আশাপূর্ণা দেবী ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং শিশুসাহিত্যিক। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জীবন, বিশেষত সাধারণ মেয়েদের জীবনযাপন ও মনস্তত্ত্বের চিত্রই ছিল তার রচনার মূল উপজীব্য।
ব্যক্তিজীবনে নিতান্তই এক আটপৌরে মা ও গৃহবধূ আশাপূর্ণা ছিলেন পাশ্চাত্য সাহিত্য ও দর্শন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞা। বাংলা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও ভাষায় তার জ্ঞান ছিল না। বঞ্চিত হয়েছিলেন প্রথাগত শিক্ষালাভেও। কিন্তু গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পর্যবেক্ষণশক্তি তাকে দান করে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখিকার আসন। তার প্রথম
প্রতিশ্রুতি-সুবর্ণলতা-বকুলকথা উপন্যাসত্রয়ী বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম বলে বিবেচিত হয়। তার একাধিক কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয়েছে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। দেড় হাজার ছোটোগল্প ও আড়াইশো-র বেশি উপন্যাসের রচয়িতা আশাপূর্ণা সম্মানিত হয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার সহ দেশের একাধিক সাহিত্য পুরস্কার, অসামরিক নাগরিক সম্মান ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সম্মান রবীন্দ্র পুরস্কার। ভারত সরকার তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমি ফেলোশিপে ভূষিত করেন।
এই ব্লগে থাকছে আশাপূর্ণা দেবীর বিখ্যাত ৪০ টি উক্তি।
১#
আমি চিরদিনই চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী। আমার পৃথিবী জানলা দিয়ে দেখা। একেই তো খুব রক্ষণশীল বাড়ীর মেয়ে আবার প্রায় তেমন রক্ষণশীল বাড়ীর বৌও। চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত কেউ জানতো না আসলে ‘আশাপূর্ণা দেবী’ কে? ওটা কোনো পুরুষ লেখকের ছদ্মনাম নয়তো? পরে যখন বাইরের জগতে বেরিয়ে পড়ে সকলের সঙ্গে দেখা-টেখা হয়েছে, অনেকে বলেছেন, এই যেমন সজনীকান্ত দাস, প্রেমেন্দ্র মিত্র, ‘আমরা তো ভাবতাম ওটা বোধহয় একটা ছদ্মনাম। আসলে পুরুষের লেখা। এমন বলিষ্ঠ লেখা।
২#
প্রায়শই আমরা অন্যমনষ্কতার মধ্যে বাস করে থাকি, তাই সৌভাগ্য যখন আসে তখন তাকে সম্পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারি না। উপলব্ধিতে আসে তখন, যখন সেই সৌভাগ্যের ক্ষণটুকু হারিয়ে ফেলি।
৩#
নারী জন্ম তো দেখলাম, পরের জন্মে পুরুষ হয়ে দেখব কেমন লাগে।
৪#
কথাশিল্পীকে এমন ‘কথা’ নিয়েই লিখতে হবে যাকে বর্তমানকালই নগদ বিদায় দিয়ে চুকিয়ে দেবে না, পরবর্তীকালও যার দেনা শোধ করবে।
৫#
সাহিত্য চিরন্তন সত্যের বাহক, তার আবেদন ‘সত্তর’ আর ‘সতেরো’ দুজনের কাছেই সমান। একেই হয়তো ধ্রুপদী সাহিত্য বলা হয়।
৬#
গল্পই তো কল্পনার জোগানদার। শোনা গল্প যদি অবাধ বিচরণের উন্মুক্ত প্রান্তর হয়, তো পড়া গল্প ফ্রেমে আঁটা নিসর্গ দৃশ্য।”
৭#
সাহিত্য বহন করে আসছে মানুষের অন্তরের শ্বাশত বাণী, আর সংস্কৃতি বহন করে আসছে তার চিরন্তন উন্নতির চেতনা।
৮#
প্রকৃতির নিয়মানুসারে, প্রয়োজনের খাতিরেই সমাজে বিপ্লব আসে। যুগে যুগে কালে কালে সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্ত্তনের কাজ চলে। সাহিত্য তার কাজ কিছু এগিয়ে দেয়।
৯#
রবীন্দ্রনাথের দান আমাদের জীবনে আলোবাতাসের মতোই সহজ। তাকে নতুনভাবে উপলব্ধি ক’রে মুগ্ধ হওয়া যায়, সমালোচনা করা যায় না।
১০#
জাতীয় সম্পদের প্রতি এই যে শ্রদ্ধার অভাব, এও এক প্রকার অপসংস্কৃতি।
১১#
সাহিত্য বিশ্বরহস্যের একটি পরম রহস্য। সাহিত্য শ্রদ্ধার বস্তু, সাহিত্য পবিত্রতার প্রতীক, সাহিত্য-চিরন্তনের বাহক। ‘কবিতা অমৃত, আর কবিরা অমর’।
১২#
সে কি শুধু পুরুষজাতিকে মুগ্ধ করবার জন্যে? বিভ্রান্ত করবার জন্যে? বাঁচবার জন্যে নয়? আশ্রয় দেবার জন্যে নয়?
