You are currently viewing ড মুহাম্মদ ইউনূস উক্তি : ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ৩০ টি উক্তি

ড মুহাম্মদ ইউনূস উক্তি : ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ৩০ টি উক্তি

মুহাম্মদ ইউনূস (জন্ম: ২৮ জুন ১৯৪০) একজন বাংলাদেশী সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তিনি ২০২৪ সালের ৮ ই আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।তিনি সেই সাতজন ব্যক্তির একজন যারা নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।

সমাজকে এগিয়ে নিতে চাইলে আমাদের সবার আগে সবচেয়ে দুর্বলদের দিকে নজর দিতে হবে।

একদিন আমাদের নাতি-নাতনিরা দারিদ্র্য কেমন ছিল, তা দেখতে যাদুঘরে যাবে।

দরিদ্ররা নিজেরাই একটি দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব তৈরি করতে পারে – আমাদের যা করতে হবে তা হলো, আমরা তাদের চারপাশে যে শৃঙ্খল রেখেছি তা থেকে তাদের মুক্ত করা।

আমি বিশ্বাস করি, আইন প্রয়োগকারী ও ন্যায়বিচার, জাতীয় প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি ব্যতীত বেশিরভাগ বিষয় থেকে ‘সরকারের’ বেরিয়ে আসা উচিত এবং বেসরকারি খাতকে, একটি ‘গ্রামীণাইজড প্রাইভেট সেক্টর’, একটি সামাজিক চেতনা-চালিত বেসরকারি খাতকে তাদের অন্যান্য দায়িত্ব গ্রহণ করতে দেওয়া উচিত।

আমরা ভারত থেকে ডিম কিনি। যেদিন আমরা ভারতে ডিম বিক্রি করতে পারবো সেইদিন আমাদের অর্থনীতির চেহার পাল্টে যাবে।

আপনি যদি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, আপনি যদি একজন নারী হন, তাহলে আপনি সবচেয়ে বাজে দারিদ্র্য দেখেছেন। সাংস্কৃতিক ভাবে বাংলাদেশের পরিবারগুলোতে নারীরাই সবার শেষে খাবার খায়।

প্রতিটি মানুষই জন্মগতভাবে একজন উদ্যোক্তা।

আমি নিজের জন্য টাকা খরচ করব না। আমি বরং না-লাভ-না-ক্ষতি নীতিতে একটি বিশেষ ব্যবসায় এটি ব্যয় করব। আমরা একটি চক্ষু হাসপাতালও স্থাপন করব যেখানে ভিক্ষুকদেরও ১০-২০ টাকা ব্যয়ে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পর্যায়ে থাকবে—এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করো। দেখবে একসময় তা সত্যিই হয়ে যাবে।

১০

একজন উদ্যোক্তা শুধু নিজের ভাগ্যই পরিবর্তন করেন না, বরং সমাজকেও এগিয়ে নেন।

১১

শিক্ষার উচিত তাকে উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হতে প্রস্তুত করা, চাকরি খুঁজতে নয়।…আমরা যদি তরুণদের চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তুলতাম, তাহলে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না।

১২

যদি আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত সমাজ কিংবা বিশ্বের কল্পনা করতে না পারি, তাহলে তা কখনোই সত্যি হবে না। সে জন্য আমাদের একটি গন্তব্য দরকার, একটি নির্দেশনা দরকার। তুমি যদি জানো যে তোমাকে কোথায় যেতে হবে, তাহলে তুমি অবশ্যই সেখানে পৌঁছাতে পারবে। তোমার প্রযুক্তি, যোগাযোগ ক্ষমতা তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবে।

১৩

গরীব মানুষ সবসময় তাদের ঋণ পরিশোধ করে। আমরা, প্রতিষ্ঠান ও নিয়মকানুনের স্রষ্টারাই, তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করে চলেছি।

১৪

আপনি একদিনে পৃথিবী বদলাতে পারবেন না… বদলাতে চাইলে শুরু করুন আপনার গ্রাম থেকে।

১৫

ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়েই একজন শিক্ষার্থী বলছেন, আমাকে চাকরি দিন। কিন্তু এটা বলছেন না যে আমাকে ১০ হাজার ডলার দিন, আমি নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তুলব। তাঁর ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ তিনি তুলে দিচ্ছেন আরেকজনের হাতে। এটা আধুনিক দাসত্ব।

১৬

বৈষম্য কমাতে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের যে শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে সেটা মানুষকে চাকরির দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে।

১৭

প্রত্যেক মানুষই উদ্যোক্তা হয়ে জন্ম নেন। কিন্তু সমাজ তাকে এমনভাবে মগজধোলাই করে যে তিনি চাকরি খুঁজতে বাধ্য হন। সে জন্য বেকারত্ব দেখা দেয়।

১৮

আমরা বিশ্বের জন্য যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা তৈরি করেছি তার দ্বারা দারিদ্র্য সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি এবং গর্ববোধ করছি, সেগুলোই দারিদ্র্য সৃষ্টি করেছে।

১৯

দারিদ্র্য কোনো মানুষের তৈরি নয়। এটি মানুষের তৈরি একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাই মানুষকে গরিব করে রাখে।

২০

উদারনীতি, বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর মানুষের গভীর বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়। ১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধকে বুকে ধারণ করে আমাদের গণমানুষ যুদ্ধ করেছিল, সেই মূল্যবোধকে বহু বছর পরে আমাদের ‘জেনারেশন জি’ নতুনভাবে দেখতে শিখিয়েছে। এরকম আমরা দেখেছিলাম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময়েও।

২১

দারিদ্র্য কোন অভিশাপ নয়, এটি একটি কৃত্রিম অবস্থা যা আমরা পরিবর্তন করতে পারি।

২২

সকল মানুষের একটি সহজাত দক্ষতা রয়েছে – বেঁচে থাকার দক্ষতা। দরিদ্ররা যে বেঁচে আছে এটাই তাদের বেঁচে থাকার ক্ষমতার প্রমাণ। আমাদের তাদের শেখানোর দরকার নেই কীভাবে বাঁচতে হয়। এটা তারা ইতোমধ্যেই জানে।

২৩

সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২৪

দরিদ্র মানুষের একমাত্র যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে সুযোগ।

২৫

আর্থিক সামর্থ্যের বিবেচনায় নিচের দিকে থাকা ২৫ ভাগ জনগোষ্ঠীর জীবনমান দিয়ে আমি উন্নয়নকে সংজ্ঞায়িত করি।

২৬

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পর্যায়ে থাকবে-এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করো। দেখবে একসময় তা সত্যিই হয়ে যাবে।

২৭

সভ্য মানব সমাজে দারিদ্র বেমানান।

২৮

দরিদ্র পুরুষদের ঋণ দেয়ার চেয়ে দরিদ্র নারীদের ঋণ দেয়া বেশি কার্যকর।

২৯

এই দেশ তরুণদের, মনের মতো করে গড়েও তুলতে হবে তোমাদের।

৩০

সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করবেন না
আপনার উদ্যোক্তা হবার জন্য গ্রাজুয়েট বা মাস্টার্স ডিগ্রীর অর্জন করার জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি যে কোন সময়ই উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি সার্টিফিকেটের জন্য তখনি অপেক্ষা করবেন যখন আপনি চাকরি প্রার্থী। উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার সেই পরিমান শিক্ষাই প্রয়োজন যা দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের পেশায় কাজ করতে পারবেন।

Leave a Reply