থাকি তুমি আমার বুঁকে হেটে বেড়াও!

প্রিয়র চেয়েও প্রিয় পদ্মবতী, আমার পাপের রাজত্বে তোমার আগমন ছিলো ভুমিকম্পের মতো। যখনই দেখি তুমি দাড়িয়ে আছো, আমার হৃদপিন্ড থমকে যায়। (আমির হাওলাদার)।

পদ্মজার ঠোঁটে আঁকা হাসি এই হাসির জন্য দুনিয়া এফোঁড়-ওফোঁড় করতে রাজি!

তোমার জন্য বুকটা পুড়ে যাচ্ছে! তোমার ছোয়ার সাধ্যি কেন নেই আমার!

যখন তোমার কথা ভাবি, তখন আমার শরীরের সমস্ত শিরা উপশীরা বাজতে থাকে। আমাদের পথটা কি আরেকটু দীর্ঘ হতে পারতো না!

১০

পদ্মবতী আমার রানী! আমি কাঁটা বিছানো বাগনে শুয়ে থাকি, আর তুৃমি আমার বুঁকে হেটে বেড়াও!

১১

পদ্মবতী, আমার ইচ্ছে তেমার হাতে খুন হয়ে যাই!

১২

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী আমার বউ, কি সৌভাগ্য আমার!

১৩

যদি আল্লাহ আপনার হৃদয় পরিবর্তন না করে তাহলে বুঝে নিবেন তিনি কোবুল করার সিন্ধান্ত নিয়েছেন!

১৪

শেষবার ছুঁয়েছি আর ছোঁবনা শপথ করছি আর ছোঁবনা!

১৫

তোমার এই চোখের অবিশ্বাস্য চাহনি আমাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে, আমার কথা হারিয়ে যায়, আমি স্তব্ধ হয়ে যাই!

১৬

“ক্ষমা করো পৃথিবী তাকে আমি ঘৃনা করতে পারিনি। তাকে আমি নিষ্ঠুর মৃত্যু দিতে পারিনি! যার হাতের পাঁচটি আঙ্গুল আমার নির্ভরতা, যার বুকের পাঁজরে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ আমার সবচেয়ে প্রিয়। যার উষ্ণ ঠোঁটের ছোয়া আমার প্রতি দিনের অভ্যাস, যার এলোমেলো চুলে হারিয়ে যাই বারংবার যার ভালোবাসার আহবানে সব কিছু তুচ্ছ করে ছুটে যায়, যার মিষ্টি সোহাগে অন্য জগতে হারিয়ে যায়। তার কষ্ট আমি কি করে সহ্য করি। লোকে বলে স্বামীর বা পাজরের হারে স্ত্রী তৈরি, তাহলে যার পাজরে আমার সৃষ্টি তার আর্তনাদ কি করে শুনি! এই কঠিন কাজ আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ও পৃথিবী সবাইকে বলে দিও, আমার কবর যেন আমার স্বামীর কবরের ঠিক বা পাশেই হয়, আমি তাকে ভালোবাসি, যেমন সত্য চন্দ্র সূর্য তেমন সত্য আমি তাকে ভালোবাসি”!!!

১৭

“আম্মা… মরা মানুষকে বিয়া করা যায় না? আমারে দিয়া দাও…আম্মা, তারপর এক লগে কবর দাও! আমি ওরে ছাড়া কেমনে থাকুম আম্মা। আমারেও সবাই কবর দেন। পূর্ণার লগে কবর দেন! কবুল, কবুল, কবুল। আমি কবুল কইছি পূর্ণা, তুৃমি কও। সবাই হুনছে আমি কইছি, সবাই হুনছেন না, এহন তুমি কও। পূর্ণা আমারে এত বড় শাস্তি দিও না পূর্ণা। আমারেও সাথে নিয়ে যাও। আমারেও সবাই কবর দেন। পূর্ণার লগে কবর দেন, দিবেন আপনেরা। আমি কবুল কইছি না, অর্ধেক বিয়া তো হইয়া গেছে হইছে না। এই কালি, কালি কইছি তো। গুসা করো……গুসা করো আমার সাথে। গালি দেও আমারে। ও পূর্না…ও ভ্রমর। চাইয়া দেহো একবার। আসমানের পরী তুমি…. সবচেয়ে সুন্দর মুখ তোমার.! হাসো পূর্না হাসো।

১৮

বিচ্ছেদের বিষাক্ত ছোবলে নীল হয়ে যাচ্ছি আমি, আমাকে বাঁচাও।

১৯

তোমাকে দেখার তৃষ্ণা কখনোই মিটবে না “পদ্মবতী “!

২০

আল্লাহর সৃষ্টি সব কিছুই সুন্দর শুধু দরকার একজোড়া সুন্দর চোখ!

২১

মাসাআল্লাহ দিনের বেলা চাঁদ উঠে গেছে!

২২

পদ্মাবতীর প্রতিটি নিশ্বাস থেকে যেন ফুল ঝড়ে পরে!

২৩

যদি পারতাম আকাশের মেঘ হয়ে তোমার কাজলকালো আঁখি ছুয়ে সবটুকু বিষাদ ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতাম।

২৪

তোমার চোখের খাদে পড়ে থাকতে চেয়ে ছিলাম আজীবন তাও হলো না!

২৫

তুমি সত্যিই একটা পদ্মফুল “পদ্মাবতী”!

