You are currently viewing ইবনে আরাবীর উক্তি : ইবনে আরাবির ৫০ টি বিখ্যাত উক্তি

ইবনে আরাবীর উক্তি : ইবনে আরাবির ৫০ টি বিখ্যাত উক্তি

ইবনুল আরাবি (২৮ জুলাই, ১১৬৫ – ১০ নভেম্বর, ১২৪০) ছিলেন একজন আরব সুফি সাধক লেখক ও দার্শনিক। সুফিতত্ত্বে তার অনবদ্য অবদানের কারণে তিনি শেখ আল আকবর মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি নামেই সমধিক পরিচিত। আন্দালুসিয়া বা বর্তমান স্পেনের মূর্সিয়া নগরীতে জন্ম গ্রহণ করায় তাকে আন্দালুসি ও আল-মূর্সি বলা হয়। তাছাড়া তিনি দামেস্কে মৃত্যু বরণ করায় ডাকা হয় দামেস্কি। অন্যদিকে ইমেনের প্রসিদ্ধ দাতা হাতেমতাই তার পূর্বপুরুষ হওয়ায় আল-হাতেমী এবং আল-তাই উপনামেও তার প্রসিদ্ধি রয়েছে।

ঘামে ভিজলে ভাগ্য বদলায়, আর রক্তে ভিজলে ইতিহাস বদলায়।

সত্তার তত্ত্বজ্ঞানের উপকারিতা হলো, তুমি জানবে এবং নিশ্চিত হবে যে, তোমার সত্তা অস্তিত্ববান নয় আর অনস্তিত্ববানও নয়। নিশ্চিতভাবেই তুমি ছিলে না, আর না তুমি আছো আর না তুমি কখনো হবে।

যে অশ্রু তোমায় কাঁদায়, তা তোমার হৃদয়ের পুঁজ দূর করবে।

তোমার চোখ দিয়ে যে অশ্রু গড়ায়, তা হৃদয়ের বাগানে প্রবাহিত হয়ে ফুলে-ফলে সাজিয়ে তোলে।

তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো, যাদের দ্বীনদারী তোমার চাইতে বেশী। এবং দুনিয়াদারী তোমার চাইতে কম।

আমি একত্রিত হয়েছি প্রেমাস্পদের মিলনে/ কোন নৈকট্য এবং দূরত্ব ছাড়াই। আমি মহাপরাক্রমশালীর উপহার লাভ করেছি/ কোন রূপ উপহার এবং মাধ্যম ছাড়াই / আর না আমার সত্তা তাঁতে হয়েছে বিলীন / আর না তা প্রতিষ্ঠিত থেকেছে মহাসমুদ্রে

শূন্য থেকে এসেছি, শূন্যেই ফিরে যাবো। চোখ কান সব সময় খোলা রেখো, কুয়াশায় পথ হারিয়ও না, বন্য প্রাণীদের খাবার হইও না।

যে বীজ তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে আগ্রহী নয়, সে কখনো ফলদায়ী বৃক্ষ হতে পারে না।

নিজেকে কারো কাছে ব্যাখ্যা করার দরকার নেই। যারা তোমায় ভালোবাসে তাদের এটার প্রয়োজন হবে না।আর যারা তোমাকে ঘৃণা করে তার।

১০

পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য এবং যত চমক সব কিছুর ব্যবস্থা শুধু মাত্র মানুষের জন্য, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য, মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য।

১১

যদি কেউ লড়াই করে তা দখলও করে, তবে শুধু মাত্র দখলদার হতে পারবে আর কিছু না।

১২

আমরা যদি আল্লাহ কে সহযাত্রী হিসাবে মেনে নেই, আমরা যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবো। আর না হলে, আমাদের সঙ্গী হবে শয়তান…!

