তোমার নামে সন্ধ্যা নামে উপন্যাসটি সাদাত হোসেইন এর জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। উপন্যাসের মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় মেয়ে নদী। বাবার অসুস্থতায় কি ভীষণভাবেই না নিজের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে পরিবারটিকে একা আগলে রাখতে চেষ্টা করেছে। দীর্ঘ এই কঠিন পথ পাড়িতে সজল এসে আলো জ্বালিয়েছিল। এই আলোয় নদীর মনে হচ্ছিল তার স্বপ্নগুলো এক এক করে সত্যি হচ্ছে। কিন্তু এই স্বপ্নময় জীবনেও টুকরো টুকরো মেঘ এসে জমেছিল। যে মেঘের গর্জনে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল এই ভালোবাসাময় জীবন! যদিও ছোট্ট রুনি নিজের অজান্তেই বাবা-মাকে আবার একই সুতোয় বাঁধতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত রুনি কি তাদের পুরোপুরি বাঁধতে পেরেছিল?
১
কে কাকে কতটুকু ভালোবাসে তার উপর সম্পর্ক নির্ধারিত হয় না।সম্পর্ক নির্ধারিত হয় কে কাকে কতটুকু শ্রদ্ধা করে তার ওপর।ভালোবাসাহীন শ্রদ্ধার সম্পর্ক টিকে যেতে পারে।কিন্তু শ্রদ্ধাহীন ভালোবাসার সম্পর্ক কখনো টেকে না।
২
তোমার নামে সন্ধ্যা নামা শহর জানে,
রোজ কতটা আঁধার জমাই অভিমানে !
রোজ কতটা কান্না জমাই বুকের কোণে,
তোমার নামে রাত্রি গভীর শহর জানে।
৩
সবাই ভাবে সম্পর্কে সবক্ষেত্রে দুজনের সমান কন্ট্রিবিউশান থাকতে হবে। আমি যেমন তার জন্য এটা করেছি, ওটা করেছি, সে কেন করবে না ? সবকিছু সমান সমান হতে হবে। সবাই মনে করে এতেই বুঝি সম্পর্কটা ভালো থাকে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। দুজনের পক্ষে কখনোই সবকিছুতে সমান কন্ট্রিবিউশান সম্ভব নয়। হয়তো কোথাও একজন ষাট ভাগ করল, অন্যজন চল্লিশ।
৪
কখনো লিখেছ কথা মনের খামে?
কখনো কি আমার কথা মনে পড়েছে গোপনে?
নিলছে মেঘ হারিয়েছে সন্ধ্যায়,
জেনে রেখো খুজে আর পাবেনা আমায়!
৫
আমায় দিয়ো একটুখানি ছুঁয়ে,
আমায় দিয়ো একটুখানি মন,
এই জনমের জন্ম মৃত্যু জানে,
তুমি মানেই আমার সমর্পণ !
