You are currently viewing অরুন্ধতী রায় উক্তি : অরুন্ধতী রায়ের ১৫ টি সমাজ ও রাজনৈতিক উক্তি

অরুন্ধতী রায় উক্তি : অরুন্ধতী রায়ের ১৫ টি সমাজ ও রাজনৈতিক উক্তি

সুজানা অরুন্ধতী রায় (জন্ম ২৪ নভেম্বর ১৯৫৯) একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিক এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী। তিনি তার উপন্যাস দ্য গড অব স্মল থিংসের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটির জন্য ১৯৯৭ সালের ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি পরিবেশগত সংশ্লিষ্টতা এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়েও জড়িত রয়েছেন।

কোনোকিছু উপেক্ষা করে চলা আর কোনো বিষয়ে সরব হওয়া দুটোই রাজনৈতিক।

অনেকেরই অভিযোগ আমি রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গির, অথচ জীবনে রোমান্স হারিয়ে ফেলাদের জন্য আমার করুণাই হয়।

স্বপ্নে আপনি সুখী হলে, কিছুই কি যায় আসে?

বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ গণহত্যার কারণ ছিল কোনো না কোনো ধরনের জাতীয়তাবাদ।

পতাকা মানেই রঙিন একটুকরো কাপড়, যেটা সরকার প্রথমে ব্যবহার করে জনগণের চিন্তাকে ঢেকে রাখতে এবং তারপর কফিন হিসেবে মৃতদের ঢেকে রাখতে।

হারিয়ে যাওয়া মানে শেষ হয়ে যাওয়া নয়। অনেক সময় হারিয়ে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায।

‘কাউকে আঘাত করলে কী হয় জানো?’ আম্মু বলল, ‘লোককে যখন তুমি আঘাত/আহত করো, তোমার প্রতি তাদের ভালোবাসা কমতে থাকে। যত্নহীন শব্দও একই কাজ করে। এগুলো তোমার প্রতি লোকের ভালোবাসা কমিয়ে দেয়।

আমরাই নিজেদেরকে বোকা বানাই , কেননা আমরা বিশ্বাস করি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং একজন নতুন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এসে সেই পুরনো সিস্টেমে নেতৃত্ব দিলেই অবস্থা বদলে গিয়ে সুদিন আসবে।

রাষ্ট্র যে যুদ্ধে নামে, তার প্রথম শিকার হয় নারী। যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের শরীরকে ব্যবহার করা হয় জাতির মানচিত্র আঁকার জন্য।

১০

বাকশক্তিহীন বলে আসলে কেউ নেই। আছে কেবল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চুপ করিয়ে রাখা কিংবা স্বেচ্ছায় না-শুনে থাকারা।

১১

ওসামা বিন লাদেন এবং জর্জ বুশ উভয়ই সন্ত্রাসী ছিলেন। তারা উভয়ই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন যা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় এবং মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে। পেন্টাগন, ডব্লিউটিও, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বুশ এবং আল-কায়েদার সঙ্গে বিন লাদেন। পার্থক্য হলো, কেউই বিন লাদেনকে ভোট দেননি।

১২

শত্রুরা আপনার মনোবল ভাংতে পারে না, বন্ধুরা পারে।

১৩

ফ্যামিলির এই এক মুশকিল। প্যারাদায়ক ডাক্তারদের মতো তারা ঠিকই বুঝতে পারে কোথায় ব্যথা।

১৪

জাতিভেদের উদ্দেশ্যই হলো মানুষে মানুষে এমন ভেদাভেদ সৃষ্টি করা যাতে কোনভাবেই আর মানুষের একতাবদ্ধ হবার উপায় না থাকে। কারণ নিচু জাতির মধ্যে আবার গোত্র আছে, আরো ভাগ আছে। সবাইকে এই আধিপত্যের ক্রমানুসারে গঠিত, পরস্পর বিচ্ছিন্ন গণ্ডিবদ্ধ সমাজ রক্ষার কাজে লাগানো হয়েছে। এই হলো শ্রেণি, জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম অনুযায়ী ছক তৈরির রাজনীতি। সেই ছককে আরো সূক্ষ্ম ভাগে ভাগ করাটা গোটা পৃথিবীকে তাঁবে রাখার অপরিহার্য অংশ। মানুষকে এই কথা বলে বশীভূত রাখা: ‘তুমি মুসলমান, তুমি হিন্দু, তুমি শিয়া, তুমি সুন্নি, তুমি বারেলভি, তুমি ব্রাহ্মণ, তুমি সারস্বত ব্রাহ্মণ, তুমি দলিত, তুমি সমকামী, তুমি অপর লিঙ্গের প্রতি আসক্ত, তুমি লিঙ্গত্যাগী– তাই তুমি শুধু নিজের পক্ষেই কথা বলতে পারো, কারো সাথে ঐক্যবদ্ধ হবার কোন পথ নেই।’ অর্থাৎ মানুষ যাকে মুক্তি ভাবছে সেটা বাস্তবে দাসত্ব।

১৫

সব সমাজেই প্রতিরোধ ও মাথা না-নোয়ানোর এমন এক সংস্কৃতি থাকা দরকার, যা দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের (পুঁজিবাদী, কমিউনিস্ট কিংবা গান্ধীবাদী যাই হোক না কেন) অনিবার্য লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াতে পারে।

১৬

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সমর্থন করেছিল এবং নিশ্চিত করেছিল যে তিনি যেন শক্ত-হাতে শাসন চালিয়ে যেতে পারে। এরপর তারা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভেঙে দেয় ইরাকের নাগরিক সমাজের মেরুদণ্ড, ইরাককে করে দেয় নিরস্ত্র এবং চালায় বর্বর আক্রমণ করে। আর এখন তারা এর সব সম্পদ দখল করে নিয়েছে।

১৭

মার্কিন সাম্রাজ্য দাঁড়িয়ে আছে এক ভয়ানক ভিত্তির উপর: লক্ষ লক্ষ আদিবাসীদের গণহত্যা, তাদের ভূমি চুরি এবং সেই ভূমিতেই কাজ করার জন্য আফ্রিকা থেকে লক্ষ লক্ষ কালো মানুষকে অপহরণ করে তাদের দাসে পরিণত করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ সাগরেই মারা গিয়েছে যখন তাদের পশুর মত খাঁচায় বন্দি করে পাচার করা হয়।

Leave a Reply