১৩#
কথা’ই তো ‘জীব’ জগৎ থেকে মানুষ জাতটাকে পৃথক করেছে, তাকে উত্তরণের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, উন্মত্ত নিয়ে চলেছে। কথাই সভ্যতার বাহন, সংস্কৃতির বাহন। কথা আর তখন ‘কথা’ মাত্র না থেকে হয়ে উঠেছে ‘কথা শিল্প।’
কথাই ‘বাণী’, কথাই ‘ব্রহ্ম’। কথার মধ্যেই মানুষের অস্তিত্ব, কথার মধ্য দিয়েই মানব মনের মুক্তি। সে মুক্তি স্রষ্টারও, ভোক্তারও।
১৪#
সাহিত্য চিরদিনই দুঃসাহসিক পথের যাত্রী। তার প্রতিপদক্ষেপেই নতুন পরীক্ষায় চঞ্চল।
দুর্গমকে অতিক্রম করাতেই তার উল্লাস।
দুরূহকে নিয়ে খেলা করাতেই তার আনন্দ। অফুরন্ত রহস্যময় মানব চিত্তের জটিল ধাঁধার উপর আলো ফেলে ফেলে তার যাত্রা।
তাই প্রতি নিয়তই সে অস্থির।
এই অস্থিরতাই সাহিত্যের ধর্ম, এই অস্থিরতার মধ্যেই সাহিত্যের অস্তিত্ব।
বিশেষ কোনো একটি মহৎ লক্ষ্যে পৌঁছে, বিশেষ কোনো একটি সত্য’কে আঁকড়ে ধরে বসে বাকি কালটা গুছিয়ে বসে থাকবে, এমন পাত্র সাহিত্য নয়। সে নদীর মতো অহরহই ভাঙ্গন ধরাবে, পলি পড়াবে।
সাহিত্য তো জীবনেরই রূপায়ণ।
যে জীবন মুহূর্তে মুহূর্তে নতুন চেতনায় দুর্বার, নতুন উপলব্ধিতে উদ্ভাসিত, নতুন মূল্যবোধে উচ্চকিত, সাহিত্য কি সেই যুগজীবনকে অস্বীকার করবে?
যে যুগ অফুরন্ত সমস্যায় কণ্টকিত, অফুরন্ত যন্ত্রণায় দিশেহারা, দমবন্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না, সেই যুগের সাহিত্যে স্নিগ্ধ প্রশান্তির আশা করা যায় না।
১৫#
মন রেখে রেখে কী কখনো কারো ‘মন রাখা’ যায়? যায় না। শুধু সেই মনের দাবী আর প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেওয়া হয় মাত্র।
১৬#
হয়ত যাকে হিংস্র অত্যাচারী বলে মনে হয়, সে মূলতঃ হিংস্র নয়, অত্যাচারী নয়, অবোধ মাত্র। তার বোধহীনতাই অত্যাচারীর চেহারা নেয়। আবার এও দেখেছি মানুষ সবচেয়ে অসহায় নিজের কাছেই। তা সে নারী পুরুষ উভয়েই। সেই অসহায়তা থেকে তার উদ্ধার নেই। আবার হয়তো সে নিজের সবচেয়ে ‘অচেনা’। তাই একদা যে জীবনটিকে পরম মুল্যবান ভেবে হৃদয় দিয়ে লালন করে এসেছে, এক মুহূর্তেই তা একান্তই মুল্যহীন হয়ে যেতে পারে।
১৭#
সংসার মানুষকে চেপে পিষে ফেলে, বিশেষ করে মেয়ে মানুষকে। তার ভিতরকার যা কিছু মাধুর্য, যা কিছু কোমলতা, যা কিছু ছাঁচ, সব যেন ঘষে ক্ষইয়ে ভোঁতা করে শুকিয়ে চারটি ধুলোবালি করে ছেড়ে দেয়।
১৮#
উঁচুতে উঠতে হলে কত নীচুতে নামতে হয়। কিন্তু সেটা সত্যি উঁচু নয় বলেই তো। অথচ এই পৃথিবী ওইটাকেই সত্যি উঁচু ভেবে অবিরত নীচে নেমে চলেছে।
১৯#
সুখের বদলে সম্মান বিকাইয়া দেওয়া যায় না। সুখ বিদায় হোক — সম্মান থাক জীবনে।
২০#
এতো আলো পৃথিবীতে, তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এতো অন্ধকারে কেন?