২৬

সে পদ্ম ফুল, আমার সাতাশ বছরের কঠিন মনে তোলপাড় তুলে দিয়েছিলো। সে তোলপাড়ের তান্ডব বুকের ভেতর আজও হয়। সেই ফুলের সুভাস আজও নাকে লেগে আছে!
শুধু আমি তাকে জয় করতে পারিনি.! (লিখন শাহ)

২৭

আমি পাপীকে ভালোবেসে পাপ করেছি! ক্ষমা করে দিও আমাকে, ক্ষমা করতে না পারলে!অভিশাপে পুড়িয়ে ছাই করে দিও.!(পদ্মজা)

২৮

আমিতো চেয়েছিলাম বুড়ো বয়স অদ্ধি আপনার সাথে থাকার, আপনি এই ভাবে অচেনা হয়ে যাবেন না…,আমি বেঁচে থেকেও মরে যাবো.! (পদ্মজা)

২৯

নিজের সবটুকু আপনাকে দলিল করে দিয়ে আমি ভুল করেছি,,এখোনো আপনার শরিরের এক একটা আঘাত আমাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেয়,,কিন্তু তবুও আমি আপনাকে আঘাত করতে চাই.!(পদ্মজা)

৩০

আমাকে ভালোবাসলে না কেন!

৩১

সোনালি রোদ্দুরের মতো সুন্দর পদ্মবতী, আমি তোমাকে আঘাত করে নিজে মরে গিয়েছি। যে হাতে আঘাত করেছি সেই হাত পুড়ে যাক, পোকামাকড় খাক! তোমাকে ব্যথা দিয়ে আমি ভালো নেই। ছুরির আঘাতেও আমার মনের ব্যথার চেয়েও বেশি হতে পারছে না! যদি পারতাম হয় তোমাকে ভালোবাসতাম, নয় সুধু হাওলাদার বংশে জন্ম নিতাম। দুটো এক সাথে গ্রহণ করতাম না। দুই সত্ত্বা মস্তিষ্কের দ্বন্দ্বে আমাকে পুড়িয়ে দিচ্ছে!

৩২

আরেকটা জীবন কি পেতে পারি না! তখন আমি কঠিন পরীক্ষা দেব। তোমাকে পেতে আগুনের উপর দিয়ে হাঁটবো, ভাঙা কাচের ধারে পা ছিন্নভিন্ন করে হলেও তোমাকে জিতে নেব। থাকবে না কোন অন্ধকার জগতের হাতছানি, তৈরি হবে তোমার আমার প্রেমের উপ্যখ্যান! আমাদের ভালোবাসা দেখে জ্যোৎস্না ও তারকারাজি ঝলমলিয়ে ওঠবে।

৩৩

আপনিই ভালোবাসা, আপনিই সুহাসিনী, আপনিই ভালোলাগা, আপনার লেখা প্রতিটি অক্ষরকে ভালোবাসি, ভালোবাসি মায়া-ভরা আপনার ওই উজ্জ্বল চোখ দুটিকে! পূর্নমার চাঁদের মতো আর জ্যোৎস্নার আলো এক সাথে মিশে তৈরি হয়েছে একটা চেহারা, আপনাকেই ভালোবাসি!

৩৪

আমার প্রথম ও শেষ ভালোবাসা, তুমি একটু দূরে সরলেই যে আমি মনে মনে পুরো পৃথিবী ভস্ম করে দেওয়ার ইচ্ছে পুষি, সেই আমি পরিষ্কার দেখতে পেলাম তোমার আমার পথচলা এখানেই শেষ। আমি শান্ত পাথরের মতো স্থির হয়ে যাই। গন্তব্য হারিয়ে ফেলি! এই ভুবনে তুমি আমার শেষ আশ্রয়স্থল ছিলে। তোমার ঘৃনাভরা চাহনি আমাকে চোখের পলকে পুড়িয়ে দেয়! তোমার আমার বিচ্ছেদ আমাকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেয়, প্রেমানলে জ্বলতে জ্বলতে আমি অনেক আগেই নিঃশেষ হয়ে গেছি!

৩৫

থাক না দু-একটা কলঙ্ক, তাতে ক্ষতি কি!

৩৬

আমি নিষ্ঠুর, তুমি মায়াবতী। আমি ধ্বংস, তুমি সৃষ্টি। আমি পাপ, তুমি পবিত্র। এত অমিলে কেন হলো মিলন। কেন কালো অন্তরে ছড়িয়ে ছিলে ফুলের সুবাস? আমাকে ধ্বংস করার জন্য কি অন্য কোন অস্র ছিলো না!

৩৭

চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে। এই পৃথিবীতে আমি আরেকটু থাকতে চাই। এই পৃথিবীর সবুজ বুকে তোমাকে নিয়ে প্রতিটি ভোর হাঁটতে চাই। আমাদের ভালোবাসার জ্যোৎস্না রাতগুলো আরেকটু দীর্ঘ হলে কি এমন হতো? আমাদের প্রেমের পরিনতি এত নিষ্ঠুর কেন হলো!

৩৮

পারলাম না আরো কয়টা দিন তোমাকে আগলে রাখতে। ক্ষমা করো আমায়!

৩৮

অতৃপ্ত আমি মৃত্যুকে তৃপ্তি হিসেবে গ্রহন করছি!

৩৯

আমার ধ্বংস এভাবে না হলেও পারতো, পদ্মাবতী তুমি আমার সেই ধ্বংসকারী পবিত্র ফুল!

৪০

আমিরের শেষ চিঠি :- পদ্মবতী, নিজের খেয়াল রেখো, ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করো, পারলাম না তোমাকে আরো কয়েটা দিন আগলে রাখতে, ক্ষমা করো আমায়
ইতি তোমার দুষ্টু, চরিত্রহীন, সার্থপর -আমির হাওলাদার!

Leave a Reply