You are currently viewing পার্সি বিসি শেলির উক্তি : শেলীর ২৫ টি বিখ্যাত উক্তি

পার্সি বিসি শেলির উক্তি : শেলীর ২৫ টি বিখ্যাত উক্তি

পার্সি বিশি শেলি ১৭৯২ সালের ৪ঠা আগস্ট সাসেক্সের হরসেমে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন সংসদ সদস্য। শেলি ইটন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। অক্সফোর্ডে এসে শেলি প্রগতিবাদী লেখক যেমন, টম পেইন এবং উইলিয়াম গডউইনের লেখাসমূহ পড়া শুরু করেন। ১৮১১ সালে নাস্তিকতাকে সমর্থন করে একটি পুস্তিকা লেখার জন্য সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়।

তিনি উনিশ শতকের প্রথম দিকের একজন ইংরেজি কবি ছিলেন। তিনি প্রধান পাঁচজন রোমান্টিক কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার, সাহিত্যিক ছিলেন এবং ইংরেজ সাহিত্যে রোমান্টিক আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবিদের মধ্যে তাঁকে বিবেচনা করা হয়।

আমরা যতই অধ্যয়ন করি ততই আমাদের অজ্ঞানতাকে আবিষ্কার করি।

শোন, ঝড়ো পশ্চিমের উদ্দাম বাতাস
তুমি শরতের বয়ে চলা গভীর নিঃশ্বাস।

যদি শীত আসে, বসন্ত কি বেশি দূরে থাকতে পারে?

নরম কণ্ঠস্বর যখন থেমে যায়, সঙ্গীত স্মৃতিতে অনুরণিত হয়।
নরম কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হলেও, সংগীত স্মৃতিতে অনুরণিত হয়।

মৃত্যু যা একত্রিত করতে পারে, জীবন তাকে আর বিভক্ত না করুক।

আমাদের মধুরতম গানগুলো হলো দুঃখের ভাবনা থেকে আসা গান।

প্রেম, সৌন্দর্য এবং আনন্দের জন্য কোন মৃত্যু বা পরিবর্তন নেই।

কবি ও দার্শনিকরা বিশ্বের অনস্বীকৃত আইনপ্রণেতা।

প্রেমিকের ওষ্ঠে আত্মার সাথে আত্মার মিলন ঘটে।

১০

একজন কবি হলেন এমন একজন বুলবুল যিনি অন্ধকারে বসে থাকেন এবং মধুর সুরের মাধ্যমে নিজের নিঃসঙ্গতাকে আনন্দিত করেন।

১১

জাগো সিংহের মতো ঘুমন্ত অবস্থা থেকে,
অদম্য সংখ্যায়—
তোমাদের শিকল ঝেড়ে ফেলো পৃথিবীর বুকে
শিশিরের মতো,
যা ঘুমের মধ্যে তোমাদের উপর এসে পড়েছিল।
তোমরা অসংখ্য—তারা নগণ্য।

১২

এই গোরস্থান হলো ধ্বংসাবশেষের মাঝে এক খোলা জায়গা, যা শীতে বেগুনি ফুল আর ডেইজিতে ঢাকা থাকে। এমন মিষ্টি জায়গায় সমাধিস্থ হওয়ার কথা ভাবলে হয়তো মৃত্যুর প্রেমে পড়া যায়।

১৩

একজন মানুষকে মহৎ হতে হলে গভীরভাবে এবং সুদূরপ্রসারীভাবে কল্পনা করতে হবে; তাকে নিজেকে অপরের এবং আরও অনেকের জায়গায় স্থাপন করতে হবে; তার প্রজাতির বেদনা এবং আনন্দকে নিজের করে নিতে হবে। নৈতিক ভালোর শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো কল্পনা।

১৪

আনন্দ, একবার হারালে, তা-ই বেদনা।

১৫

মানুষকে জানো এবং তাকে মানুষ হিসাবে মর্যাদা দিতে শেখো।

১৬

পৃথিবীতে কিছুই একা নয়;
সকলই এক ঐশ্বরিক নিয়মে
এক আত্মার মধ্যে মিলিত হয় আর মিশে যায়।
আমি কেন তোমার সাথে নয়?

১৭

ভবিষ্যতের জন্য ভয় পেও না, অতীতের জন্য কেঁদো না।

১৮

দুঃখের মধ্যে যে আনন্দ থাকে, তা আনন্দের আনন্দ থেকেও মধুর।

১৯

কবিতা এমন একটি আয়না যা বিকৃত জিনিসকেও সুন্দর করে তোলে।

২০

মৃত্যু হলো সেই যবনিকা যাকে জীবিতরা জীবন বলে;
তারা ঘুমিয়ে পড়ে, আর সেই যবনিকা উন্মোচিত হয়।

২১

সূর্য পৃথিবীকে আলিঙ্গন করে, আর চাঁদের আলো সমুদ্রকে চুম্বন করে: এই সব চুম্বনই বা কিসের যোগ্য, যদি তুমি আমাকে চুম্বন না করো?

২২

সর্বপ্রকার ভালোবাসা মধুর, তা দেওয়া হোক বা গ্রহণ করা হোক।

২৩

কবিতা হলো বিদ্যুতের তরবারি, যা সর্বদা উন্মুক্ত থাকে এবং তার খাপকে গ্রাস করে ফেলে যা তাকে ধারণ করতে চায়।

২৪

মানুষের তার ভাইকে হত্যা করার কোনো অধিকার নেই। সৈনিকের পোশাক পরা অবস্থায় সে যদি তা করে, তবে সেটা কোনো অজুহাত হতে পারে না: বরং সে হত্যার অপরাধের সাথে দাসত্বের কলঙ্ক যোগ করে মাত্র।

২৪

আমি আনন্দে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়েছি,
আর আজ রাতে অন্য কোনো সুরা পান করব না।

২৫

আমাকে চুম্বন করো, যতক্ষণ একটি চুম্বন স্থায়ী হতে পারে!

Leave a Reply