সদ্গুরুর পুরো নাম জগদীশ বাসুদেব। তার জন্ম ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ সালে। তিনি একাধারে একজন ভারতীয় গুরু, যোগী এবং অতীন্দ্রিযবাদী লেখক, তিনি ভারতের কোয়েম্বাটুরে অবস্থিত ঈশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যেটি একটি আশ্রম এবং যোগকেন্দ্র পরিচালনা করে যোগ প্রোগ্রাম করে এবং এটি শিক্ষামূলক এবং আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচলানা করে।
সদগুরু নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং: অ্যা যোগিস গাইড টু জয় এবং কারমা: অ্যা যোগিস গাইড টু ক্রাফটিং ইয়োর ডেস্টিনি বইয়ের লেখক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামের একজন নিয়মিত বক্তা। সদগুরু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পরিবেশ রক্ষার পক্ষেও পরামর্শ দেন, প্রজেক্ট গ্রিনহ্যান্ডস (পিজিএইচ), নদীর জন্য র্যালি, কাভেরী কলিং এবং জার্নি টু সেভ সয়েল-এর মতো অনেক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৭ সালে, তিনি আধ্যাত্মিকতা এবং মানবিক সেবায় অবদানের জন্য ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ লাভ করেন। এছাড়াও সদগুরু ২০১৭ সালে ভারতের কোয়েম্বাটুরে বিশ্বের বৃহত্তম আবক্ষ মূর্তি আদিযোগী শিব মূর্তির নকশা প্রণয়ন করেছিলেন। সদগুরু বেশকিছু ভুল বৈজ্ঞানিক দাবি প্রচারের জন্য বিভিন্নসময়ে নেটিজেনদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছেন।
১
যদি আপনি নিজের অন্তরে চেয়ে দেখেন, আপনি এমন একটি জায়গা খুঁজে পাবেন যেখানে সমস্ত কিছুর সমাধান আছে।
২
নিজের অস্তিত্বের সৌন্দর্যতা সম্পর্কে জানার একটা উপায় হল মেডিটেশন।
৩
বেশিরভাগ মানুষ খাঁচায় বন্দী পাখির মতো যারা নিজের সেই খাঁচাকে সোনায় মোড়াতে সারাজীবন ব্যস্ত থাকে এবং তারা চূড়ান্ত লক্ষ্যের পথে যাওয়ার চেষ্টাও করে না।
৪
আমি বুঝতে পারিনা মানুষ কেন নিজের মস্তিস্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমি চাই তারা যেন তাদের মস্তিস্ককে স্বাধীন করে দেয়।
৫
গাছ আপনার নিঃশ্বাসের উৎস, সেটাকে কাটুন আর আপনি জীবনকেই একদিন কেটে ফেলবেন।
৬
কোনো কাজই চাপ পূর্ণ নয়। শরীর, মন এবং ভাবনাকে পরিচালনা করার তোমার অক্ষমতাই সেসব কাজকে চাপপূর্ণ বানায়।
৭
আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া মনোভাব বা আচরণ পরিবর্তন নয়, কিন্তু আপনি যেভাবে ভাবেন, অনুভব করেন আর জীবনে উপলব্ধি করেন তার মৌলিক বা ভিত্তিগত পরিবর্তন।
৮
নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলুন যাতে আপনাকে কারও সমাধানের অংশ ও কারও সমস্যার অংশ হয়ে না-উঠতে হয়।
৯
অবশ্যই সচেতনতা ছাড়া স্বাধীনতা ভীষণ বিপদজনক হয়ে থাকে।
১০
প্রত্যেক মানুষ একরকমের হয়না, তাই মানুষকে তুলনা করা ছাড়ুন বরং প্রত্যেককে সমান সুযোগ সুবিধা দিন।
১১
অসফল হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সফল হওয়া যায়। চেষ্টা করে যান, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।
১২
