কবি আল মাহমুদের উক্তি: কবি আল মাহমুদের ২০ টি বিখ্যাত উক্তি
কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারে মৃত্যুর ফেরেশতা যদি এসে দেয় যাওয়ার তাকিদ; অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।
কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারে মৃত্যুর ফেরেশতা যদি এসে দেয় যাওয়ার তাকিদ; অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।
এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
শুধু কল্পনা করেন, বিশ্বে কী ঘটবে যদি সমাজতান্ত্রিক সম্প্রদায় অদৃশ্য হয়ে যায়... আগে সম্ভব হলেও এখন আর তা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি না।
যখন তুমি মারা যাবা তখন তোমার ব্যাংকে যে পরিমান টাকা থাকবে সেটা হল ওই টাকা যা তুমি তোমার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কাজ করে আয় করেছ।
ব্যাঙ্ক হলো এমন একটি জায়গা যেখানে তারা আপনাকে রৌদ্রজ্বল আবহাওয়ায় একটি ছাতা ধার দেয় এবং যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন ছাতা ফেরত চায়।
মানুষ মরে গেলে পচে যায়,বেঁচে থাকলে বদলায়,কারণে-অকারণে বদলায়।
মানুষ যখন রাগান্বিত থাকে, তখন তাকে কোনোভাবে বিরক্ত করা উচিত নয়। কেননা তা থেকে চরম ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে।
আমরা জনগনের সেবা করি, তাই আমাদের যদি কোন ত্রুটি থাকে, তা দেখিয়ে দিয়ে কেউ আমাদের সমালোচনা করলে আমরা ভয় করি না। যে কেউ, তা যিনিই হোন না কেন, আমাদের ত্রুটি দেখিয়ে দিতে পারেন। যদি তাঁর কথা ঠিক হয় তাহলে আমরা নিজেদের ত্রুটি শুধরে নেব। তিনি যা প্রস্তাব করেন তাতে যদি জনগনের উপকার হয়, তবে আমরা তাঁর প্রস্তাব অনুসারেই কাজ করব।
মানুষ যতটা সুখী হতে চায়, সে ততটাই হতে পারে। সুখের কোনো পরিসীমা নেই। ইচ্ছে করলেই সুখকে আমরা আকাশ অভিসারী করে তুলতে পারি ।শাস্তির চেয়ে ক্ষমা মহৎ।
যখন সম্ভব হয় হাসুন, কারণ এটি হলো সবচেয়ে সস্তা ঔষধ।
যে অল্প লইয়া সুখী সেই ভাগ্যবান, আর বিত্তশালী হইয়াও যে অসুখী সে দুর্ভাগাই বটে।
কেউ কারো মতো হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মতো। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মতো হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।
আসলে যে-কোনো মানুষেরই, বেঁচে থাকার জন্যে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন, তা তার নিজেকে। নিজেকে নিজে একটু সময় না দিলে, ভাল না বাসলে, দিনান্তে আয়নার সামনে একবারও না দাঁড়িয়ে ভালবেসে নিজের মুখের দিকে না চাইলে তার অন্যর বা অন্যদের জন্যে প্রাণাতিপাত পরিশ্রম করার মানে হয় না কোন। আসলে, প্রত্যেক মানুষের জীবনেই বোধ হয় সে নিজেই কেন্দ্রবিন্দু। সে আছে, তাইই তার চারধার ঘিরে অন্যান্য সব সম্পর্ক আছে।
পুত্রকে যারা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু। হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যায় সমালোচনা হচ্ছে আড়াল করা প্রশংসা। যার অর্থ হচ্ছে তুমি কারো হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতার কারণ হয়েছ। মনে রেখো মরা কুকুরকে কেউ কখনো লাথি দেয় না - ডেল কার্নেগি