শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’ নামে খ্যাত। তিনি ১৮৭৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি বিভাগের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। শেষের পরিচয় উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ উপন্যাস ও এটি অসমাপ্ত উপন্ন্যা। উপন্যাসটি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ১ বছর পরে ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসটি মূলত সমাজে নারীর অধিকার, আত্মসম্মান ও সমাজে নারীর অবস্থাঙ্কে কেন্দ্র করে রচনা করা হয়েছে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কমল, সে একজন দৃঢ়চেতা ও প্রগতিশীল নারী। সে সমাজের রক্ষণশীলতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। একইসাথে সে একজন শিক্ষিত,যুক্তিবাদী ও স্বাধীন চেতনার মানুষ। চরিত্র হিসেবে সে ছিল তখনকার সমাজের জন্য ব্যাতিক্রমী ছিল। এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে নারী শুধু সংসারের অলংকার নয়, তাদের নিজস্ব চিন্তা, বোধ ও স্বাধীন মতামতও আছে। কমলের সঙ্গে আরেক চরিত্র হেমন্তের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে প্রেম, সমাজ, সংস্কার ও মানসিক দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে।
১
এক জন্মেই যে কত জন্মান্তর ঘটে যায় মানুষের, তার কি হিসাব আছে? সংসারে বন্ধু-সংখ্যা যার অপরিমিত দুঃখের দিনে ডাক দিবার মতো বন্ধুর তাহারি সবচেয়ে অভাব।
২
যে লোক দাবি করতে ভয় পায়, পরের দাবী মেটাতেই তার জীবন কাটে।