আলী ইবন আবী তালিব ( আনু. ১৩ই সেপ্টেম্বর ৬০১ – ২৯শে জানুয়ারি ৬৬১) ছিলেন ইসলামের নবী মুহম্মদের চাচাতো ভাই, জামাতা ও সহচর। হয়রত আলী (রাঃ) ৬৫৬ থেকে ৬৬১ সাল পর্যন্ত খলিফা হিসেবে মুসলিম বিশ্ব শাসন করেছিলেন। সুন্নি ইসলাম অনুসারে তিনি চতুর্থ রাশিদুন খলিফা। পক্ষান্তরে, শিয়া ইসলাম অনুসারে তিনি মুহম্মদের ন্যায্য স্থলাভিষিক্ত ও প্রথম ইমাম। আবী তালিব ইবন আব্দুল মুত্তালিব ও ফাতিমা বিন্ত আসাদের পুত্র আলী ছোটবেলা থেকেই তাঁর ভাই মুহম্মদের কাছে বড় হন এবং তিনি ছিলেন প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম। তিনি আহলুল কিসা ও আহলুল বাইতের একজন সদস্য হিসেবে শিয়া ও সুফিবাদী সুন্নি মুসলমানদের কাছে সম্মানিত। প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে হয়রত আলী (রাঃ) এর বন্ধু সম্পর্কে করা অসাধারণ কিছু উক্তি তুলে ধরেছি।
১
সেই তোমার সত্যিকার বন্ধু যে তোমার সাথে থাকে, তোমার কল্যাণের জন্য নিজের হ্মতি করে। দৈব-দুর্বিপাকে পড়ে তোমার অবস্থা শোচনীয় হলে সে নিজের সুখ বির্সজন দিয়ে তোমাকে সুখ দান করে।
২
ভাই হলো সোনা আর বন্ধু হলো হিরা।
৩
তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু।
৪
বন্ধু অবশ্যই বানাও। কারণ বন্ধু দুনিয়াতেও উপকারে আসে এবং আখেরাতেও।
৫
তোমার ভাইয়ের ত্রুটি গোপন করো, যখন জানো যে সেটা তোমার মধ্যেও রয়েছে। তোমার বন্ধুর বিচ্যুতিকে ক্ষমার চোখে দেখো সেই দিনের কথা চিন্তা করে যেদিন সে শত্রু হয়ে তোমার উপর চড়াও হবে। যে ব্যক্তি এমন লোকের উপর রাগান্বিত হয় যে তার ক্ষতি করতে সক্ষম নয়, তার দুঃখ দীর্ঘায়িত হয় এবং সে নিজেকে কষ্ট দেয়। যে তার প্রতিপালকের ভয় করে, তার অত্যাচার থেমে যায়। যে ব্যক্তি ভালোমন্দ বিচার করতে পারে না, সে পশুর তুল্য।
৬
দীর্ঘদিন বন্ধুত্ব রাখার জন্য এই দুইটি কাজের উপর আমল কর, নিজের বন্ধুর সাথে রেগে কথা বলো না আর তোমার বন্ধুর রাগ অবস্থায় বলা কথা মনে নিও না..!
৭
এমন লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করিও না; যে তোমার দোষগুলো মনে রাখে ও গুণগুলো ভুলে যায়।
৮
যে ব্যক্তি চিন্তাভাবনা করে যথাযথ বিচার-বিশ্লেষণ করে বন্ধু নির্বাচন করবে, তাদের বন্ধুত্ব বজায় থাকবে এবং তাদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হবে।
৯
বন্ধুদের খারাপ সময়ে সব সময় তাদের সাথে শামিল হও, কিন্তু তার আনন্দের সময় ততক্ষণে শামিল হইও না যতক্ষণ না সে নিজে তোমাকে শামিল করে!
১০
নির্বোধের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাক। কারণ, সে উপকার করতে চাইলে ও তার দ্বারা তোমার ক্ষতি হয়ে যাবে।
~ হয়রত আলী (রাঃ)
১১
বন্ধুত্ব করার মত কোন যোগ্যলোক পাওয়া না গেলেও অযোগ্যদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না।
১২
ঠাট্টার ছলে যে তোমাকে মানুষের সামনে অপমান করে তাকে বন্ধু বানিও না।
১৩
ধন্য সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর জন্য স্বীয় কর্ম, জ্ঞান, বন্ধুত্ব ও শত্রুতা, গ্রহণ-বর্জন, বাচন ও নিরবতা অবলম্বন এবং তার কথা ও কাজকে খাঁটি করতে পারে।