তারেক রহমান (জন্ম: ২০ নভেম্বর ১৯৬৫) হলেন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এছাড়াও তারেক রহমান দৈনিক দিনকাল সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশক (ভারপ্রাপ্ত)। তিনি সাধারণত তারেক জিয়া নামে পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তার পিতা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।
তারেকের অল্প বয়স থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় এবং ২০০০ সালের শুরুর দিকে তার মা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিএনপিতে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর, তার নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান এবং দাবি করেন যে গ্রেপ্তারকালীন সময়ে কর্তৃপক্ষ তাকে জেলহাজতে নির্যাতন করছে এবং তিনি যেনো আর রাজনীতি না করতে পারেন সেজন্য মুচলেকা দিয়েছেন।
দুর্নীতি, ঘুসগ্রহণ, মানি লন্ডারিং, অবৈধ সম্পদ অর্জন, গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক অভিযোগে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হন। ২০০৭ সালের পর তার বিরুদ্ধে মোট ৮৪টি মামলা হয়। তার দল বিএনপি দাবি করে যে এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা অভিযোগ। পরবর্তীকালে ২০২৪ সালে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, আদালত তাকে দণ্ডপ্রাপ্ত সকল অভিযোগ থেকে খালাস দেয় এবং তার সাজা বাতিল করা হয়। বর্তমানে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বিচারাধীন নেই। ২০০৮ সালের পর থেকে বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন।তারেককে প্রায়শই বাংলাদেশের কার্যত বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তারেক রহমান বাংদেশের রাজনীতিতে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন, তার অনেক বিরোধী তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনেছেন।
১
রাজনীতি মানে জনগণের সেবা ব্যক্তিগত লাভ নয়! নীতি আদর্শকে আঁকড়ে ধরে মানুষের জন্য কাজ করাই একজন নেতার প্রধান দায়িত্ব!
২
জনগণের আস্থার ভিতরে থাকতে হলে আমাদের প্রত্যেককে যেটি সঠিক সেটা করতে হবে। যেটা অনৈতিক সেটিকে ত্যাগ করতে হবে সেটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে এবং সেটির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
৩
সত্য, ন্যায়, সাহসের পথে চললেই জাতি উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে আর মিথ্যা কখনো কোনোদিন টিকে থাকতে পারে না!
৪
বাংলাদেশের উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সবাই রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করবে!
৫
কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
৬
দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ… সবার আগে বাংলাদেশ।
৭
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদৎ বরণকারী দেশের প্রথম শ্রেণীর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অম্লান স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। এ শোকাবহ দিনে দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান-আসুন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা একসাথে কাজ করি।
৮
এই বিশ্বপরিবেশ দিবসে, আসুন আমরা আশার বীজ বুনি, আমাদের বায়ু, পানি ও মাটি রক্ষা করি এবং সকলের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করি।
৯
সেন্ট মার্টিনকে ঘিরে গত কয়েকদিন মিয়ানমার যা করছে, এটি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য চূড়ান্ত হুমকি।
১০
ভয় নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন।
১১
শক্তি কিংবা ভয় দেখিয়ে নয়, ইনসাফ এবং উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন। জনগণের ভালোবাসা অজন করুন।
১২
আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি, যেখানে কেউ নিপীড়িত হবেন না।
১৩
বাংলাদেশের জনগণ আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। তাদের স্বার্থ রক্ষা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠা আমার প্রধান লক্ষ্য।
১৪
গণতন্ত্র মানে শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। তাই শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করেই দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
১৫
প্রথাগত ছাত্ররাজনীতি বাদ দিতে হবে। তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক। কথা বলার রাজনীতি নয়, জনগণের মানোন্নয়নের রাজনীতি করতে হবে। যোগ্য নেতৃত্বই পারে দেশ গড়তে। শহীদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
১৬
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজে কেউ বঞ্চনার শিকার হলে জোরালো প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, সে কারণে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোন লিঙ্গের ভেদরেখা তীব্র হতে পারে না এবং ক্রমান্বয়ে সমানাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়।
১৭
জনগণ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই স্বৈরাচারকে হটিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে। সুতরাং সরকারে যারাই থাকুক, সরকার পরিচালনা করতে চাইলে অবশ্যই নাগরিকদের কথা শুনতে হবে।
১৮
যুবসমাজ দেশের চালিকা শক্তি! তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিলে বাংলাদেশ উন্নত আর সমৃদ্ধ বা মর্যাদাবান রাষ্ট্রে পরিণত হবে!
১৯
আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ’গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। নূর হোসেনকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নূর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।
২০
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালোবাসায়। তার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
২১
বিএনপি আগামী দিনের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছে। বর্তমান বিশ্বে নিজেকে অন্যের চেয়ে দক্ষ করে তোলার যে প্রতিযোগিতা চলছে, সেখানে একনিষ্ঠতা ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির বিকল্প নেই।
২২
নারীসমাজ যাতে বঞ্চিত না হয়, সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
২৩
পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা।
২৪
অনেকে বলেন আমরা শুধু ভোটের কথা বলি। আমরা রাজনীতি করি, আমরা ভোটের কথা বলব, এটাই স্বাভাবিক।
২৫
গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল স্বৈরশাসক এরশাদ। গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দৃঢ়-প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে। গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপরিহার্য শর্ত হলো নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার।
২৬
ত্যাগ আর সততা ছাড়া প্রকৃত নেতৃত্ব কখনো গড়ে উঠে না! জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সেবা আর ত্যাগ অপরিহার্য বিষয়!
২৭
স্বৈরাচার যখন এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা অস্ত্রের জোরে ধরে রেখেছিল, তখন একটি স্লোগান আমি আপনাদের সামনে দিয়েছিলাম। সেটি হচ্ছে “টেক ব্যাক বাংলাদেশ”। এর অর্থ ছিল জনগণের রাজনৈতিক অধিকার, মৌলিক অধিকার, বাক্স্বাধীনতা এবং নিজস্ব অর্থনৈতিক অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, রাজনীতি, বিচারব্যবস্থা, যা–ই বলি না কেন, সেগুলোতে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে।
২৮
গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, যেখানে বহুদলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, বহুমত এবং চিন্তার চর্চা, পাশাপাশি নাগরিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ছিল।
২৯
কিছুসংখ্যক লোক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের কষ্টে পানি ঢেলে দিচ্ছে। পরিবারে দুষ্ট লোক থাকলে তাঁদের একটু টাইট দিয়ে রাখতে হয়, যেন পাশের বাড়ির আমগাছটায় ঢিল না মারে। আমাদের দলের ভেতরেও এমন দুষ্ট থাকতে পারে। এদের টাইট দিয়ে রাখতে হবে। এরা বুঝে হোক না বুঝে হোক, দলের ক্ষতি করে ফেলছে।
৩০
সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে দেশপ্রেম, শান্তি ও মানব কল্যাণ।
