সিগমুন্ড ফ্রয়েড (মে ৬, ১৮৫৬-সেপ্টেম্বর ২৩, ১৯৩৯) ছিলেন একজন অস্ট্রিয় মানসিক রোগ চিকিৎসক এবং মনস্তাত্ত্বিক। ফ্রয়েড “মনোসমীক্ষণ” (Psychoanalysis) নামক মনোচিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবক। ফ্রয়েডকে “মনোবীক্ষণের জনক” হিসেবে পরিগণিত। সিগমুন্ড ফ্রয়েডের বিভিন্ন কাজ জনমানসে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। মানব সত্বার ‘অবচেতন’, ‘ফ্রয়েডিয় স্খলন’, ‘আত্মরক্ষণ প্রক্রিয়া’ এবং ‘স্বপ্নের প্রতিকী ব্যাখ্যা’ প্রভৃতি ধারণা জনপ্রিয়তা পায়। একই সাথে ফ্রয়েডের বিভিন্ন তত্ত্ব সাহিত্য, চলচ্চিত্র, মার্ক্সবাদী আর নারীবাদী তত্ত্বের ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব বিস্তার করে। তিনি ইডিপাস কমপ্লেক্স ও ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্স নামক মতবাদ সমূহের জন্য অধিক আলোচিত। ১৯০০ থেকে ১৯৩০-এর দশক অর্থাৎ তার চুয়াল্লিশ বছর বয়েস থেকে আশি, এই সময়টায় ফ্রয়েড পরিণত হয়েছিলেন কিংবদন্তিতে। প্রকাশিত হয়েছে তার এমন সব তত্ত্বের বই যা পড়ে চমৎকৃত হয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা, তাক লেগে গেছে মধ্যবিত্ত সমাজের। তিনি বলেছিলেন যে মানুষের মনের মধ্যে আছে অজানা অচেনা এক অবচেতন, যার সিংহভাগ জুড়ে নানান গোলমেলে যৌন ইচ্ছে, ভীতি আর হিংসার প্রবণতা!
১
আমার মতে যে কোনো শিশুই স্বার্থপর, অপরাধপ্রবণ এবং আত্মসুখী। শিশুর যদি পর্যাপ্ত শক্তি সাধ্য থাকতো তাহলে সে গোটা পৃথিবীটাকে বুঝি ধ্বংস করে ফেলতো।
২
রমণীত্ব হলো সেই গুণ, যা নারীকে বহু পুরুষের চোখে ভোগ্যা করে তোলে।
৩
যে মেয়ে একবার তুলে দেয় শরীরের সমস্ত উপহার, সে কিছুতেই ভুলতে পারেনা সেই প্রেমিক অথবা, সুপুরুষের মুখ।
৪
গণিকাবৃত্তি পৃথিবীর আদিমতম ব্যবসা।
৫
যৌন ইচ্ছা কোন পাপের পরিণতি নয়, এ হলো জীবনের স্বাভাবিক সুন্দর বহিঃপ্রকাশ।
৬
কিছু কিছু যৌন নির্ভরশীলতা হলো আবশ্যকীয়। যা প্রেমের বাঁধনকে সুসংহত ও সুসংবদ্ধ করে।
৭
একটি সুন্দরী নারী দর্শনে পুরুষের মনে এবং একটি বলিষ্ঠ স্বাস্থ্যের সুপুরুষ দর্শনে নারীর মনে আসক্তি ও কামভাব জাগ্রত হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকত্বের মধ্যে যারা অন্যায় ও পাপ অনুসন্ধানে তৎপর হয়, তারা অসুস্থমস্তিষ্ক।
৮
প্রকৃতির নিয়মে বালিকারা যেমন এক লহমায় যুবতী হয়ে যায়, সমবয়সী পুরুষের চেয়ে শরীরে মনে অনেক বেশি পরিণত, সেই ইঙ্গিতে তারাই আগে পা রাখে বার্ধক্যের উষর প্রান্তরে।
৯
সব পূর্ণতারই থাকে নিজস্ব অহমিকা।
১০
পুরুষরা তাদের ধারণার চেয়ে বেশি নৈতিক এবং তারা কল্পনা করার চেয়ে অনেক বেশি অনৈতিক।
১১
আমি মানুষের সঙ্গ অপেক্ষা পশুদের সঙ্গ বেশি পছন্দ করি। অবশ্যই, একটি বন্যপ্রাণী নিষ্ঠুর। কিন্তু নির্দয় হওয়া সভ্য মানুষের বিশেষাধিকার।”
১২
পুরুষ ও নারীর মধ্যে তেমন কোনো যৌন প্রতিদন্ধিতা নেই। শরীরের সম্পূর্ণ সুখানুভূতির জন্য তারা হলো একে অন্যের পরিপূরক।
১৩
আপনার দুর্বলতা থেকে আপনার শক্তি আসবে।
১৪
একথা স্বীকার করতেই হবে যে, মানবসত্তা পুরুষ ও নারীর যুগলবন্দি শুনতে চায়, তার এক হাতে পৌরুষের উদ্দাম মন্দিরা অপর হাতে নারীত্বের মরমী সেতার। এই দুই নিয়েই বেজে ওঠে জীবনের কনসার্ট।
১৫
সব পূর্ণতারই থাকে নিজস্ব অহমিকা।
১৬
সেক্স ব্যতীত প্রেম অলীক কল্পনা মাত্র।
১৭
নিজের সাথে সম্পূর্ণ সৎ হওয়া একটি ভালো অনুশীলন।
১৮
বেশিরভাগ মানুষ সত্যিই স্বাধীনতা চায় না, কারণ স্বাধীনতার সাথে দায়িত্ব জড়িত এবং বেশিরভাগ মানুষই দায়িত্ব কে ভয় পায়।
১৯
আপনি নিজেকে বিষন্নতা বা কম আত্মসম্মান নিয়ে নির্ণয় করার আগে, নিশ্চিত করুন যে আপনি বোকাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত নন।
২০
কিছু কিছু যৌন নির্ভরশীলতা হলো আবশ্যকীয়, যা প্রেমের বাধনকে সুসংহত ও সুসংবদ্ধ করে।
২০
বুদ্ধির কন্ঠস্বর মৃদু, কিন্তু শ্রবণ শক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তার শান্ত হয় না।
২১
একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পরিধি সেই সমস্যার মাত্রা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয় যা একজন ব্যক্তিকে তার বুদ্ধি থেকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
২২
ছোট বিষয়ে মনের ওপর ভরসা রাখুন, বড় বিষয়ে হৃদয়ের ওপর।
২৩
নিজের সাথে সম্পূর্ণ সৎ হওয়া একটি ভালো অনুশীলন।
২৪
কিছু কিছু যৌন নির্ভরশীলতা হলো আবশ্যকীয়, যা প্রেমের বাঁধনকে সুসংহত ও সুসংবদ্ধ করে।
২৫
অপ্রকাশিত আবেগ কখনোই মরবে না। তাদের জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে এবং পরে আরো কুৎসিত উপায় বেরিয়ে আসবে।
