রেদোয়ান মাসুদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কবি, ঔপন্যাসিক ও ছড়াকার। তার লেখায় প্রেম-ভালোবাসা, দুঃখ-কষ্ট, বিরহ, দেশপ্রেম, শিশুতোষ, মানবপ্রেম, আবেগ ও অনুভূতি জড়ানো। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও একজন ঔপন্যাসিক হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
রেদোয়ান মাসুদের জন্ম ৬ই জানুয়ারী শরীয়তপুরে। তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেন। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ের ভাষা’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘অপেক্ষা-১’। ২০২২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম ম্যাক্সিম ‘জোছনায় পোড়া চোখ’।
১
ভবিষ্যতে যার কাছ থেকে তুমি সবচেয়ে বড় কষ্টটি পাবে, আজ সে তোমার সবচেয়ে কাছের কোনো একজন।
২
অপমান হলো একটি তীর, যতই ভুলতে চাইবেন ততই হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হবে।
৩
এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয় সুন্দরী মেয়েরা আর ভালো ছেলেরা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই সুন্দরী মেয়েরা ভালো ছেলেদের পাত্তাই দেয় না। আবার দেখা যায় সুন্দরী মেয়েরা কারো প্রেমে পড়লে বা বিয়ে হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয় সেই প্রিয় মানুষটি অর্থাৎ প্রেমিক বা স্বামী দ্বারাই।
৪
মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে যেই ব্যবহারটা করে সেটাই তার আসল চরিত্র।
৫
প্রেম কতদিন বাঁচে? যে ছেড়ে যায় তার প্রেম সেদিনই মরে যায় কিন্তু যাকে ছেড়ে যায় তার প্রেম আমৃত্যু থেকে যায়।
৬
মানুষের মন যেদিনই ক্লান্ত হয় সেদিনই তার মৃত্যু হয়।
৭
মানুষকে ঠকাতে যাদের বুক কাঁপে, বিবেকে বাঁধে তাদের জীবনে কখনো সুখ হয় না, দুঃখই সারা জীবন তাদের আড়াল করে রাখে।
৮
একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়ে থাকার চেয়ে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারির প্রিয়জন হওয়া অনেক সম্মানের, গৌরবের।
৯
একটা ভুল মানুষকে হয়তো অনেক কাঁদায় কিন্তু মনে রাখতে হবে জীবনে এমন কিছু ভুল আছে যা ভবিষ্যতে হাজারটা ভুল থেকে বাঁচায়।
১০
কাউকে ভুলতে চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিন, না হলে জীবনেও তাকে ভুলতে পারবেন না।
১১
জীবন চলার পথে বাধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।
১২
বাবা হলেন একটি বাড়ির ছাদ, যে নিজে পুড়ে সন্তানদের ছায়া দেয় কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলে না।
১৩
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় অপরাধগুলো সংঘটিত হয় কলম দিয়ে অথচ মানুষ গালি দেয় অস্ত্রকে।
১৪
কেউ সম্পূর্ণ আপনার মতো হবে না একইভাবে আপনিও কারো মতো হবেন না, দুজনের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকবেই আর এই পার্থক্যটুকুই হলো ধৈর্য।
১৫
জীবনে যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তা দিয়ে কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকা সম্ভব কিন্তু জীবনে গুটি কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে যে পরিমান অবহেলা পেয়েছি তা দিয়ে একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব না।
১৬
ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস নয়। ধার্মিকতা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায় আর ধর্মান্ধতা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। এ দেশের মানুষকে আমি ধার্মিক বলব না কারণ এ দেশের বেশিরভাগ মানুষই ধর্মান্ধ।
১৭
বন্ধুর সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়। বন্ধুত্ব সম্পর্কটা চিরদিনের জন্য যা কোনো কারণে ভেঙ্গে গেলেও আবার কোনদিন না কোনদিন জোড়া লাগে কিন্তু ভালোবাসার মানুষটির সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে ভালোবাসার পাশাপাশি বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও হারিয়ে যায়।
১৮
যেই দেশে দেশপ্রেমিকের চেয়ে জ্ঞানীগুণী বেশি জন্মায় সেই দেশে শান্তির চেয়ে অশান্তিই বেশি থাকে।
১৯
পরমাণু বোমার চেয়েও শক্তিশালী বোমা হলো মানুষের বুকফাটা কান্না, একটা বোমা ফাটার শব্দ সারাবিশ্ব শুনতে পায় অথচ মানুষের বুকফাটা কান্না পাশে বসে থাকলেও কেউ শুনতে পায় না।
২০
টিয়া পাখির মতো মুখস্ত করে বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করে বড় বড় চাকরি পাওয়াকে শিক্ষা বলে না, শিক্ষা হচ্ছে সেটা যা একজন মানুষের ভিতরের কুশিক্ষাকে দূর করে সমাজের পরিবর্তনে এগিয়ে আসার উৎসাহ যোগায়।
২১
যার যেটা নেই সে কখনও সেটার মূল্য বুঝে না, একমাত্র সেই ব্যক্তিই সেটার মূল্য বুঝে যার কোনো জিনিস পূর্বে ছিল কিন্তু এখন নেই।
২২
রাগের মাথায় কারো ভুলের শাস্তি দিবেন না, মনে রাখবেন আগুনে কিন্তু লোহাও পুড়ে যায়। আর সেই লোহাটা হলেন আপনি।
২৩
পৃথিবীতে কেউ কারো নয়, শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যর্থ প্রত্যয় আর দূরে চলে যাওয়ার এক বাস্তব অভিনয়।
২৪
সমাজের পরিবর্তন হচ্ছে মানেই সমাজের উন্নতি নয়, অধঃপতনও হয়।
২৫
আবেগ আর বিবেক দুইটাই ভিন্ন জিনিস। আবেগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর আর বিবেক মানুষকে ভালো মন্দ বাছাই করতে শেখায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরা সবাই আবেগের কাছে বিবেক হারাই কিন্তু বিবে১
২৬
কের কাছে আবেগ হারাই না।
২৭
জীবনটাকে কখনই রসগোল্লা ভাববেন না, জীবনটা আসলে কাঁচা মরিচের মত। যত খাবেন ততই ঝাল কিন্তু সব ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ। তাই যত বেশি মানুষের সাথে চলবেন তত বেশিই আঘাত পাবেন। কিন্তু জীবনে বড় ধরণের শিক্ষা পাবেন যা আপনাকে একসময় সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাবে।
২৮
ইগো হলো শয়তানের একটি বড় হাতিয়ার যা অনেক বুদ্ধিমান ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদেরকেও খুব দ্রুত বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়।
২৯
জীবন চলার পথে বাঁধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাঁধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।
২৯
মানুষ মানুষের দ্বারা যত বেশি কষ্ট পায় স্বপ্ন তত বড় হয়।
৩০
আপনি যখন উপরের দিকে উঠতে থাকবেন তখন চারদিক থেকে আপনার কাছের মানুষগুলো দূরে সরে যাবে। আবার যখন আপনি শীর্ষে পৌঁছে যাবেন তখন চারদিক থেকে সবাই আপনার বন্ধু হতে থাকবে।
