You are currently viewing লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাণী : বাবা লোকনাথের ৩০ টি বাণী ও উক্তি

লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাণী : বাবা লোকনাথের ৩০ টি বাণী ও উক্তি

লোকনাথ ব্রহ্মচারী (জন্ম: ৩১ আগস্ট ১৭৩০ – মৃত্যু: ৩ জুন ১৮৯০) ছিলেন একজন হিন্দু সিদ্ধপুরুষ। তিনি বাবা লোকনাথ নামেও পরিচিত। হিন্দুধর্মানুশারীদের নিকট লোকনাথ ব্রহ্মচারী অত্যন্ত পূজনীয় ব্যাক্তিত্ব। তিনি দেহত্যাগের পূর্বপর্যন্ত বর্তমান বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে অবস্থান করেছিলেন। বাবা লোকেনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থভূমি। বিশেষত বাঙালি হিন্দুর কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।

এই দেহপাতের সঙ্গে- সঙ্গে সব শেষ হয়ে যাবে মনে করিস না। আমি যেমনটি ছিলাম যেমন আছি, তেমনি চিরকাল থাকবো।

অহংকার চলে গেলে নিজের মনই নিজের গুরু হয়, সৎ ও অসৎ বিচার আসে। জ্ঞানের সঙ্গে ভক্তির মণিকাঞ্চন যোগ হলে শ্রদ্ধা হবে তোদের আশ্রয়, শ্রদ্ধা হবে তোদের বান্ধব এবং শ্রদ্ধাই হবে তোদের পাথেয়।

তোরা যদি দীর্ঘায়ু হতে চাস্ তাহলে তোদের সদাচারী, শ্রদ্ধাশীল, ঈর্ষাহীন, সত্যবাদী, ক্রোধবিহীন ও সরল স্বভাব হতে হবে।

কাম, ক্রোধ সব রিপুই অবচেতন মনের স্তরে- স্তরে সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা প্রকাশ হয়, কারণ মানুষ তাদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সচেতন হয়। অচেতন মন রিপুদের অবাধ ক্রীড়াক্ষেত্র।

যাতে তাপ লাগে, তাই পাপ। যে কাজ করেই তুই তাপগ্রন্ত হস্ বা সমাজকে তাপগ্রস্ত করিস্, তা-ই পাপ কাজ।

রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি, আমিই রক্ষা করবো।

আমি ধরা দিই বলেই তো আমাকে ধরতে পারিস, না হলে কার বাপের সাধ্য আমার কাছে ঘেঁষে?

এই বিরাট সৃষ্টির মধ্যে এমন কিছু নেই যাকে উপেক্ষা করা চলে বা ছোট ভাবা যায়। প্রতিটি সৃ্ষ্টি বস্তু বা প্রাণী নিজ -নিজ স্থলে স্বমহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছে জানবি।

যা মনে আসে তাই করবি, কিন্তু বিচার করবি।

১০

সূর্য উঠলে যেমন আধার পালিয়ে যায়, গৃহস্থের ঘুম ভেঙ্গে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বার বার বিচার করলে খারাপ কাজ করবার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাইবে।

১১

দেখ-অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা, আর তা ব্যয় করবার সময় বিষয় দু:খ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্যে চিন্তা করে কোন লাভই হয় না।

১২

গর্ব কোরো, কিন্তু আহাম্মক হয়ো না। ক্রোধ কোরো, কিন্তু ক্রোধান্ধ হয়ো না।

১৩

সচেতন হতে হবে। অচেতনাই জীবনের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরন্তর অভ্যাস এবং চেষ্টার ফলে তাকে সচেতনায় রূপান্তরিত করতে হবে।

১৪

ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে ভগবান তার মঙ্গল করেন।

১৫

আমি পাহাড়-পর্বতে ঘুরে যে ধন কামাই করে এনেছি, তা আমার সন্তানরা ঘরে বসে খাবে।

১৬

সত্যের মতো পবিত্র আর কিছুই নেই। সত্যই স্বর্গমনের একমাত্র সোপানস্বরূপ, সন্দেহ নেই।

১৭

দীন, দরিদ্র, অসহায় মানুষের হাতে যখন যা দিবি তা আমিই পাব, আমি গ্রহণ করব। দারিদ্রতায় ভরা সমাজের দুঃখ দূর করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করবি।

১৮

যে কর্ম মনে তাপের সৃষ্টি করে তাই পাপ। যে কর্মের মধ্য দিয়ে আত্মসচেতন বা শান্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তোলে তাই পুণ্য এবং স্বর্গতুল্য।

১৯

এই বিরাট সৃষ্টির মধ্যে এমন কিছু নেই যাকে উপেক্ষা করা চলে বা ছোট ভাবা যায়। প্রতিটি সৃষ্টি বস্তু বা প্রাণী নিজ নিজ স্থলে স্বমহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছে জানবি।

২০

যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যাচারী, উদারচিত্ত, ভক্তিপরায়ন, জিতেন্দ্রিয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে, আর কখনো আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করে না, এমন ব্যক্তির সঙ্গেই বন্ধুত্ব করবি।

২১

বাড়ির গরুতে ভিটার ঘাস খায় না।

২২

ধার্মিক হতে চাইলে প্রতিদিন রাতে শোবার সময় সারাদিন কাজের হিসাব নিকাশ করবি, অর্থাৎ ভাল কাজ কি করেছিস এবং মন্দ কাজ কি করেছিস, সেটা ভেবে মন্দ কাজ যাতে আর না করতে হয় তার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবি।

২৩

আমার নাশ নাই, আমি নিত্য পদার্থ সুতরাং আমার শ্রাদ্ধও নাই।

২৪

সমাধির উচ্চতম শিখরে গিয়ে যখন পরমতত্ত্বে পৌঁছালাম, তখন দেখি আমাতে আর অখিল ব্রহ্মান্ডের অস্তিত্বে কোন ভেদ নেই।সব মিলেমিশে একাকার।

২৫

অন্ধকার ঘরে থাকিলে, তোকে যদি কেহ জিজ্ঞাস করে ‘তুই কে?’ তুই বলিস ‘আমি’। আমাকে যদি কেহ জিজ্ঞাস করে আমিও বলি ‘আমি’। নামে নামে এত মিত্রতা হয় আর ‘আমি’তে ‘আমি’তে কি কোনো মিত্রতা হইতে পারে না?

২৬

ওরে, সে জগতের কথা মুখে বলা যায় না, বলতে গেলেই কম পড়ে যায়। বোবা যেমন মিষ্টির স্বাদ বলতে পারে না, সেই রকম আর কি!

২৭

যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ (বন্ধু), আর যিনি কায়মনোবাক্যে সকলের কল্যান সাধন করেন, তিনিই যথার্থ জ্ঞানী।

২৮

দেখ-যেখানে ত্যাগ নেই, আছে মোহ ও আসক্তি সেখানেই যত দু:খ, দৈন্য ও অশান্তি।

২৯

আমিও তোদের মতো খাই-দাই, মল-মূত্র ত্যাগ করি।আমাকেও তোদের মতই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি। আমি যে কে, তা আর কাকে বোঝাবো, সবাই তা ছোট- ছোট চাওয়া নিয়েই ভুলে রয়েছে আমার প্রকৃত আমি কে।

৩০

যারা ধর্ম নেই মনে করে সাধুগণকে উপহাস করে, আর ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে, তারা নি:সন্দেহে বিনাশ প্রাপ্ত হয়।

Leave a Reply