টমাস এডিসন বা টমাস আলভা এডিসন (ফেব্রুয়ারি ১১, ১৮৪৭ – অক্টোবর ১৮, ১৯৩১) ছিলেন মার্কিন উদ্ভাবক এবং ব্যবসায়ী। তিনি গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাতি (বাল্ব) সহ বহু যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এডিসন ইতিহাসের অতিপ্রজ বিজ্ঞানীদের অন্যতম একজন বলে বিবেচিত, যার নিজের নামে ১,০৯৩টি মার্কিন পেটেন্টসহ যুক্তরাজ্যে, ফ্রান্স এবং জার্মানির পেটেন্ট রয়েছে। গণযোগাযোগ খাতে বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাতে তার বহু উদ্ভাবনের মাধ্যমে তার অবদানের জন্য তিনি সর্বস্বীকৃত। যার মধ্যে একটি স্টক টিকার, ভোট ধারনকারী যন্ত্র, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারী, বৈদ্যুতিক শক্তি, ধারণযোগ্য সংগীত এবং ছবি। এসব ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনকারী তার কাজগুলো তাকে জীবনের শুরুর দিকে একজন টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে গড়ে তোলে। বাসস্থান, ব্যবসায়-বাণিজ্য বা কারখানায় বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন ও বন্টনের ধারণা এবং প্রয়োগ দুটিই এডিসনের হাত ধরে শুরু হয় যা আধুনিক শিল্পায়নের একটি যুগান্তকারী উন্নতি। নিউইয়র্কের ম্যানহাটন দ্বীপে তার প্রথম বিদ্যুত কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়।
১
৫ শতাংশ মানুষ চিন্তা করেন, ১০ শতাংশ মানুষ এটা চিন্তা করে যে তারা চিন্তা করে। আর বাকি ৮৫ শতাংশ লোক, চিন্তা করার থেকে মরতে বেশি পছন্দ করে।
২
আমাদের জীবনের সবচেয়ে দুর্বল দিক হচ্ছে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়া। আমাদের উচিত, ভিন্ন পথে সাফল্যকে বের করে আনা।
৩
আমাদের সামর্থ্য আছে এমন সকল জিনিষগুলি যদি আমরা করে ফেলতাম তাহলে আমরা সত্যিকার অর্থে আমাদেরকে বিস্ময়ে অভিভূত করতাম।
৪
আমি আমার জীবনে একদিনও কাজ করিনি, এইসবই মনোরঞ্জন ছিলো।
৫
আমি এই তথ্যে গর্বিত যে, আমি কখনো হত্যা করানোর জন্য অস্ত্রের আবিষ্কার করিনি।
৬
আমি এটা অনুসন্ধান করি যে, দুনিয়ার কি প্রয়োজন। তারপর আমি আগে এগোই আর সেটার আবিষ্কার করার চেষ্টা করি।
৭
আমি কোনো কিছুই দুর্ঘটনাবশত করিনি, না আমার কোনো আবিষ্কার দুর্ঘটনার বশে হয়েছে! সেগুলো কাজের মাধ্যমে এসেছে।
৮
অধিকাংশ মানুষ সুযোগ হারিয়ে ফেলে কারণ এটি পোশাক ঢেকে ফেলা বহির্বাসগুলি দিয়ে পরিহিত এবং এদেরকে দেখতে কাজের মতো (সুযোগের মতো নয়) লাগে।
৯
আমি বলব না আমি ১০০০ বার হেরেছি। আমি বলব, আমি হারার ১০০০টি কারণ বের করেছি।
১০
আমি ব্যর্থ হইনি। আমি কেবল মাত্র কর্ম সাধন করতে না পাড়ার এক হাজারটি কারণ খুঁজে পেয়েছি।
১১
এমন লোক আছে যারা জীবনের অনেক ব্যর্থতার জন্য হাল ছেড়ে দেওয়ার সময় বুঝতে পারেনি যে তারা সাফল্যের কত কাছাকাছি ছিল।
১২
উদ্ভাবনের জন্য, আপনার একটা ভালো কল্পনা আর অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপের প্রয়োজন হবে।
১৩
একটা মহান আইডিয়া যদি পেতে চাও তাহলে প্রচুর আইডিয়া এর ব্যাপারে ভাবো।
১৪
কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
১৫