১৩

যে শুধু নিজের জন্য শান্তি খুঁজে; তার কাছে শান্তি থাকে না। শান্তি তার জন্য, যে অপরের কল্যাণে নিয়জিত।

১৪

দুঃখ করো না, শুধু ঈমান ধরে রেখো। জোর করেও কেউ এর মালিক হতে পারবে না।

১৫

সাধারণ বান্দা থেকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবার জন্য সবথেকে বড় ভূমিকা শয়তানের।

১৬

এখন তোমারাও সেরকম পুনরুত্থানের দিন গণনা করছো, বীজ যেমন মাটি থেকে অঙ্কুরিত হওয়ার দিন গণনা করে।

১৭

চোখ দিয়ে যেও অশ্রু গড়ায়, তা হৃদয়ের বাগানে প্রবাহিত হয়ে ফুলে-ফলে সাজিয়ে তোলে।

১৮

ফু…এই নিঃশ্বাস যদি না নেয়া যেত মানুষ এখানে থাকত না। কিন্তু আমরা সত্য দেখতে পাইনা, আল্লাহকে স্মরণ করিনা।

১৯

নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রাখো আর আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হয়ে এগিয়ে চলো।

২০

তোমার দৃষ্টি তোমার আয়না। মনে রেখো তুমি অন্যকে যেভাবে দেখবে অন্যরাও তোমাকে ঠিক সে ভাবেই দেখবে!

২১

নিজের উপর আস্থা রাখো, আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হয়ে এগিয়ে চলো।

২২

লোকে যদি তোমাতে মুগ্ধ হয়, তাহলে ভেবো না তুমি মুগ্ধকর। আসলে আল্লাহ যে তোমার পাপগুলোকে ঢেকে রেখেছেন, লোকে তোমার ওপর ঝুলানো আল্লাহর সেই পর্দাতে মুগ্ধ। এটা আসলে তুমি না, এটা আল্লাহর দান করা আবরণ। তোমাকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে যাতে তুমি আরও ভালো কাজ করতে পারো এবং এইসব ধ্বংসাত্মক প্রশংসায় আত্মমুগ্ধ হয়ে না পড়ো।

২৩

পৃথিবীতে মানুষ হল সৃষ্টিকর্তার মোহর। বৃক্ষ, পাখি, পাহাড়, মহা সমুদ্র, নদী এগুলো কেন? সূর্য কেন পৃথিবীকে আলো দেয়? চাঁদ কেন রাতকে মহিমান্বিত করে? সমুদ্রের উত্তাল স্রোত কেন খেলা করে? কেন নদী বয়ে চলে? সূর্যোদয় কেন হয়? কেনই বা সূর্যাস্ত হয়? = সবই মানুষের জন্য।

২৪

সতোর পথে যখন কেউ পথিক হয়ে যায়, মহান আল্লাহ স্বয়ং তাঁর সাহায্যকারী হয়ে যায়।

২৫

ধনুক যত জোরে টানবে তীর ততদুরের লক্ষ বস্তুতে আঘাত আনতে সক্ষম হবে।

২৫

শত্রুকে পরাজিত করাই বড় না, শত্রুর মনকে পরাজিত করে আল্লাহর দিকে আনাই বড় জয়!

২৬

তোমরা আহলে বায়তের (নবী পরিবারবর্গ) সাথে কোন মাখলুককে (সৃষ্টি) সমকক্ষ করিও না, কারন তারা সকল শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী।

২৭

এখন তোমারও সেইরকম পুনরুত্থানের দিন গণনা করছো, বীজ যেমন মাটি থেকে অঙ্কুরিত হওয়ার দিন গণনা করে।

২৮

পৃথিবী আসলে একটি শিক্ষালয়, যেখানে আমাদের সবাইকে আলাদাভাবে পরীক্ষা করা হয়। এবং আমাদের একমাত্র শিক্ষক হলো আমাদের আল্লাহ।

২৯

কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীকে সম্মান করে, তাহলে বুঝতে হবে সেই পুরুষ কোনো সম্মানীতা নারীর পুত্র।

৩০

শাহাদাত হল আমাদের নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ উপায়, কোন মমিন ব্যক্তির জুলুমের বিরুদ্ধে যতক্ষণ যুদ্ধ করে যাবে-ততক্ষণ সে একজন শ্রেষ্ঠ মুসলিম।

৩১

শিরিক ধ্বংস করিয়া তৌহিদ প্রতিষ্ঠার জন্যে আমি আম্বিয়া ও আউলিয়ার সুরতে নিজেকে প্রকাশ করি। আমার মর্ম কে বুঝিবে?

