You are currently viewing হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী : মহানবী সাঃ এর ৬০ টি মহামূল্যবান বাণী

হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী : মহানবী সাঃ এর ৬০ টি মহামূল্যবান বাণী

মুহাম্মাদ (আনু.  ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ – ৮ জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ) একজন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। পূর্ণ সম্মানসূচক নাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী, তিনি আল্লাহর প্রেরিত একজন নবি যিনি আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবিদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন। মুসলিমগণ বিশ্বাস করেন যে, মুহাম্মাদ ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবি ও রাসুল এবং কুরআন ও মুহাম্মাদের জীবনাদর্শ হলো ইসলাম ধর্মের মূলভিত্তি।

❝মতভেদ করো না। তোমাদের পূর্বে যারা মতভেদ করেছিল, তারা ধ্বংস হয়েছে।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝মুমিন মুমিনের ভাই।❞ (মিশকাত)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝মানুষের অবস্থা উটের মতো, একশ’টি উটের মধ্যে-ও একটি ভালো সোয়ারী পাওয়া যায়না।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝জুলুম করা থেকে বিরত থাকা। কেননা, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারের রূপ নেবে।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝অনুমান ও কুধারণা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝তোমরা হবে যেমন, তোমাদের শাসকও হবে তেমন।❞ (মিশকাত)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন।❞ ( সহীহ বুখারী )
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

❝শক্তিশালী সে, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১০

❝তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা, যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।❞
[ সহীহ বুখারী ]
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১১

❝তোমাদের সন্তানদের মর্যাদা দান করো এবং তাদের সুন্দর আচার ব্যবহার শিখাও।❞ (ইবনে হিব্বান)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১২

❝আল্লাহ তোমাদের চেহারা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবেন না, তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও কাজ।❞ [ সহীহ মুসলিম ]
নোট: এখানে অন্তর মানে – উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বা নিয়্যত।
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১৩

❝প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১৪

❝যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১৫

❝দোযখ এতই ভয়াবহ যে, তার থেকে পলায়নকারীর চোখে ঘুম আসেনা।❞ (তিবরানী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১৬

❝যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১৭

❝দোযখ এতই ভয়াবহ যে, তার থেকে পলায়নকারীর চোখে ঘুম আসেনা।❞ (তিবরানী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১৮

❝আমার উম্মতের সম্মানিত লোক হলো কুরআনের বাহক আর রাতের সাথীরা❞ (বায়হাকী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

১৯

❝আল্লাহ তোমার ভাগে যা রেখেছেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকো, তবেই হবে সবচেয়ে প্রাচুর্যশালী।❞ (মিশকাত)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২০

❝যে আল্লাহর কিতাবের পথ ধরে সে দুনিয়াতে বিপথগামী হয় না এবং পরকালে হয় না দুর্ভাগা।❞ (মিশকাত)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২১

❝সে মুমিন নয়, যে নিজে পেট পূরে খায় আর পাশেই তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে।❞ (বায়হাকী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২২

❝তোমরা আল্লাহর কিতাবকে আঁকড়ে ধরো। এর হালালকে হালাল বলে গ্রহণ করো এবং এর হারামকে হারাম বলে বর্জন করো।❞ (হাকিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২৩

❝যারা পৃথিবীতে আছে তাদের দয়া করো, তাহলে যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাকে দয়া করবেন।❞ (মিশকাত)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২৪

❝আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল সে, যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করলো, অতপর তা ছড়িয়ে দিলো।❞ (বায়হাকী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২৫

❝সবচেয়ে কৃপণ লোক সে, যে সালাম আদান প্রদানে কৃপণতা করে।❞ (তিবরানী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২৬

❝অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ।❞ (তিরমিযী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২৭

❝যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২৮

❝আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

২৯

❝তোমাদের কেউ যখন উত্তেজিত হবে, সে যেন অযু করে আসে।❞ (আবু দাউদ)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩০