অস্তিত্বে সবকিছুই রয়েছে বেগবান গতিতে। হয় এর সঙ্গে এগিয়ে চলো অথবা এর উর্ধে উঠে যাও।
১৩
শরীরে যদি যৌনতা থাকে, সেটা ঠিক আছে। যদি মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ে, বিকৃত হয়ে ওঠে।
১৪
যতক্ষণ আপনি ভাববেন যে, আজ আপনি যা তার জন্য অন্য কেউ দায়ী, ততক্ষণ এমন কিছু হতে পারবেন না, যা আপনি হতে চাইছেন।
১৫
তুমি যদি তোমার সম্পর্ক বজায় রাখতে চাও, সবসময় নিজেকে মনে করাও যে অন্যজন তোমার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
১৬
কোনো প্রতিকূলতাই বাধা নয় যদি তুমি সচেতনভাবে সাড়া দেওয়ার অবস্থায় থাকো।
১৭
বাইরে কী হচ্ছে, তার ওপর আপনার আনন্দ নির্ভরশীল থাকলে, আপনি সবসময় বাইরের পরিস্থিতির গোলাম হয়ে থাকবেন।
১৮
সম্পত্তিকে নিজের ভালোর জন্য ব্যবহার করতে হলে তোমার আধ্যাত্মিক উপাদানের প্রয়োজন। সেটা ছাড়া তোমার সাফল্য তোমার বিরুদ্ধেই কাজ করবে।
১৯
কঠিন সময় উৎপন্ন হলে ব্যক্তি নিজের সাধারণ অবস্থা থেকে ওপরে উঠে ভালো কিছু করতে পারে। কঠিন সময়ে পরাজয় স্বীকার করে বসে পড়ার পরিবর্তে নিজের সেরাটি দিন।
২০
যদি আপনি সৃষ্টির দিকে তাকান, যেভাবে এটা রয়েছে, এটা সাঙ্ঘাতিক সুন্দর। আপনাকে এতে আর কোনও কিছু জুড়তে হবে না – না আপনার নিজের জীবনে না অন্য কিছুতে।
২১
জীবন সবচেয়ে বড় শিক্ষক। নিজের অতীত কর্ম ও ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং একই ভুল পুনরায় করবেন না। তখনই জীবন সফল হবে।
২২
যখন তোমার মন সম্পূর্ণ নিশ্চল হয়ে যায়, তখনই বুদ্ধিবৃত্তি মানবিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে।
২৩
মানুষরা বইকে পবিত্র বলে। কিন্তু তাদের এটাও বুঝতে হবে যে, জীবনও একটা পবিত্র জিনিস।
২৪
করুনা ক্ষমা করা বা দয়া দেখানো নয়। এটা হল চারপাশের সমস্ত কিছুর সাথে আবেগ ও উৎসাহের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া।
২৫
ভরসা মানে এই নয় যে তুমি যেমন প্রত্যাশা কর, অন্যদেরও সেরকমই কিছু করতে হবে। ভরসা মানে হলো নিজে নিরাপত্তাহীন হয়ে যাওয়া।
২৬
যদি প্রতিদিন নয়, তো অন্তত মাসে একবার খতিয়ে দেখুন আপনি কি আরও ভালো একটি মানুষে বিকশিত হয়ে উঠেছেন?
২৭
যে মানুষদের তুমি পছন্দ কর বা ভালোবাসো, শুধু তাদের সাথেই তুমি জড়িত নও। যাদের তুমি অপছন্দ বা ঘৃণা কর, তাদের সঙ্গে তোমার সংযুক্তি আরও অনেক গভীর।
২৭
জীবন হলো সময় ও শক্তির এক নাচ। এদুটিকে সঠিক ছন্দে রাখাটাই হল জীবনের সৌন্দর্য।
২৮
ক্ষমতা ওরকম মানুষদের দেয়া উচিত নয় যাদের নিজের ভিতরে অন্যদের গ্রহণ করে নেয়ার মানসিকতা নেই।
২৯
ব্যথা বেদনার ভয়ে তুমি নিজের জীবনকে অর্ধেক ও অসম্পূর্ণরূপে যাপন করে থাকো। জীবনকে সম্পূর্ণরূপে যাপন করার জন্য ব্যাথা বেদনার ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
৩০
অবিশ্বাস্য কাজগুলোকেই সহজে করা যেতে পারে যদি আমরা সেগুলোকে করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রূতিবদ্ধ হই।
৩১
জীবন আপনার ভেতর থেকে ঘটে। জীবনের উৎসটিই যদি আপনার জীবনে সবচেয়ে কর্তৃত্ব করে তাহলে প্রশংসা আর উপহাসের মতামত কোনও মূল্য রাখে না।
৩২
