বাদশাহ নামদার বইটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা ইতিহাস সম্পর্কিত উপন্যাস বা ঐতিহাসিক। ইতিহাসভিত্তিক এই উপন্যাসটি ২০১১ সালের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছিলো। উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের জীবন ও শাসনের উপর ভিত্তি করে লেখা। সম্রাটের নামও হুমায়ুন আর লেখকের নামও হুমায়ুন। বাদশাহ হুমায়ুনের জীবনটাও মজার সব ঘটনা ও রোমাঞ্চে ভরপুর। আর এইসব ঘটনা ও হুমায়ূন আহমেদ এর লেখার শৈলী বইটিকে আরো অসাধারণ করে তুলেছে।
১
রাজা যায়, রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজা আসে। কিছুই টিকে থাকে না। ক্ষুধার্ত সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তবে গল্প গিলতে পারে না। গল্প থেকে যায়।
২
প্রদীপ্ত সূর্য ছিল আমার বাবার কাছে ম্লান।
৩
একজন প্রেমিকের কাছে চন্দ্র হলো তার প্রেমিকার মুখ, আর জ্যোৎস্না হলো প্রেমিকার দীর্ঘশ্বাস।
৪
পৃথিবীর পবিত্রতম বস্তু হলো গভীর দুঃখ থেকে নিঃসৃত অশ্রুধারা
৫
মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে সে মানুষ।
৬
যদিও দর্পণে আপন চেহারা দেখা যায়, কিন্তু তা পৃথক থাকে। নিজে নিজেকে অন্যরূপে দেখা আশ্চর্যের ব্যাপার।
৭
রাজ্য হলো এমন এক রুপবতী তরুণী যার ঠোঁটে চুমু খেতে হলে সুতীক্ষ্ণ তরবারির প্রয়োজন।
৮
হে প্রিয়তমা! যুক্তি বলছে তোমাকে পাওয়া আকাশের চন্দ্রকে হাতে পাওয়ার মতই দুঃসাধ্য। মন বলছে তোমাকে পেয়েছি। মনের কথাই সত্য। তুমি আমার।
৯
‘য পলায়তি স্ব জীবতি ‘। যে পলায়ন করে সে বেঁচে থাকে
১০
বিদ্যা স্তব্ধস্য নিষ্ফলা (যে কথা কইতে ভয় পায়, তার বিদ্যা নিষ্ফল হয় )
১১
অশ্ব অশ্বারোহীর বন্ধু নয়। যেমন বন্ধু নয় বায়ু, মেঘমালার। বন্ধু হবে এমন যাদের সঙ্গে কখনো দেখা হবে না। দু’জনই থাকবে দু’জনের কাছে অদৃশ্য। দৃশ্যমান থাকবে তাদের ভালোবাসা।