আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
১
কবরস্থানে গিয়ে দেখুন আপনার কতো পরিচিত মুখ সেখানকার চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছে। তাদের কবরগুলো জানাচ্ছে একদিন ওই মাটির তলায় আপনাকেও যেতে হবে।
২
ব্যস্ততার দোহায় দিয়ে আপনি সালাত ত্যাগ করছেন না, নিজের আখিরাত ধ্বংসের আয়োজন করছেন।
৩
চেহারা দেখালে যদি অন্তত একটা সওয়াব পাওয়া যেতো, বিশ্বাস করুন, প্রতিদিন কম করে হলেও একটা ছবি ফেবুকে আপলোড করতাম।
৪
ভোরের পাখি আর ভোরের সূর্য দুটোই যদি আপনার আগে জেগে যায়, তাহলে জীবন নিয়ে জরুরীভাবে ভাবতে বসুন। জীবনের সত্যিকারের গতি থেকে আপনি ইতিমধ্যেই বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
৫
আল্লাহ যার অভিভাবক তার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ থাকতেই পারেনা।
৬
মানুষের চোখে নিজেকে মাপতে নেই, নিজেকে মাপকে হয় আসমানের আয়নায়।
৭
আপনার ব্যাপারে আমি কেবল একটাই ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারি, আর তা হলো আপনি অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবেন।
৮
রাতের অন্ধকারে আল্লাহকে ডাকুন, তিনি দিনের আলো দিয়ে আপনার জীবনকে রাঙিয়ে দিবেন।
৯
কারো ওপর খুব রাগ করতে ইচ্ছে হলে তাঁর এমন গুন বা কাজের কথা ভাবুন যা আপনাকে একদিন দারুণ উৎফুল্ল আর খুশি করেছিল। দেখবেন, তাঁর ব্যাপারে মনে ঝেঁকে বসা সমস্ত ক্রোধ দূর হয়ে যাবে।
১০
সিন্দাবাদের জাদুর গালিচা নেই তো কি হয়েছে, জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়ুন, আপনার আকুতিগুলো সপ্ত আসমান ভেদ করে ঠিক আরশে আযীমে পৌঁছে যাবে।
১১
অন্যের সফলতায় আনন্দিত হতে পারাটা একটা হিংসামুক্ত অন্তরের প্রমান বহন করে।
১২
যে বন্ধুরা সার্টিফিকেট অর্জনে আপনার থেকে এগিয়ে গেলো,কিংবা অফিসের যেসব কলিগ প্রমোশন লাভে আপনাকে ছাড়িয়ে গেছে তাদের সাথে নয়। প্রতিযোগিতা আপনার ওই বন্ধুর সাথেই করুন যে দ্বীন পালনে,ঈমানে, তাকওয়া আর আমলে আপনাকে অতিক্রম করে গেছে।জেনে রাখুন প্রকৃতপক্ষে সে–ই আপনার চাইতে অগ্রসর।
১৩
প্রতিটা মানুষ কখনোই আপনাকে ভালোবাসবেনা, পৃথিবীর মহামানবকেও তার সময়ে তাকে গ্রহণ করেননি, ভালোবাসেনি। নবীজি (সঃ) কে ও না।
১৪
আল্লাহ সুবহানান ওয়া তায়ালা ইবলিসকেও ফিরিয়ে দেন নি, আমরা কেন ভাবছি যে তিনি আমাদের ফিরিয়ে দিবেন, নিরাশ করবেন।
১৫
এবার ভিন্ন কিছু হোক,জাগরণের এই জাগ্রত জোয়ারে,এবার নতুন করে লেখা হোক জীবনের জ্যামিতি। বেলা ফুরাবার আগে, আজ তবে ফেরা হোক নীড়ে।
১৬
সমস্যা আর দুঃখের কথা যখন মন খুলে আল্লাহকেই বলা যায়, তখন সেসব কে শুনলো আর কে শুনতেই চাইলো না -তাতে কি ই বা আসে যায়??
১৭
তুমি যখন হারামে ডুব দিবে, হারাম জিনিসকে পছন্দ করা শুরু করবে, তখন হালাল জিনিসকে তোমার কাছে ভালো লাগবে না। বিরক্তিকর লাগবে। এটাই স্বাভাবিক।
১৮
চোখ ধাঁধানো এই কর্পোরেট দুনিয়া আসলে আস্ত একখন্ড নরক।
১৯
রাগী মানুষ কোন কিছুতেই জিততে পারেনা। ধৈর্য্যশীলরা সর্বদা জিতে যায়, সেটা দুনিয়া আর আখিরাত দুই জায়গাতেই।
২০
চাহিদাকে সীমিত করুন, জানেন তো কাপনের কাপড়ের কোনো পকেট থাকেনা।
২১
আজকের দুনিয়ায় অসুখী হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত এই দুনিয়াপূজাই।
২২
বালির ওপর হাঁটলে কোন শব্দ হয়না, কিন্তু পশ্চাদে পদচিহ্ন থেকে যায়। আমাদের জীবনটাও সেরকম হোক। আমরা এমনভাবে বাঁচবো, যেন ছিলাম ই না। কিন্তু পশ্চাদে রেখে যাবো আমাদের কাজ, আমল, বন্ধন।
২৩
দ্বীনে ফেরার পথে সবচেয়ে বড় যে প্রতিবন্ধকতা, সেটা হলো হারাম রিলেশনশিপ।
২৪
আজকাল মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি ছেড়ে এমন সব বিষয়ে সুখের সন্ধানে ব্যস্ত,যেখানে আদতে মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই নেই।
২৫
আগামীকাল থেকে ভালো হয়ে যাবো, আপনাকে দ্বীন বিমুখ রাখতে শয়তানের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী অস্রগুলোর একটা। আগামীকাল যে আপনি কবরের বাসিন্দা হয়ে যাবেন না। এই নিশ্চয়তা আপনাকে কে দিলো। ভালো হওয়ার এখনই সুযোগ, এই মূহূর্ত থেকেই।
২৬
মানুষ আপনার গুন বাদ দিয়ে দোষ বড় করতে চায়, আর আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালা আপনার দোষ বাদ দিয়ে গুন বড় করে দেখতে চান
২৭
যে রিজিক আসমান থেইকা আসে, তার লাগি এতো পেরশানি কিয়ের?
