You are currently viewing মির্জা গালিবের কবিতা অনুবাদ বাংলা: ১২ টি বিখ্যাত শায়েরি

মির্জা গালিবের কবিতা অনুবাদ বাংলা: ১২ টি বিখ্যাত শায়েরি

মির্জা বেগ আসাদুল্লাহ খান (উর্দু /ফার্সি: مرزا اسد اللہ بیگ), মির্জা গালিব নামে অধিক পরিচিত। তার ডাক নাম গালিব (উর্দু/ফার্সি]: غالب, গালিব অর্থ সর্বোচ্চ) এবং (পূর্বের ডাক নাম) আসাদ (উর্দু/ফার্সি]: اسد, আসাদ অর্থ সিংহ) (ডিসেম্বর ২৭, ১৭৯৭ — ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৮৬৯) ভারতবর্ষে মোঘল-সম্রাজ্যের শেষ ও ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকের একজন উর্দু এবং ফার্সি ভাষার কবি । সাহিত্যে তার অনন্য অবদানের জন্য তাকে দাবির-উল-মালিক ও নাজিম-উদ-দৌলা উপাধি দেওয়া হয়। তার সময়কালে ভারতবর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য তার ঔজ্জ্বল্য হারায় এবং শেষে ১৮৫৭ সালের সিপাহীবিদ্রোহ এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশরা পুরোপুরিভাবে মোঘলদের ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করে, তিনি তার লেখায় এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন।

প্রিয়র রূপের বিভায় কেন জ্বলে ছাই হলাম না!
নিজ দৃষ্টির শক্তি দেখে এখন নিজেই জ্বলে মরি!

কিঁউ জ্বল গ্যায়া না তাবে রুখে য়ার দেখ কর
জ্বলতা হু আপনি তাকতে দিদার দেখ কর.

তোমার দরজার সামনেই ঘর বনিয়ে নিয়েছি আমি
এবারও কি বলবে আমার ঘরের ঠিকানা জানো না তুমি!

ঘর জাব বানা লিয়া তেরে দর পর কহে বাগ্যয়র
জানেগা আব ভি তু না মেরা ঘর কহে বাগ্যয়ী
-গালিব-

তুমি আমার সঙ্গেই থাকো, যখন
আর কেউ থাকে না পাশে

তুম মেরে পাস হোতে হো গ্যয়ে
যব কোই দুসরা নেহি হোতা

হাতের তালুতে ভাগ্য দেখতে যেয়ো না গালিব ভাগ্য তারও আছে যার হাত নেই

হাতি কি লাকিরুপে মাত যা আয়ে গালিব কিসমাত উসকি ভি হোতি হ্যায় জিসকা হাত নেহি হোতা

নিজের জীবন যখন এমনই বিবর্ণ, গালিব,
কী করে যে ভাবি, একদা আমাতেই ছিল স্রষ্টার বাস?

জিন্দেগি আপনি যব ইস শকল্ সে গুজরি গালিব
হম ভি ক্যায়া ইয়াদ করেঙ্গে কি খুদা রাখতে থে

ভালোবাসার ওপর জোর চলে না গালিব এটা সেই আগুন যা জ্বলালেও জ্বলে না আবার নিভালেও নিভে না

ইশক পার জোর নেহি হ্যায় এহ ওহ আতিশ গালিব কেহ লাগায়ে না লাগে আওর বুঝায়ে না বানে

প্রেমের লুকানো তাপ কী নিদারুণ আহা হৃদয় পোড়াল
যেন ধিকিধিকি জ্বলন্ত আগুন ছাই হয়ে নিভে গেল

দিল মেরা সোজ-এ নিহাঁ সে বে মুহবা জ্বল গ্যয়া
আতিশ-এ খামোশ কে মানিন্দ গোএআ জ্বল গ্যয়া

চোখ উৎসাহ নিয়ে কেঁদে কেঁদে হয়ে গেছে লাল দেয়াল হয়ে গেছে দরজা, দরজা হয়ে গেছে দেয়াল

ওয়াফুরে আশকানে কাশানে কা ক্যা ক্যা রঙ কে হো গায়ে মেরে দিওয়ারো দর দরো দিওয়ার

পৃথিবীতে আরো অনেক বাগ্মী কবি রয়েছেন
কিন্তু শুনেছি গালিবের কবিতা না কি অন্য মাত্রার

হ্যায় অউর ভি দুনিয়া মে সুখনবর বহত আচ্ছে
ক্যহতে হ্যায় কি গালিব কা হ্যায় আন্দাজ-এ বায়াঁ অউর

১০

কোন মুখ নিয়ে কাবায় যাবে গালিব,
তোমার লজ্জা নেই?

কাবাহ কিস মুহ ছে যায়োগে গালিব
শারাম তুম কো মাগার নেহি আতি

১১

ধর্মপ্রচারকের নিন্দামন্দ আমার কাটা ঘায়ে লবণ ছিটাল
তাকে কেউ করো তো জিজ্ঞেস, কতটা সে আনন্দ পেল?

শোর-এ পান্দ-এ নাসিহ্ নে জখম পর নমক ছিড়কা
আপ সে কো-ই পুছে: তুম নে ক্যায়া মাজা পায়া

১২

যখন আর কিছুই ছিল না তখন স্রষ্টা ছিল, যদি কিছু
না-ও থাকত স্রষ্টা থাকত
আমি ছিলাম বলেই ডোবাতে পারলে, যদি না থাকতাম
তবে কী করে পারতে?

না থা কুছ তো খুদা থা, কুছ না হোতা তো খুদা হোতা
ডুবোঁয়া মুঝ কো হোনে নে, না হোতা ম্যায় তো ক্যায়া হোতা

Leave a Reply