হিমুর নীল জোছনা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হিমু সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। হিমু সিরিজের প্রথম উপন্যাসের নাম ছিলো ময়ূরাক্ষী, যা ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো। হিমুর নীল জোছনা উপন্যাসটি হিমু সিরিজের ২০ তম বই। হিমুর নীল জোছনা বইটি ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালের বইমেলায় অন্যপ্রকাশ থেকে বইটি বের হয়।
১
সৎ কর্ম হলো নেশার মতো। একটা করলে আরেকটা করতে মন চায়।
২
নীল জোছনার রাতে হা করে জোছনা খাওয়া নিয়ম। ভাত খাওয়া ঠিক না।
~হিমুর নীল জোছনা
৩
আকাশে থালার মতো চাঁদ ওঠায় শহর অন্ধকারে ডুবে যায়নি। জানালা দিয়ে হিমুর ঘর জোছনা ঢুকছে। জোছনার কোনো রং থাকে না। শুধু সিনেমার জোছনা হয় নীল।
৪
মানুষ যেমন ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়,তেমনি ফুল ছড়িয়ে দেয় সৌরভ।
৫
প্রকৃতি যে শুধু মানুষের জন্য বিভ্রম তৈরী করে তা-না। পশু-পাখি সবার জন্যই তৈরী করে।
৬
বাবারে নিজের কার্বুরেটর ঠিক রাখবি। মানুষের কার্বুরেটর ঠিক তো সব ঠিক।
৭
মেসের ঘরে হিমু শুয়ে আছে। শহর জুড়ে লোডশেডিং। আকাশে থালার মতো চাঁদ ওঠায় শহর অন্ধকারে ডুবে যায় নি। জানালা দিয়ে হিমুর ঘরে জোছনা ঢুকেছে। জোছনার কোনো রং থাকে না। শুধু সিনেমার জোছনা হয় নীল । হিমুর কাছে আজ রাতের জোছনা সিনেমার জোছনার মতো নীল লাগছে । নীল জোছনা গায়ে মাখতে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে নীল রঙ চামড়া ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে । জোছনারাতে বনে যাওয়ার নিয়ম। তার কাছে শহরটাকে মাঝে মাঝে গহীন অরণ্য মনে হয়। শহরের অলিতে গলিতে হাঁটা মানে গহীন বনের ভেতরের পায়ে চলা পথে হাঁটা।
৮
আজকাল হাতঘড়ির চল উঠে গেছে। সময় জিজ্ঞেস করলে লোকজন বিরক্ত হয়। কারণ সময় জানতে তাকে মোবাইল ফোন বের করে টেপাটেপি করতে হয়। সময় ঘড়ির কাছ থেকে চলে গেছে মোবাইল ফোন সেটের কাছে।
৯
মুজিবকোট বঙ্গবন্ধুকেই মানায়। এই কোট বেঁটে এবং মোটারা পরলে তাদের লাগে পেঙ্গুইন পাখির মতো।
—হুমায়ূন আহমেদ (হিমুর নীল জোছনা)
১০
শোনা কথায় বিশ্বাস করা ঠিক না।
১১
কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।
১২
যে-কোনো নেশাই মানুষের জন্যে ক্ষতিকর। নেশা হলো নেশা। ভালো নেশা মন্দ নেশা বলে কিছু নাই।
১৩
যে অন্যকে ভয় দেখায় সে নিজে সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকে।
—হুমায়ূন আহমেদ (হিমুর নীল জোছনা)
১৪
ইংরেজী খবরের কাগজ পড়ুয়া বঙ্গ সন্তানরা হিন্দি গান শোনেন না। তারা রবীন্দ্র, অতুল প্রসাদ, দ্বিজেন্দ্র গীতিতে নিজেদের আটকে রাখেন।
১৫
বাঙালির স্বভাব কাউকে দৌঁড়াতে দেখলে তার পেছনে পেছনে দৌঁড়াবে।
১৬
পুলিশরা হচ্ছে কাকের মতো। কাক কক্ষনও কাকের মাংস খায় না। তেমনি পুলিশরাও তাদের মাংস খায় না।
১৭
তুমি সেই সৎকর্ম করবে যা অন্যরা করতে পারছে না। অন্যদের করার ক্ষমতা নাই।
১৮
হাবিপদে যারা পড়ে তাদের মাঝে মাঝে উদ্ধারের ব্যবস্থা প্রকৃতি করে।
১৯
যে ভালো কাজ করতে পারে তার দীক্ষার প্রয়োজন নাই। যে ভালো কাজ করতে পারে না তারই দীক্ষার প্রয়োজন।
২১
মানুষ ভুতপ্রেত বুঝে না বলে ভুতপ্রেত ভয় পায়। মৃত্যুকে বুঝতে পারে না বলে মৃত্যু ভয় পায়।
২২
হাতি চেনে মাহুতকে, সাপ চেনে ওঝাকে, নায়িকা চেনে ডিরেক্টরকে।
২৩
মাতাল ব্যক্তি কক্ষনও মদের বোতলে হাত দিয়ে মিথ্যা বলতে পারে না।
২৪
প্রকৃতি যে শুধু মানুষের জন্যে বিভ্রম তৈরি করে তা-না, পশুপাখি সবার জন্যেই তৈরি করে।
২৫
গাড়ির যেমন কার্বুরেটর ঠিক থাকলে সব ঠিক,মানুষেরও একই ঘটনা।
২৬
গোপন সূত্রের খবর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল প্রমাণিত হয়।
২৭
যে-কোনো মানুষ যদি প্রতিদিন একটি করে ভালো কাজ সাত দিন করে সে মহাপুরুষের পর্যায়ে উঠে যাবে। এর পর সে যা-ই বলবে তা-ই সত্য হবে।
২৮
সৎকর্ম যেমন নেশা তৈরি করে অসৎকর্মও করে। নেশাগ্রস্ত হয়ে দুষ্টলোক একের পর এক অসৎকর্ম করতে থাকে।
২৯
প্রকৃতি যে শুধু মানুষের জন্য বিভ্রম তৈরী করে তা-না। পশু-পাখি সবার জন্যই তৈরী করে।
৩০
আজকাল হাতঘড়ির চল উঠে গেছে। সময় জিজ্ঞেস করলে লোকজন বিরক্ত হয়। কারণ সময় জানতে তাকে মোবাইল ফোন বের করে টেপাটেপি করতে হয়। সময় ঘড়ির কাছ থেকে চলে গেছে মোবাইল ফোন সেটের কাছে।