You are currently viewing হযরত আবু বকর রাঃ এর বাণী : ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর রাঃ এর ২৫ টি উক্তি ও উপদেশ বাণী

হযরত আবু বকর রাঃ এর বাণী : ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর রাঃ এর ২৫ টি উক্তি ও উপদেশ বাণী

আবু বকর (জন্মঃ ২৭ অক্টোবর ৫৭৩ – মৃত্যুঃ ২৩ আগস্ট ৬৩৪), ছিলেন একজন আরব রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা যিনি রাশিদুন খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৬৩২ সাল থেকে ৬৩৪ সাল তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে শাসন করেন। তিনি ছিলেন ইসলামের নবী মোহাম্মদের একজন বিশিষ্ট সঙ্গী ও শ্বশুর। এছাড়াও আবু বকর সুন্নি ইসলামের অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।

৬৩২ সালে মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর আবু বকর প্রথম রাশিদুন খলিফা হিসেবে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের উত্তরাধিকারী হন এবং সকীফাতে নির্বাচিত হন। আবু বকরের খিলাফত মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়, ৬৩৪ সালে অসুস্থতার পর তার মৃত্যুর সাথে শেষ হয়। মৃত্যুশয্যায় তিনি উসমান ইবনে আফফানের কাছে তার শেষ প্রমাণ নির্দেশ করেন, যেখানে তিনি উমর ইবনে আল-খাত্তাবকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নিযুক্ত করেন। আবু বকরের গোসল আলী ইবনে আবি তালিব দ্বারা সঞ্চালিত হয় এবং উমর দ্বারা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া রওয়ানা করা হয়। আবু বকরকে মুহাম্মাদের সাথে মদিনার আল-মসজিদ আন-নাবাউইতে সবুজ গম্বুজে সমাহিত করা হয়েছে। আবু বকরের সমাধিস্থল ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান।

যদিও তার খিলাফতের সময়কাল সংক্ষিপ্ত ছিল, এটি সময়ের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্যের সফল আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা তার নিজস্ব ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। তিনি একটি ঐতিহাসিক গতিপথ স্থাপন করেছিলেন যা কয়েক দশকের মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম সাম্রাজ্যের দিকে পরিচালিত করবে। স্থানীয় বিদ্রোহী আরব বাহিনীর বিরুদ্ধে তার বিজয় ইসলামিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। আবু বকর মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সম্মানিত।

সবচেয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় হলো তাকওয়া অবলম্বন করা। সবচেয়ে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় হলো গুনাহের কাজ করা। সবচেয়ে সত্যবাদিতার পরিচয় হলো আমানত রক্ষা কর। সবচেয়ে জগণ্য মিথ্যা হলো, খেয়ানত করা।

ইবাদত একটি ব্যবসার মত।এর দোকান হলো নির্জনতা,পুজি হলো তাকওয়া,লাভ্যাংশ হল জান্নাত।

সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত; যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়।

যখন মানুষ দুনিয়ার কোনও বিষয়ের ওপর আসক্ত হয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। যখন সে এই কাজ বা বিষয় থেকে দূরে সরে আসে তখন আল্লাহ তায়ালা তার ওপর সন্তুষ্ট হন।

যে তোমার সাথে শত্রুতা করে তাকেও ভালবাসো !

তাওবা বৃদ্ধের জন্য একটা প্রশংসনিয় কাজ,তবে যুবকের তাওবা সর্বাপেক্ষা প্রশংসনীয়।

যে তোমাকে কস্ট দেয় তার জন্যও দু’আ করো!

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা গোলাম—বাদীদেরকে নিজের সন্তানদের মতো করে রাখো। তোমরা যা খাও, তাদেরকেও তা খেতে দাও। তোমরা যেমন কাপড় পরিধান করো, তাদেরকেও তেমন কাপড় পরিধান করাও।

চেয়ে দেখো, সৃষ্টিকর্তা সূর্যের আলো ভালো মন্দ সকলের জন্যই অবধারিত রেখেছেন ।

মন্দ লোকের সাহচর্য থেকে একাকিত্ব এবং একাকিত্বের চেয়ে সত লোকে সাহচর্য উত্তম।

১০

পাপী ও পূণ্যবান সকলের জন্যই তিনি বৃষ্টি বর্ষিত করছেন

১১

যদি আমি মানুষ না হয়ে কোনও গাছ হতাম, যা কেটে ফেলা হতো। এবং খেয়ে ফেলা হতো।

১২

যুদ্ধের ময়দানে কাফিরদের সঙ্গে জিহাদ করা জিহাদে আসগর’ অথবা খুব ছোট জিহাদ, আর তোমার নিজের নফসের সাথে যুদ্ধ করা সবচেয়ে বড় জিহাদ বা জিহাদে আকবর।

১৩

পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে সবর করার চেয়ে পরীক্ষা থেকে সুরক্ষিত থেকে কৃতজ্ঞ হওয়া আমার কাছে বেশি পছন্দের।

১৪

পরকাল নিয়ে আমাদের প্রত্যেকে অসীম কৌতুহল রয়েছে। যেখানে রয়েছে আশা এবং চিরশান্তির কথা। পাশাপাশি অন্যায়কারীদের জন্য অসহনীয় অশান্তি এবং শাস্তি।

১৫

অপরের কষ্ট দূর করার জন্য কষ্ট করার মাঝে রয়েছে মহত্বের প্রকৃত নির্যাস।

১৬

যারা বড় লোকদের পেছনে ঘুরে সেসব আলেম মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার সবচেয়ে বড় শত্রু। আর সে সব বড়লোক আল্লাহ্‌ তায়ালার করুনার ভাজন, যারা আলিমগণের সহচর্যে গমন করে। ইলম ছাড়া আমলকে ব্যাধি জ্ঞান করে আর আমলহীন ইলমকে নিরর্থক মনে করে।

১৭

পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে সবর করার চেয়ে পরীক্ষা থেকে সুরক্ষিত থেকে কৃতজ্ঞ হওয়া আমার কাছে বেশি পছন্দের।

১৮

ইবাদত একটি ব্যবসার মত। এর দোকান হলো নির্জনতা,পুঁজি হলো তাকওয়া, লাভ্যাংশ হল জান্নাত।

১৯

সাবধান! কেউ যেন কাউকে তুচ্ছ মনে না করে। কারণ, ছোট স্তরের

২০

যে লোক পরকালের জন্য এ দুনিয়াকে একেবারে ছেড়ে দেয়, সে লোক উত্তম নয়। বরং উত্তম সে লোক যে লোক দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়টির হক্ব রক্ষা করে চলে।

২১

মৃত্যুকে খুঁজো (অর্থাৎ, সাহসী হও) তাহলে তোমাদেরকে জীবন দান করা হবে।

২২

মৃত্যুকে খুঁজো (অর্থাৎ, সাহসী হও) তাহলে তোমাদেরকে জীবন দান করা হবে।

২৩

তিনি জিহ্বাকে টেনে ধরে বলতেন, এটিই আমাকে ধ্বংসের স্থানে উপনীত করেছে।

২৪

যে কোন কর্ম করার আগে পৃথিবী এবং আখিরাত এ দু জগতের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই তা করবে শতকরা আড়াই টাকা তো কৃপণ এবং দুনিয়াদারদের জন্য যাকাত। আর সিদ্দীকগুণের যাকাত হল তাঁর সম্পূর্ণ ধন-সম্পদ আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় বিলিয়ে দেয়া।

২৫

দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বান্দার মধ্যে যখন অহঙ্কার আসন গেড়ে বসে তখন আল্লাহপাকও তার দুশমন হয়ে যান।

Leave a Reply