মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমির কবিতা: রুমির ১৫ টি বিখ্যাত কবিতা
তিনি বললেন, তোমার মামলাটি যদিও তুমি করেছ উপস্থাপন; কিন্তু স্বাক্ষী তো করোনি হাজির। আমি বললাম, আমার চোখের অশ্রুই আমার সাক্ষী; আর আমার বিবর্ণ চেহারাটিই আমার সাক্ষ্য।
তিনি বললেন, তোমার মামলাটি যদিও তুমি করেছ উপস্থাপন; কিন্তু স্বাক্ষী তো করোনি হাজির। আমি বললাম, আমার চোখের অশ্রুই আমার সাক্ষী; আর আমার বিবর্ণ চেহারাটিই আমার সাক্ষ্য।
জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তার কবিতায় প্রকৃতি, নিসর্গ ও মানবজীবনের ভাবনার গভীরতার মিশ্রণ পাওয়া যায়। বাংলা…
কবিতা দুঃখ তুমি নির্বাসনে যাও অনেক বহুত দুরআমি নিজেই একটু তৈরি করবো দোঁয়াস মাটি।শুনেছি বেলে দোঁয়াস মাটিতে সবজি চাষ ভালোহয়,তুমি…
আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে তোমার দু’চোখে তবু ভূরুতার হিম। রাত্রিময় আকাশের মিলনান্ত নীলে ছোট এই পৃথিবীকে করোছো অসীম। বেদনা মাধুর্যে গড়া তোমার শরীর অনুভবে মনে হয় এখনও চিনি না তুমিই প্রতীক বুঝি এই পৃথিবীর আবার কখনও ভাবি অপার্থিব কিনা।
সে তোমাকে ভুট্টার শিষের মতো সংগ্রহ করে, সে তোমাকে পরিবর্তন করে তোমার খোসা থেকে মুক্ত করার জন্য। শুভ্রতার জন্য সে তোমাকে পেষাই করে যতক্ষণ না মিহি নরম হও। তারপর তার পবিত্র আগুনে তেমাকে ছুঁড়ে দেয়, যাতে তুমি পবিত্র রুটি হয়ে উঠতে পারো।
হে মহামানব, একবার এসো ফিরে শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম নগরের ভীড়ে, এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার; লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার। এই যে আকাশ, দিগন্ত, মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি; কোথাও নেইকো পার মারী ও মড়ক, মন্বন্তর, ঘন ঘন বন্যার আঘাতে আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন ভাঙা নৌকার পাল, এখানে চরম দুঃখ কেটেছে সর্বনাশের খাল, ভাঙা ঘর, ফাঁকা ভিটেতে জমেছে নির্জনতার কালো, হে মহামানব, এখানে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালো।
ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার টেবিলে বসে আছ, ঘুম আসছে না তোমার হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম- ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে? নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে, ভালবাসি, ভালবাসি..
যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবো আমি বিষপান করে মরে যাবো! বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশ নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ প্রান্তরে দিগন্ত নিনির্মেষ- এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমি যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবো আমি বিষপান করে মরে যাবো।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমি তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলো না পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন– বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরে তোমাকে দেখছি কাল স্বপ্নে, নীরা, ওষধি স্বপ্নের নীল দুঃসময়ে।
স্বাধীনতা তুমি রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান। স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা- স্বাধীনতা তুমি শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা
তোমার চোখের মতো আমি দেখিনি কখনো, তোমার ঠোঁটের মতো ঠোঁটে ওষ্ঠ করিনি স্থাপনকোনোদিন, তোমার বুকের পাখি একদা ধ্বনিত এজীবনে। তোমার চুলের মতো চুল কোথাও কি এরকমছায়া দেয় ক্লান্তির প্রহরে? মুছে ফেলে হিংস্রদুঃস্বপ্নগুলোকে? এই যে কবিতা লিখে সত্যের অধিক সত্য রটিয়ে দিলামসারা বাংলাদেশে, তার মর্মকথা তুমিই জানো না।
আমার জন্য অপেক্ষা করো মধুপুর, নেত্রকোণা, অপেক্ষা করো জয়দেবপুরের চৌরাস্তা আমি ফিরব। ফিরব ভিড়ে হট্টগোলে, খরায়, বন্যায়, অপেক্ষা করো চৌচালা ঘর, উঠোন, লেবুতলা, গোল্লাছুটের মাঠ আমি ফিরব। পূর্ণিমায় গান গাইতে, দোলনায় দুলতে, ছিপ ফেলতে বাঁশবনের পুকুরে-
মেয়েটির শিরশির করতো শরীর, ছেলেটি মুগ্ধ চোখে দেখতো, খেলার মাঠে পড়ে থাকা মার্বেলদুটো থেকে আলো ছিটকে এসে পড়তো সেই চোখে, দুটো মার্বেল চোখ ছিল সেই মুগ্ধ চোখে। ছেলেটি তবে কি সেই খেলার মাঠের ছেলে, এই চুমু খাওয়া ছেলে? ছেলেটি তবে কি ঘুরন্ত লাটিম ছেলে? এই হঠাৎ আচমকা চুমু খাওয়া ছেলে? কোনওদিন আবার আসবে কি না সে, আবার চুমু খাবে না কি না, মেয়েটি জানে না।
পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করছে এগারোটি মুসলমান পুরুষ, ভর দুপুরে। ধর্ষণ করছে কারণ পূর্ণিমা মেয়েটি হিন্দু। পূর্ণিমাকে পূর্ণিমার বাড়ির উঠোনে ফেলে ধর্ষণ করছে তারা। পূর্ণিমার মাকে তারা ঘরের খুঁটিতে বেঁধে রেখেছে, চোখদুটো খোলা মার, তিনি দেখতে পাচ্ছেন তার কিশোরী কন্যার বিস্ফারিত চোখ, যন্ত্রণায় কাতর শরীর।