২৮
চারপাশের সবাই দুনিয়া খুঁজে, আপনি না হয় আখিরাত খুঁজলেন।
২৯
জীবনের একটা পরম বাস্তবতা হলো, জীবন কখনোই রেল লাইনের মত সমান্তরাল হয়না।
৩০
জগতে প্রতারণার সবচেয়ে বিশ্বস্ত অঙ্গই সম্ভবত চোখ।
৩১
শয়তান আমাকে ক্ষুধার ভয় দেখায়, অথচ পকেটে আমি দুর্ভিক্ষ নিয়ে হাঁটি….!
৩২
নিজেকে আপনি যেরকম পরিবর্তন করবেন, দিনশেষে আপনার জীবন সেরকম আকৃতি পাবেন।
৩৩
রিকশাওয়ালাকে সালাম দিতে যদি আপনার সাহেবিপনায় আঘাত লাগে, মনে খচ খচ করে, তাহলে অতি অবশ্যই আপনার আত্মার চিকিৎসা করা দরকার।
৩৪
নিজেকে গড়তে হয় আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিকণা আর বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। ছোট ছোট কাজগুলোই বড় বড় ফলাফল বয়ে আনে।
৩৫
কচুপাতার ওপর জমে থাকা শিশির বিন্দুর মতোই ঠুনকো মানুষের জীবন। হালকা বাতাসে পাতা দুলালেই গড়িয়ে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়।
৩৬
যদি কারো সাথে মিশলে আপনার অন্তরের শান্তি নষ্ট হয় বলে মনে করেন, তার সঙ্গ ত্যাগ করুন।
৩৭
কারো কটু কথা, কটু বাক্য এবং অপমানের বিপরীতে সবরের চাইতে মোক্ষম জবাব আর কিছুই হতে পারেনা।
৩৮
মাটির আয়নার যারা নিজেকে দেখতে পায়, অন্যের চোখে বড় হওয়ার বাসনা তাদের থাকতেই পারেনা।
৩৯
মাটির উপর যতটা ভালে কাজ করবেন, মাটির নিচে ততটা ভালো থাকবেন।
৪০
দু’আ- আপনার হাতে থাকা সবচেয়ে কার্যকরী হাতিয়ার।
৪১
আমাদের আত্মার যে খোরাক সেটা যদি আমরা লাভকরতে না পারি, তাহলে আমাদের সুখী হওয়াটা নিছক অভিনয় মাত্র। সুখ নয়।
৪২
প্রাপ্তির আশায় বাবা-মা কখনো সন্তান মানুষ করেনা, বাবা-মায়ের ভালোবাসা সবসময় নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, নির্ঝঞ্ঝাট।
৪৩
মানুষের চোখে কখনো নিজেকে মাপতে নেই, নিজেকে মাপতে হয় আসমানের আয়নায়।
৪৪
বন্ধু তো সে, যে আপনার উপস্থিতিতে আপনার সামনে আল্লাহর কথা বলে। যখন আপনি থাকেন না তখন সে আল্লাহর কাছে আপনার কথা বলে।
৪৫
দু’আ- আপনার হাতে থাকা সবচেয়ে কার্যকরী হাতিয়ার।
৪৬
বন্ধু তো সে, যে আপনার উপস্থিতিতে আপনার সামনে আল্লাহর কথা বলে। যখন আপনি থাকেন না তখন সে আল্লাহর কাছে আপনার কথা বলে।
৪৭
প্রাপ্তির আশায় বাবা-মা কখনো সন্তান মানুষ করেনা, বাবা-মায়ের ভালোবাসা সবসময় নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, নির্ঝঞ্ঝাট।
৪৮
মাটির উপর যতটা ভালে কাজ করবেন, মাটির নিচে ততটা ভালো থাকবেন।
৪৯
নিজেকে আপনি যেরকম পরিবর্তন করবেন, দিনশেষে আপনার জীবন সেরকম আকৃতি পাবেন।
৫০
আগামীকাল থেকে ভালো হয়ে যাবো, আপনাকে দ্বীন বিমুখ রাখতে শয়তানের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী অস্রগুলোর একটা। আগামীকাল যে আপনি কবরের বাসিন্দা হয়ে যাবেন না। এই নিশ্চয়তা আপনাকে কে দিলো। ভালো হওয়ার এখনই সুযোগ, এই মূহূর্ত থেকেই।