❝যখন রমযান শুরু হয়, তখন রহমতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩১

❝যে তার প্রভুকে স্মরণ করে, আর যে করে না, তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩২

❝যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্যে সালাত পড়লো, সে শিরক করলো।❞ (আহমদ)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩৩

❝তোমাদের মাঝে উত্তম লোক সে, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম।❞ (ইবনে মাজাহ)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩৪

❝আল্লাহর অনুগত দাস আর কুফরীর মাঝে মিলন সেতু হলো সালাত ত্যাগ করা।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩৫

❝তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করো না, ঘৃণা বিদ্বেষ করো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩৬

❝কিয়ামতের দিন পয়লা হিসাব নেয়া হবে সালাতের।❞ (তাবরানি)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩৭

❝যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩৮

❝যে পূত পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পূত পবিত্র রাখেন।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৩৯

❝যে খেয়ে শোক আদায় করে, সে ধৈর্যশীল রোযাদারের সমতূল্য।❞ (তিরমিযী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪০

❝কোনো বান্দাহ ততোক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম হয় না, যতোক্ষণ তার মন ও যবান মুসলিম না হয়।❞ (তাগরীব)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪১

❝তুমি মুমিন হবে তখন, যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট।❞ (আহমদ)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪২

❝যে কেউ এই ঘোষণা দেবে: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল’ – আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪৩

❝ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা।❞ (তারগীব)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪৪

❝বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো, তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবে না।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪৫

❝মুসলমান সে, যে নিজের অনিষ্টকর ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানদের নিরাপদ রাখে।❞ (সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪৬

❝তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ তারা, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়।❞ (ইবনে মাজাহ)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪৭

❝যে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্যে অর্থের প্রাচুর্যের চেয়ে শারীরিক সুস্থতা উত্তম।❞ (মিশকাত)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪৮

❝তোমার ভাইয়ের দিকে হাসি মুখে তাকানো একটি দান।❞ (তিরমিযী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৪৯

❝লোক তার সঙ্গীর স্বভাব-চরিত্র দ্বারা প্রভাবিত। অতএব সে যেন খেয়াল রাখে কার সঙ্গে সে বন্ধুত্ব করছে।❞
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫০

❝যে আল্লাহর পথে একটি দান করে, আল্লাহ তার জন্যে সাতশ গুণ লিখে দেন।❞ (তিরমিযী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫১

❝যে নেতা হয়, তাকে সবার চেয়ে দীর্ঘ হিসাব চেয়ে দীর্ঘ হিসাব দিতে হবে।❞ (কানযুল উম্মাল)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫২

❝কারো এমন হুকুম মানা যাবেনা, যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫৩

❝যে তোমার সাথে বিশ্বাস ভংগ করেছে, তুমি তার সাথে বিশ্বাস ভংগ করো না।❞ [ তিরমিযী ]
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫৪

❝যে ভালো কাজের আদেশ করেনা এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করেনা, সে আমার লোক নয়।❞ (তিরমিযী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫৫

❝মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি জুলুম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫৬

❝হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই দুশ্চিন্তা থেকে, মনঃকষ্ট থেকে, বার্ধক্য থেকে, আলস্য ও কাপুরুষতা থেকে এবং কৃপণতা ও ঋণের বোঝা থেকে।❞
(সহীহ বুখারী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫৭

❝সব আদম সন্তানই ভুল করে। তবে এদের মধ্যে উত্তম হলো তারা যারা ভুলের জন্যে তাওবা করে।❞ (তিরমিযী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫৮

❝আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি।❞ (সহীহ মুসলিম)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৫৯

❝আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ চাও। তাঁর কাছে প্রার্থনা করাকে আল্লাহ খুবই পছন্দ করেন।❞ [ তিরমিযী ]
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

৬০

❝আমার পরে যদি কেউ নবী হতো, তবে অবশ্যি উমর বিন খাত্তাব হতো।❞ (তিরমিযী)
✿ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)

Leave a Reply