২১#
যাকে সামনে সমীহ করতে বাধ্য হতে হয়, তাকে আড়ালে নিন্দে করতে না পেলে বাঁচবে কেমন করে মানুষ?
২২#
চোখকে যদি মনের দর্পন বলা হয়, তো চিঠিকে বলা যেতে পারে মনের ফটোগ্রাফ। মনের এক একটি মেজাজ, এক একটি অনুভবের মুহূর্ত, এক একটি অবস্থা ধরা পড়ে বন্দী হয়ে থাকে চিঠিপত্রের পৃষ্ঠায়। আর এই টুকরো মুহূর্তগুলিই তো মানুষের প্রকৃত রুপকে ফুটিয়ে তোলে।
২৩#
জীব মাত্রেরই জীবন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে একটা দুর্বার ভয়কে কেন্দ্র করে। সে ভয় মৃত্যুভয়। এ ভয়কে জয় করবার সাধনা কঠিন। তাই জীব এই ভয়কে চোখ বুজে অস্বীকার করতে চায়।…যা অলঙ্ঘ্য তাকেই লঙ্ঘন করবো। যা অপ্রতিরোধ্য তাকে কিছুতেই নিশ্চিত বলে ভাববোনা। এই হচ্ছে মানুষের চিত্তবৃত্তি!
তাই মৃত্যুকে আমরা কিছুতেই দিন রাত্রির মতোই সহজ বলে মেনে নিতে পারি না। তাই প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলে উন্মত্ত শোকে আত্মহারা হই।”
২৪#
কালটা গুছিয়ে বসবে, এমন পাত্র সাহিত্য নয়। সাহিত্য নদীর সমগোত্রীয়, সরোবরের নয়।”
২৫#
মলাটের চেহারা কতোটা চিত্তাকর্ষক করতে পারলে বই কতোখানি চিত্তাকর্ষক হতে পারে, সেই চিন্তায় মাথা ঘামাচ্ছি আমরা।
অবশ্য সারা পৃথিবী জুড়ে তো এখন মলাটেরই যুগ চলছে।
মানুষ তো শুধু জিনিসের ওপরেই বাহারের মলাট দিচ্ছে না, জীবনের ওপরেও মলাট দিচ্ছে। যার যা মূল্য ধার্য হচ্ছে সে ওই মলাটের বাহার দেখে।
২৬#
আপাতদৃষ্টিতে যাকে সুখী মনে হয় সে হয়তো আদৌ সুখী নয়, আবার যাকে নেহাৎ দুঃখী মনে হয় যে সত্যিকারের দুঃখী নয়। বাইরের চেহারা আর ভেতরের চেহারা দুটোর মধ্যে হয়তো আকাশ পাতাল তফাৎ।
২৭#
নারী ছলনাময়ী, নারী জন্ম অভিনেত্রী। কিন্তু সে কি শুধু পুরুষজাতিকে মুগ্ধ করবার জন্যে? বিভ্রান্ত করবার জন্যে? বাঁচবার জন্যে নয়? আশ্রয় দেবার জন্যে নয়?
