রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক। তার লেখা অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প ও উপন্যাস থেকে বাছাই করা কিছু প্রেমের উক্তি বা লাইন এই ব্লগ পোস্টে তুলে ধরছি। প্রিয় পাঠক আশা করছি রবীন্দ্রনাথের প্রেমের উক্তিগুলো আপনার ভালো লাগবে।
১#
ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে আরো বেশি জ্যান্ত। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২#
সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩#
অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর হয় না। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪#
ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন? — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫#
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা, কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬#
নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রাণীও বটে। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭#
আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮#
বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায়। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯#
লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০#
স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর স্বভাবের অমিল থাকলেই মিল ভালো হয়,শুকনো মাটির সঙ্গে জলধারার মতো।
১১#
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
১২#
পরের ছেলে মানুষ করিলে তাহার প্রতি প্রাণের টান আরো যেন বেশি হয়, কারণ তাহার উপরে অধিকার থাকে না ; তাহার উপরে কোনো সামাজিক দাবি নাই, কেবল স্নেহের দাবি — কিন্তু কেবলমাত্র স্নেহ সমাজের সমক্ষে আপনার দাবি কোনো দলিল – অনুসারে সপ্রমাণ করিতে পারে না এবং চাহেও না,কেবল অনিশ্চিত প্রাণের ধনটিকে দ্বিগুণ ব্যাকুলতার সহিত ভালোবাসে।
১৩#
নাম যার বড় তার সংসারটা ঘরে অল্প, বাইরেই বেশি।
১৪#
যাহাদের হৃৎপিণ্ড বরফের পিন্ড, যাহাদের বুকের মধ্যে ভালোবাসার জ্বালাযন্ত্রণা স্থান পায় না,তাহারা বোধ করি সুদীর্ঘকাল তাজা থাকে,তাহারা কৃপণের মতো অন্তরে বাহিরে আপনাকে জমাইয়া রাখিতে পারে।
১৫#
নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বীরত্ব করে লাভ কী।আঘাত করলেও কষ্ট, আঘাত পেলেও কষ্ট। তার চেয়ে তর্কের বেলায় গৃহিণীর মতকে সম্পূর্ণ অকাট্য ব’লে স্বীকার ক’রে কাজের বেলায় নিজের মত চালানোই সৎপরামর্শ —— গোঁয়ার্তুমি করতে গেলেই মুশকিল বাধে।
১৬#
প্রথম বয়সের প্রথম প্রেম অনেকগুলি ছোটোখাটো বাধার দ্বারা মধুর। লজ্জার বাধা, ঘরের লোকের বাধা, অনভিজ্ঞতার বাধা, এইগুলির অন্তরাল হইতে প্রথম পরিচয়ের যে আভাস দিতে থাকে তাহা ভোরের আলোর মতো রঙিন ; তাহা মধ্যাহ্নের মতো সুস্পষ্ট, অনাবৃত এবং বর্ণচ্ছটাবিহীন নহে।
১৭#
পৌরুষের পরিচয় দিতে হইলে তাহাকে কিছু-একটা করিয়া তুলিতে হয়। তাহার যে বিশেষ একটা শক্তি আছে ইহা প্রমাণ করিতে না পারিলে পুরুষের ভালোবাসা ম্লান হইয়া থাকে। আর-কিছু না’ও যদি থাকে, ধন যে একটা শক্তির নিদর্শন, ময়ূরের পুচ্ছের মতো স্ত্রীর কাছে সেই ধনের সমস্ত বর্ণচ্ছটা বিস্তার করিতে পারিলে তাহাতে মন সান্ত্বনা পায়।
১৮#
এমন দুঃখ আছে যাকে ভোলার মত দুঃখ নেই।
১৯#
প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০#
এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১#
বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২২#
আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়;
একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং অপরটি হচ্ছে প্রেম। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Mehadi Bhuiyan holds a BA in English Literature from the National University of Bangladesh. His academic interests include literature, history, and cultural studies, with a particular focus on modern and contemporary writing. He works as a freelance writer, researcher, and editor, specializing in literary analysis, historical narratives, and cultural topics.