You are currently viewing শ্রীকৃষ্ণের বাণী : ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও উপদেশ

শ্রীকৃষ্ণের বাণী : ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও উপদেশ

শ্রীকৃষ্ণ হলেন হিন্দুধর্মের একজন প্রধান দেবতা। তিনি বিষ্ণুর অষ্টম অবতার এবং স্বয়ং পরমেশ্বর ঈশ্বর হিসেবেও পূজিত হন।তিনি সুরক্ষা, করুণা, কোমলতা এবং প্রেমের দেবতা; হিন্দু দেবতাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে শ্রদ্ধাশীল।চন্দ্র-সৌর হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বছর হিন্দুরা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের জন্মদিন পালন করে।

কৃষ্ণের জীবনের উপাখ্যান ও কাহিনিগুলো সাধারণত “কৃষ্ণলীলা” নামে পরিচিত। তিনি মহাভারত, ভাগবত পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতার কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং আরও বহু হিন্দু দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক ও পুরাণসম্ভূত গ্রন্থে উল্লেখিত। এসব গ্রন্থে তাঁকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে—একজন ঈশ্বর-শিশু, কৌতুকপ্রিয় শিশু, আদর্শ প্রেমিক, এক ঐশ্বরিক নায়ক এবং সর্বজনীন পরমসত্তা হিসেবে। তাঁর চিত্ররূপ এই সব কাহিনির প্রতিফলন ঘটায় এবং জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁকে দেখানো হয়েছে – যেমন মাখন খেতে থাকা একটি শিশু, বাঁশি বাজানো কিশোর, রাধার সঙ্গে অথবা গোপী পরিবেষ্টিত এক সুন্দর যুবক, কিংবা অর্জুনকে উপদেশদানকারী বন্ধুভাবাপন্ন সারথি হিসেবে।

চন্দ্র তাঁর সৌন্দর্য হারাতে পারে, হিমবন বরফশুন্য হয়ে পড়তে পারে, সমুদ্র বিরান হয়ে যেতে পারে কিন্তু রাম কখনো তার প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হয়না।

দুঃখের সময় কখনো বিশ্বাস হারিয়ে ফেলোনা। মনে রেখো সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় নিশ্চিত থাকে যে সে আবার উদিত হবে।

জীবন না ভবিষ্যতে আছে আর না আছে অতীতে, জীবন তো কেবল এই মুহূর্তে আছে, অর্থাৎ এই মুহূর্তের অনুভব করাকেই জীবন বলে।

কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো বড়ো হয়না। আজ নাহয় কাল তার বিবেকের কাছে ঠিকই ছোট হবে।

ভাগ্য থেকে যতবেশি চাইবে ভাগ্য তোমায় ঠিক ততটাই নিরাশ করবে। কিন্তু তুমি যদি তোমার কর্মের ওপর জোর দাও। কর্ম তোমায় তোমার ইচ্ছের থেকে অনেক বেশি প্রদান করবে।

জ্ঞানীর নিকট সত্যই পরম ধর্ম।

যে ব্যাক্তি অন্যের মুখে হাসি ও জীবনে খুশী নিয়ে আসার ক্ষমতা রাখে,ঈশ্বর কখনো তার জীবনের সুখ শান্তি কম হতে দেন না।

আপনি যদি কাউকে পছন্দ করেন তবে আপনি তাকে ধরে রাখবেন এবং আপনি যদি তাকে ভালবাসেন তবে আপনি তাকে মুক্ত করবেন।

তুমি যদি সঠিক হও তাহলে তা প্রমান করার চেষ্টা করো না। চুপচাপ অপেক্ষা করো সময় সব জবাব দিয়ে দেবে।

১০

দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।

১১

কাউকে সামান্য পরিমান দুঃখ দিলে ওই দুঃখের সম্পূর্ণ ভাগ ঈশ্বর তোমাকে ফিরিয়ে দেবেন। সে আজ হোক বা কাল।

১২

পরের উপকার করা সবসময়ই ভালো।কিন্তু তা কখনই নিজেকে পথে বসিয়ে নয়।

১৩

সমস্যার সমুদ্রে ডুবে আছো বলে আতংকিত হয়োনা। সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রাখো। হয় তিনি তোমায় টেনে তুলবেন নতুবা তোমায় সাঁতার শেখাবেন!

১৪

উচ্চাশা যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শান্তির শুরু হয়।

১৫

ধৈর্য ধরো।মনকে শক্ত করো, মনে রেখো, সময় সর্বদা এক অবস্থায় থাকে না। খারাপ সময়ের পরেই কালো সময় আসে।

১৬

রাগকে সংবরণ না করলে, রাগ – ই সম্পূর্ণ মানুষকে

১৭

দেশে-দেশে বন্ধু, আত্মীয়স্বজন বা স্ত্রী মেলে, কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ভ্রাতা লক্ষন-এর মতো সহোদর মেলা সম্ভব।

১৮

গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি লাভ? যখন মোহ ত্যাগ করবে, তখন নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে।

১৯

অতি গর্জনকারী মেঘ খুব কদাচিৎই বর্ষে, প্রকৃত বীর অকারনে বাক্যব্যায় করেনা।

২০

যে ব্যক্তি কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত নয়,তার মন সংযত নয়।

২১

দুঃখ বা দুর্দশায় একজন প্রকৃত বন্ধুর মতো পরম সঙ্গী আর কেউ নেই অনুকম্পা,দয়া, ক্ষমা ও মানবতার মতো বড় গুন আর নেই।

২২

হৃদয়বানের কোনো ক্রোধ নেই।

২৩

উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই নেই, উৎসাহী ব্যাক্তি জগতও জয় করতে পারে।

২৪

আমিই সমস্ত জগতের উৎপত্তি ও প্রলয়ের মূল কারণ।

২৫

সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হও।

২৬

পরমেশ্বর ভগবান রুপে আমি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে অবগত।

২৭

আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ।

২৮

পরমাত্মা রুপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি।

২৯

অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।

৩০

আমাকে প্রাপ্ত হলে আর পূর্ণজন্ম হয় না।

৩১

সর্বশ্রেষ্ঠ পরমেশ্বর ভগবানকে অনন্যা ভক্তির মাধ্যমেই কেবল লাভ করা যায়।

৩২

মনুষ্যদের মধ্যে আমি সম্রাট।

৩৩

অব্যক্ত রুপে আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত আছি।

৩৪

সব কিছু আমার থেকে প্রবর্তিত হয়।

৩৫

শোকের চেয়ে বড় নাশকর্তা আর কিছু নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়, তাই শোক করো না।

৩৬

ব্যবহার ও চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়।

৩৭

আমি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন।

৩৮

সত্যই এ জগতের নিয়ন্ত্রক, সত্যেই ধর্ম প্রোথিত হয়ে আছে।

৩৯

মাতৃঋণ কোনো সন্তানই কখনো শোধ করতে পারেনা।

৪০

আমি তাপ প্রদান করি এবং আমি বৃষ্টি বর্ষণ করি ও আকর্ষণ করি।

Leave a Reply