২৮#
সাহিত্যকে যদি এক একটি কালের অথবা এক একটি ভাষার গণ্ডির মধ্যে খণ্ডমূর্তিতে দেখা হয়, সেটা ঠিক দেখা হবে না। তার সেই খণ্ড বিচ্ছিন্ন নানামূর্তির ঊর্দ্ধে আর এক অখণ্ড মূর্তি বিরাজিত, সে হচ্ছে যুগ যুগান্তর সঞ্চিত মানস চেতনার একটি অবিচ্ছিন্ন চিন্তাধারার আলোক। সেই আলোকধারা যুগের সঙ্গে যুগের সেতু নির্মাণ করে চলেছে অতীত থেকে ভবিষ্যতে।
এইখানেই সাহিত্যের অপরিহার্যতা, এইখানেই সাহিত্যের মূল্য। সাহিত্য অতীতকে রক্ষা করে, বর্তমানকে সমৃদ্ধ করে আর উত্তরকালের জন্য সঞ্চয় করে।
২৯#
সাহিত্য চিরদিনই দুঃসাহসিক অভিযানের যাত্রী। প্রতি পদক্ষেপই তার নতুন পরীক্ষায় চঞ্চল। বন্ধুর পথকে জয় করতে পারায় তার উল্লাস। তাই অহরহই তার ভাঙা গড়ার খেলা। প্রতিনিয়তই সে পরীক্ষা নিরীক্ষায় অস্থির। এই অস্থিরতাই সাহিত্যের ধর্ম।
বিশেষ কোনো একটি মহৎ লক্ষ্যে পৌঁছে, বিশেষ কোনো একটি দর্শনের সত্যকে আঁকড়ে ধরে, বাকী কালটা গুছিয়ে বসবে, এমন পাত্র সাহিত্য নয়। সাহিত্য নদীর সমগোত্রীয়, সরোবরের নয়।
৩০#
একজন সহকর্মীর বিয়োগ, জীবনের একটি পরম শিক্ষা।
৩১#
সাহিত্য কোনো একটি ‘অঞ্চলে’র পটভূমিকাতেই গড়ে ওঠে! তবু সে যখন সেই ‘অঞ্চলে’র আবেষ্টন কাটিয়ে বিশ্ব পরিক্রমায় বার হয়, সীমার মধ্যে অসীমের স্পর্শ এনে দেয়, তখনই সে সার্থক হয়ে ওঠে। দীর্ঘ, বলিষ্ঠ, ঋজু, সতেজ এই সাহিত্যে সেই অসীমের স্পর্শের স্বাদ আছে।
৩২#
আমরা বিরাটের কাছে মাথা নোয়াই, নোয়াতে ভালবাসি, কিন্তু যদি দেখি সেই বিরাটের মধ্যেও আমাদেরই মত সহজ স্বাভাবিক সুখদুঃখবোধ রয়েছে, তা’হলে খুশী না হয়ে পারিনা। এটুকু যে আমাদের প্রশ্রয় দিয়ে কাছে টানে।”
৩৩#
চোখকে যদি মনের দর্পণ বলা হয়, তো চিঠিকে বলা যেতে পারে মনের ফটোগ্রাফ। মনের এক একটি মেজাজ, এক একটি অনুভবের মুহূর্ত, এক একটি অবস্থা ধরা পড়ে বন্দী হয়ে থাকে চিঠিপত্রের পৃষ্ঠায়। আর এই টুকরো মুহূর্তগুলিই তো মানুষের প্রকৃত রূপকে ফুটিয়ে তোলে।”
৩৪#
সমাজ ও সাহিত্য একে অপরের পরিপূরক, কাজেই সাহিত্যিক যদি যথেচ্ছাচার করেন তবে অধিকার ভঙ্গ করা হয়। তাঁকে ভাবতে হয় তাঁর লেখার মূল্য আছে। এবং তাঁর দায়বদ্ধতা আছে সমাজের কাছে। সাহিত্যিকের কাজ উত্তরণের পথ দেখানো। শুধু বানিয়ে লেখা নয়। আসলে সাহিত্যিকের কাজ হচ্ছে নিজেকে প্রকাশ করা। প্রতিকারের চিন্তা করাও সাহিত্যিকের কাজ নয়। সে কাজ সমাজ সংস্কারকের। নিজেকে ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারলে সন্তোষ, না পারলে যন্ত্রণা। নিজের কাছেই জবাবদিহি করতে হয়।”
৩৫#
সাহিত্যকে যদি এক একটি কালের অথবা এক একটি ভাষার গণ্ডির মধ্যে খণ্ডমূর্তিতে দেখা হয়, সেটা ঠিক দেখা হবে না। তার সেই খণ্ড বিচ্ছিন্ন নানামূর্তির ঊর্দ্ধে আর এক অখণ্ড মূর্তি বিরাজিত, সে হচ্ছে যুগ যুগান্তর সঞ্চিত মানস চেতনার একটি অবিচ্ছিন্ন চিন্তাধারার আলোক। সেই আলোকধারা যুগের সঙ্গে যুগের সেতু নির্মাণ করে চলেছে অতীত থেকে ভবিষ্যতে।
এইখানেই সাহিত্যের অপরিহার্যতা, এইখানেই সাহিত্যের মূল্য। সাহিত্য অতীতকে রক্ষা করে, বর্তমানকে সমৃদ্ধ করে আর উত্তরকালের জন্য সঞ্চয় করে।

Mehadi Bhuiyan holds a BA in English Literature from the National University of Bangladesh. His academic interests include literature, history, and cultural studies, with a particular focus on modern and contemporary writing. He works as a freelance writer, researcher, and editor, specializing in literary analysis, historical narratives, and cultural topics.