You are currently viewing মেঘ বলেছে যাব যাব উক্তি : ৩০ টি অসাধারণ উক্তি

মেঘ বলেছে যাব যাব উক্তি : ৩০ টি অসাধারণ উক্তি

মেঘ বলেছে যাব যাব হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাস। ১৯৯৭ সালের বইমেলায় উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়। মেঘ বলেছে যাব যাব উপন্যাসটি মূলত মধ্যবিত্ত জীবনের উপর লেখা। এই জীবনঘনিষ্ঠ সামাজিক উপন্যাসটিতে লেখক তুলে ধরেছেন মধবিত্তের স্বপ্ন, চাওয়া-পাওয়া, ভালবাসা, ব্যর্থতা, সুখ দুখ কষ্ট। এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হাসান এই বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র যার আশেপাশের চেনা মানুষদের জীবন কাহিনীই, আর প্রতিটি ঘটনায় হাসানের সম্পৃক্ততা চিত্রিত হয়েছে এই উপন্যাসটিতে। অন্যভাবে ভাবলে হাসানের কাহিনীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে একেকটা ঘটনা। অন্য এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তিতলির সাথে বেকার যুবক হাসানের ব্যর্থ প্রেমের গল্প, তিতলির সাথে তার মা সুরাইয়া ও বোন নাবিলার সম্পর্ক, তিতলির বাবার সাথে তার কন্যাদের সম্পর্ক, হাসানের সাথে তার ভাবি রিনার সম্পর্ক, হাসানের মার সাথে হাসানের বাবার সম্পর্ক, তারেকের সাথে তার স্ত্রী রিনার সম্পর্ক, তারেকের সাথে তার কলিগ লাবণীর অবৈধ সম্পর্ক, মূলত মধ্যবিত্তের জীবনে যতধরণের সম্পর্কের দেখা যায়, তার সবই উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। একসময় তিতলির বিয়ে হয় বিত্তশালী এক ছেলের সাথে, অন্যদিকে এক সাধারন মধ্যবিত্ত যুবকের মতো হাসান এর মৃত্যু হয়। হুমায়ূন আহমেদ খুব চমৎকার ভাবে মানুষের জীবন, মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক ও বাস্তবতাকে তুলে এনেছেন সহজভাবে, নাটকীয়তা ছাড়াই।

বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না। বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের ওপর চিত্ৰলেখার দেখা হয় না।

আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব -এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই, তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।

ছেলেদের নতুন শার্ট-প্যান্ট আর মেয়েদের নতুন শাড়ি আলাদা ব্যাপার।মেয়েদের নতুন শাড়ি পরা মানে একটা বিশেষ ঘটনা।

নববিবাহিতা তরুণীরা বাবার বাড়িতে অযথা সময় নষ্ট করে না। এরা দ্রুত অতীত ভুলতে চেষ্টা করে। মেয়েরা তাদের শরীরে সন্তান ধারণ করে। সন্তান ধারণ করে বলেই হয়তো বা প্রকৃতি তাদের ভবিষ্যত্‍মুখী করে রাখে। অতীত তাদের কাছে পুরোনো গল্পের বইয়ের মতো। যে গল্প একবার পাঠ করা হয়েছে বলে কৌতুহল মরে গেছে। দ্বিতীয়বার পড়তে ইচ্ছে করে না। বইটি হারিয়ে গেলেও ক্ষতি নেই!

মানুষকে সুখী থাকা উচিত বর্তমান নিয়ে।মানুষ তা পারে না।বর্তমানে সে দাঁড়িয়েই থাকতে পারে না।তার এক পা থাকে অতীতে আরেক পা ভবিষ্যতে।দু নৌকায় পা,সেই দু নৌকা আবার যাচ্ছে দুদিকে।

এই যুগের নীতি হচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে দূরে চলে যাওয়া।যে যত দূরে যাবে সে তত ভাল থাকবে।

সব কষ্টই মানুষের একসময় শেষ হয়ে যায়। মানুষের কষ্ট গ্যাস বেলুনের মতো – উঁচুতে উঠে থাকে – এক সময় না এক সময় সেই বেলুন নেমে আসতে থাকে। বেলুনভর্তি গ্যাস থাকে ঠিকই তবে গ্যাসের বেলুনকে উড়িয়ে রাখার ক্ষমতা থাকে না।

দু ধরনের মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না।সবল মনের মানুষ এবং দুর্বল মনের মানুষ।