আপনার জীবনে যা কিছু ঘটে তা ১০০% আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে এর থেকে আপনি কী তৈরী করবেন তা ১০০% আপনার উপর নির্ভর করে।
৩৩
তোমার অধিকাংশ ইচ্ছাই বাস্তবে তোমার নিজের ইচ্ছা হয় না। তুমি শুধু সেইসব ইচ্ছাকে তোমার সামাজিক পরিবেশ থেকে নিয়ে থাকো।
৩৪
সাফল্য সমন্ধে তোমার ধারণা যদি শুধুমাত্র অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা হয়, তাহলে তুমি নিশ্চিতভাবে তোমার সম্পূর্ণ সম্ভাব্যকে খুঁজে বার করবে না।
৩৫
কাজের কারণে কখনও স্ট্রেস হয় না, স্ট্রেস হয় কারণ আপনি জানেন না কীভাবে আপনার নিজের লাইফ সিস্টেম পরিচালনা করতে হয়। আপনি আপনার শরীর, আবেগ এবং মনের যত্ন নিতে জানেন না।
৩৬
নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করো, যাতে সব সময় তুমি সমাধানের অংশীদার হতে পারো।
৩৭
হাসি একটি অভিব্যক্তি নয়, অন্যলোকেরা হয়তো একে কোনো একটি ভাবের অভিব্যক্তি হিসেবে দেখতে পারে, কিন্তু যদি তুমি এক নিরুদ্বিগ্ন এবং মনোরম অবস্থায় থাকো, তাহলে তোমার আশেপাশে কেউ না থাকলেও তোমার মুখে একটা হাসি লেগেই থাকবে।
৩৮
সুখসমৃদ্ধির পিছনে ছুটতে গিয়ে আমরা এই পৃথিবীকেই ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছি, আমরা এটা বুঝতে পারিনি যে মানব কল্যাণের একমাত্র পথ হল নিজেদের অন্তরের আরও গভীরে যাওয়া।
৩৯
তোমার ভালোবাসাকে প্রসারিত করো। শুধু একজন ব্যক্তিকে ভালোবাসবে কেন, যখন সমগ্র মহাবিশ্বকেই তুমি ভালোবাসতে সক্ষম।
৪০
সবাইকে আপন করে নেওয়ার মনোভাব নিয়ে বাঁচা অনেক বেশি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় কারণ সমস্ত সৃষ্টি এই একই নিয়মে চলছে।
৪১
ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতাগুলি অচেতনভাবে তোমার দ্বারা তৈরি। যদি তুমি তাদের সৃষ্টি না করো, তবে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই।
৪২
মন একটি শক্তিশালী যন্ত্র। আপনার তৈরি প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি আবেগ আপনার শরীরের রসায়নকে বদলে দেয়।
৪৩
তোমার বাসনাগুলো পূর্ণ করার বদলে যদি তুমি নিজের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে নাও, তবে তুমি আরও সুন্দরভাবে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পারবে, আর সবকিছু বেশ ভালোভাবে করতে পারবে।
৪৪
সেটা করো যেটা তোমার জীবনে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তা যাই হোক না কেন, সেটা তোমার যোগ্য হওয়া উচিত।
৪৫
অজ্ঞানতা একটি সীমাহীন বাস্তবতা। যা তোমার জানা বাকি, তা এক সীমাহীন সম্ভাবনা।
৪৬
যদি তুমি সাফল্য পেতে চাও তবে সর্বপ্রথম এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তুমি তাতে বাধা নও।
৪৮
যাকে তুমি সাফল্য মনে কর, তার তুলনায় যাকে সাধারণভাবে ব্যর্থতা ভাবা হয় তা তোমার জীবনের অনুভবকে অনেক বেশি গভীরতা দেয়।
৪৯
সবসময় দেখো চারপাশের সকলের জন্য তুমি সবচেয়ে ভালো কী করতে পারো। নিবেদনের এই বোধই তোমাকে উদ্দীপ্ত করে তুলবে।
৫০
সম্ভাবনা আর বাস্তবতার মধ্যে দূরত্ব আছে। তোমার কি সেই সাহস আর সংকল্প আছে এই দূরত্বটুকু পার করার।