৩২

আল্লাহর দর্শন অশরীরী অবস্থায় নয়! কিন্তু মূর্ত দৃশ্যবান স্রষ্টাকে দেখতে হলে শরীর দেহবিশিষ্ট তার সৃষ্টির রুপ দর্শন করো।

৩৩

ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বুঝতে হলে তোমাকে প্রথমেই আমাদের নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানতে হবে।

৩৪

মুসলমানদের উচিৎ তাদের ইতিহাস, সর্ম্পকে জানা; যাতে তারা, তাদের দুর্ভাগ্যের অবসান ঘটাতে পারে।

৩৫

কোন কিছু পাবার জন্য জোর জবরদস্তি করো না, তুমি ঠিক ততটুকুই পাবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য বরাদ্দ করে রেখেছেন।

৩৬

যদি তুমি অন্যের কষ্ট অনুভব করতে চাও, তবে তোমার নিজে আগে সে কষ্ট অনুভব করতে হবে।

৩৭

কোন পাপই আল্লাহর রহমত থেকে বড় নয়।

৩৮

আমরা মানুষ শূন্য থেকে এসেছি, আবার শূন্যই ফিরে যাব।

৩৯

আল্লাহ তার বান্দাদের পরীক্ষা নেন, পরীক্ষার সময় সবুর করতে হয়। সবুর কোন সহজ কাজ নয়, যে গাছ ঝড়ের সাথে তাল মিলাতে পারে না তা ভেঙ্গে পড়ে যায়!

৪০

ব্যথা সব সময় ক্ষণস্থায়ী হয়। আঘাত ব্যাথা না পেলে বিজয়ের আনন্দ কখনো উপভোগ করা যায় না !

৪১

প্রজ্ঞাই মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

৪২

যতক্ষণ তোমার ভিতরে ঈমান থাকবে ততক্ষণ তোমার শত্রুও থাকবে।

৪৩

কারো গন্তব্য কোথায় হবে তা তার প্রচেষ্টার আলোকেই নির্ধারিত হয়।

৪৪

যে কথা গোপন রাখতে পারে না, তার কাছে কখনো গোপন কথা বলোনা ।

৪৫

কখনো ভেঙ্গে পড়ো না, হতাশ হয়ো না, ছোট ছোট পরাজয় বৃহৎ জয়ের হাতছানি। তোমার প্রতিটি পরাজয় নতুন কিছু জয়ের আহ্বান।

৪৬

যে অশ্রু কাদায়, তা হৃদয়ের পুঁজ দূর করবে।

৪৭

তোমার দৃষ্টি তোমার আয়না। মনে রাখো তুমি অন্যদের যেভাবে দেখবে অন্যরাও তোমাকে ঠিক সেভাবেই দেখবে!

৪৮

শাহাদাত হল আমাদের নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ উপায়, কোন মমিন ব্যক্তির জুলুমের বিরুদ্ধে যতক্ষণ যুদ্ধ করে যাবে-ততক্ষণ সে একজন শ্রেষ্ঠ মুসলিম।

৪৯

কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীকে সম্মান করে, তাহলে বুঝতে হবে সেই পুরুষ কোনো সম্মানীতা নারীর পুত্র।

৫০

তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো, যাদের দ্বীনদারী তোমার চাইতে বেশী। এবং দুনিয়াদারী তোমার চাইতে কম।

Leave a Reply