পৃথিবীতে বাস করতে হলে অনেক খারাপ লাগা সহ্য করে বাস করতে হয়।ক্ষমতাবান মানুষরা ধীরে ধীরে নিঃসঙ্গ হয়।

১০

আঠারো বছরের মেয়েকে কখনো একা ঘরে শুতে দিতে নেই।আঠারো বছরের মেয়ে হল সাক্ষাৎ আগুন।আগুনের সঙ্গে সব সময় পানি রাখতে হয়।মেয়ের মা হল সেই পানি।আগুন-পানি একসঙ্গে থাকলে বিপদ থাকে না।

১১

পাপী ছেলেপুলে বেশি মাতৃভক্ত হয়।তাদের মন থাকে দুর্বল। সব সময় মনে করে মা মনে কষ্ট পেলে সর্বনাশ হবে। তাছাড়া প্রথম সন্তানের প্রতি বাবা-মার একটা আলাদা মমতা থাকে।

১২

অসুস্থ অবস্থাতেই প্রিয়জনদের বেশি দেখতে ইচ্ছে করে।মানুষের সবচে প্রিয় ইচ্ছা প্রকৃতি সব সময় পূর্ণ করে।

১৩

অস্বস্তি কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা অবশ্যি ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশি।তারা যে কোনো পরিস্থিতি অতি দ্রুত সামাল দিতে পারে।

১৪

দুই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সংখ্যা। দুই মানেই আমি এবং তুমি।

১৫

অভাবের সময় মানুষের ক্ষিধে বেশি লাগে এটা বোধহয় ঠিক।পুরুষমানুষের চোখের পানি কাউকে দেখাতে নেই।

১৬

আর্লি স্টেজে মার ভালোবাসা দরকার। মায়ের ভালোবাসা ভিটামিনের মতো কাজ করে।

১৭

মেয়ে মানুষ তো বিন্দুর মধ্যে সিন্ধু দেখে।

১৮

বাস্তব কখনো গল্পের মত হয় না। তুমি কোনোদিন জানবে না আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।

১৯

মানুষের জীবন মানেই এক জাতীয় জটিলতা।মানুষের মনে যে বয়সে নানান ধরনের শখ হয় সে বয়সে টাকা-পয়সা থাকে না।বুড়ো বয়সে যখন টাকা-পয়সা হয় বতখন আর শখ থাকে না।

২০

সঙ্গপ্রিয় মানুষের জন্যে নিঃসঙ্গতা শাস্তি _কঠিন শাস্তি।এই শাস্তি মানুষকে বদলে দেয়।

২১

বাস্তব আশার পথ ধরে না।বাস্তব চলে নিরাশার এবড়োখেবড়ো পথে।

২২

জীবিত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি সেই স্মৃতিই আমি রাখতে চাই।মৃত মুখের স্মৃতি রাখতে চাই না।

২৩

মেয়েরা সত্যির চেয়ে মিথ্যাটাকে সহজে গ্রহণ করে।একটা মেয়ের ভিতরে আসলেই অনেকগুলো মেয়ে বাস করে।

২৪

ভাগ্য ফেরাবার জন্যে হলেও পুরুষমানুষের বিয়ে দিতে হয়।কথায় আছে না স্ত্রী ভাগ্যে ধন।

২৫

না বলতে পারাটা খুব বড় গুণ মা।বেশিরভাগ মানুষ না বলতে পারে না।এতে তারা নিজেরাও সমস্যায় পড়ে,অন্যদেরও সমস্যায় ফেলে।

২৬

সাজসজ্জার ব্যাপারে অন্যকে পরামর্শ দেবার ব্যাপারে কোনো মেয়েরই বিরক্তি থাকে না।মেয়েরা এই কাজটা খুব আগ্রহ এবং আনন্দ নিয়ে করে।

২৭

মেঘের সঙ্গে মানুষের খুব মিল। মানুষ যেমন কাঁদে মেঘও কাঁদে। বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু।

২৮

মেঘ বলেছে যাবো। আকাশের মেঘেরা কি কথা বলে? তারা কি যেতে চায় কোথাও? তারা কোথায় যেতে চায়?

২৯

লাজুক ধরনের মানুষ বেশিরভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারে না।মনের কথা হড়বড় করে শুধুমাত্র পাগলইরাই বলতে পারে।পাগলরা সেই কারণেই মনে হয় সুখী।

৩০

স্বপ্নের কর্মকাণ্ডের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকে না।স্বপ্ন নিয়ে রাগ করারও কোনো মানে হয় না।

Leave a Reply