কারো অতীত জেনো না, বর্তমানকে জানো এবং সে জানাই যথার্থ।
১৬
আগামীকাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারণ শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতার কয়েকটা পাতাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে পারেনা।
১৭
কোনো চিন্তার মুল্য, সেটার ব্যবহারে নিহিত আছে।
১৮
জীবনে অসফল হওয়া এমন অনেক মানুষই আছেন যারা এই জিনিসটা বোঝেন না যে, যখন তারা হার মেনে নিয়েছিল তখন তারা সফলতার কতটা কাছে ছিলো।
১৯
জীবনে যে কোনো কিছুকে অর্জন করতে গেলে, এই তিনটে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের প্রয়োজন – কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা এবং সাধারণ জ্ঞান।
২০
তারা সব কিছুই প্রাপ্ত করতে পারে, যারা অপেক্ষা করার বদলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কাজ করে যেতে পারে।
২১
দূর্বল মানুষরা, প্রত্যেক কাজকে অসম্ভব বলে মনে করে কিন্তু বীরেরা সেটা সাধারণ বলে মনে করে।
২২
পরীক্ষার খাতায় পাওয়া নম্বর কখনোই আমার ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না।
২৩
প্রতিভা, এক শতাংশ প্রেরণা আর নিরানব্বই শতাংশ পরিশ্রমের দ্বারা গঠিত।
২৪
বেশিরভাগ মানুষ সুযোগকে নষ্ট করে দেয়, কারণ এটা অদৃশ্য অবস্থায় থাকে আর কাজের মত দেখায়।
২৫
অনেকেই জীবনে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু তারা জানত না- তারা সাফল্যের কত কাছাকাছি ছিল।
২৬
ব্যস্ত থাকার অর্থ সর্বদা কাজ করাকে বোঝায় না।
২৭
ব্যাকুলতা হলো অসন্তোষে, আর অসন্তোষ হলো প্রগতির ক্ষেত্রে প্রথম আবশ্যক জিনিস। আপনি আমাকে যেকোনো সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট ব্যক্তিকে দেখান আর আমি আপনাকে একজন অসফল ব্যক্তি দেখিয়ে দেবো।
২৮
ভবিষ্যতের ডাক্তার কোন ঔষধ দিবে না কিন্তু তাঁর রুগীকে মানব গঠনের যত্ন নেওয়ার মধ্য দিয়ে, খাদ্য নির্ধারণের মধ্য দিয়ে, এবং রোগের কারণ এবং নিবারণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিবে।
২৯
মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে।
৩০
যতটা মানুষের ক্ষমতা আছে, তার থেকে অধিক সুযোগ আছে।
৩১
অসন্তোষ হলো প্রগতির প্রথম আবশ্যকতা ।
৩২
যে সংগীত ভালোবাসে, তার জীবনে নিঃসঙ্গতা থাকে না।
৩৩
যেকোনো জিনিস যেটা বেচা যাবেনা, সেটাকে আমি আবিষ্কার করতে চাইব না। সেটার বিক্রি হওয়া উপযোগিতার প্রমাণ, আর উপযোগিতাই হলো সাফল্য।
৩৪
শরীর, নিজের অসংখ্য কোষ বা বাসিন্দাদের দ্বারা তৈরী একটা সম্প্রদায়।
৩৫
সব থেকে ভালো চিন্তা নির্জনে করা সম্ভব। আর সবথেকে বেকার চিন্তা, অশান্ত পরিবেশে।
৩৬
সময় হচ্ছে মানুষের একমাত্র পুঁজি – যাকে কখনও হারিয়ে ফেলা উচিত নয়।
৩৭
সমস্ত জিনিসের জন্য নির্দিষ্ট সময় আছে।
৩৮
সর্বদা একটা ভালো উপায় থাকেই।
৩৯
অহিংসা, উচ্চ নৈতিকতার দিকে পরিচালিত করে। যেটা ক্রমিক বিকাশের একমাত্র লক্ষ্য। যতদিন না আমরা সবাই সকল জীবিত প্রানীদের ক্ষতি করা না ছাড়ব, ততদিনই আমরা জংলি থাকবো।
৪০
আপনি যেই রকমের, সেটাই আপনার কাজের মধ্যে দিয়ে প্রদর্শিত হবে। আপনাকে আলাদা করে কিছুই বলতে হবে না।