You are currently viewing নিঃসঙ্গ নক্ষত্র উক্তি – উপন্যাসের কিছু অসাধারণ লাইন

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র উক্তি – উপন্যাসের কিছু অসাধারণ লাইন

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র উপন্যাসটি একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে অণুর সমাজের বাধাবিপত্তির মাঝে লড়াইয়ের একটি গল্প। এই উপন্যাসে স্ট্রাগল আছে, প্রেম ভালোবাসা হতাশা সবকিছুই রয়েছে। উপন্যাসের বাছাই করা অসাধারণ কিছু লাইন ও সংলাপ থাকছে এই লেখায়।

মানুষের অভাবে মানুষ নিঃসঙ্গ হয় না, মানুষ নিঃসঙ্গ হয় ভালো বন্ধুর। অভাবে, কাছের মানুষের অভাবে।

বৃষ্টি এলেই বদলে যাবো আবার হবো তোমার আমি…

এই যে কত কত মানুষ চেনা হয়। না, জানা হয় না, তাতে তো হৃদয়ের কোনো দোষ হয় না। কিন্তু কোনো একজনকে ভুলে থাকলে, না চিনলে যাবজ্জীবন নির্বাসন হয়ে যায় হৃদয়ের। কী আশ্চর্য!

অণু দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। এই বারান্দায় সে সাধারণত আসে না। এলেই একধরনের গা-ঘিনঘিনে বিদ্‌ঘুটে অনুভূতি হয়। এই অনুভূতির কারণ পাশের বাসার খোলা জানালাটা।

থাকুক না কিছু কষ্ট নিজের একার, কিছু অনুভূতি খুব গোপন। এই অনুভূতিগুলো আসলে মনখারাপের মুহূর্তের সঞ্চয়। তখন বুকের ভেতরের গোপন কুঠরি থেকে আলগোছে এই অনুভূতিগুলো বের করে ছুঁয়ে দেখা যায়। সেই ছোঁয়াছুঁয়ি আরও একটা রুক্ষ দিন মমতায় বেঁচে থাকায়।

ভালোবাসলেই সবাই অপেক্ষায় থাকে?
‘হুম, থাকে। কেউ সরবে, কেউ নীরবে। সারা জীবনের জন্য হারিয়ে ফেলা মানুষের জন্যও মানুষ নিজের অজান্তেই অপেক্ষায় থাকে।
‘কিন্তু সে হয়তো তখন অন্যের?’
‘পুরোপুরি পাওয়ার জন্য হয়তো নয়, এক চোখ দেখার জন্য হলেও।’
‘কিন্তু নিজে যদি অন্যের হয়ে যায়, তারপরও অপেক্ষায় থাকে?’
‘হুম, থাকে। কারও সঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া জীবনজুড়েও বুকের ভেতর নীরবে সেই অন্য মানুষটাকে পুষে রেখে দেয়। এই কথা সে ছাড়া এই জগতে আর কেউ জানে না।’

বোঝে না। জগতে হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা কান্না পড়তে পারা মানুষের খুব অভাব!’

কিছুক্ষণের মধ্যেই মাগরিবের আজান শেষ হবে। অণু জানে, রোজকার মতো আজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আজও দুটি ঘটনা ঘটবে। এক, ইলেকট্রিসিটি চলে যাবে। দুই, তার মা সালমা বেগম একঘেয়ে গলায় চিৎকার করতে করতে বলতে থাকবেন, ‘এই ঘরে আয়-উন্নতি হবে না। এই আমি বলে দিলাম, এই ঘরে আয়-উন্নতি হবে না। আয়-উন্নতি হবে কেমনে? যেই ঘরে নামাজ নাই, রোজা নাই, সন্ধ্যাবেলা কেউ ঘরে বাতি পর্যন্ত দেয় না, সেই ঘরে আয়- উন্নতি হবে কেমনে? হবে না।’

Leave a Reply