চাঁদের অমাবস্যা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর দ্বিতীয় উপন্যাস যা ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে তিনি সমাজ, ধর্ম ও মানুষের জটিল মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলোকে বিশ্লেষণ করেছেন। উপন্যাসের কেন্দে রয়েছে গ্রামীণ বাংলার নিঃসঙ্গ জীবন চরিত্র ও তার মানসিক দ্বন্দ্ব। ধর্মীয়, বিষয়াবলি, একাকিত্ব ও কুসংস্কার সবগুলো ব্যাপার লেখক অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
১#
পুরুষের ওসব দুর্বলতা থাকেই, দোষটা আসলে মেয়ে লোকটির। দুশ্চরিত্রা হলে এমন অপঘাত মৃত্যু অবধারিত।
২#
আদর্শ চরিত্র শুধু রুপকথায় বিরাজ করে, বাস্তব জগতে তার অস্তিত্ব নেই।
৩#
মানুষের জীবনটা অতি ভঙ্গুর, একটুতেও মটকায়।
৪#
মানুষের ভাগ্য খামখেয়ালী এবং নির্মম হলেও মানুষ মায়া মমতাশূন্য নয়, অতি নিস্পৃহের নিকট ও অন্যের জীবন মুল্যহীন নয়।
৫#
জীবন কি সত্যিই মৃত্যুর চেয়ে অধিকতর মূল্যবান ?
৬#
একটি কারনেই মানুষ মানুষের অন্তিম ব্যবস্থা না করে পারে না। সে কারন প্রেম, ভালবাসা।
৭#
খাঁটি মানুষ অসম্কোচে দোষঘাট স্বীকার করে, কিন্তু হৃদয়ের সৌন্দর্য সহজে উন্মুক্ত করে না।
৮#
সত্যই সত্যকে আকর্ষন করে।
৯#
আমৃত্যু শোকাকুল অনুতাপ।
১০#
যে ঝড়ের নাম জানা নেই, যে ঝড়কে দেখা যায় না,সে ঝড়কে চেপে রাখতে হয়।
১১#
যে বৃক্ষটি শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে, সত্য রুপ ধারন করেছিল, মুল নেই বলে সে বৃক্ষটি নিমেষেই ধরাশায়ী হয়।
১২#
একটি কারনেই মানুষ মানুষের অন্তিম ব্যবস্থা না করে পারে না। সে কারন প্রেম, ভালবাসা।
১৩#
যে কথা আকাশের সূর্য, চন্দ্রতারা, ধরনীর ফুল, লতা-পাতা-দূর্বাদল বা স্রোতস্বীনী নদী নির্বিঘ্নে বলতে পারে সে কথা বলা নিষেধ। যে কথা হয়তো জীবন সম্মন্ধে একটি সরল কৌতুহল মাত্র, যার উৎস অজানার প্রতি মানুষের ভীতির মধ্যে সে কথা বলা নিষেধ।

Mehadi Bhuiyan holds a BA in English Literature from the National University of Bangladesh. His academic interests include literature, history, and cultural studies, with a particular focus on modern and contemporary writing. He works as a freelance writer, researcher, and editor, specializing in literary analysis, historical narratives, and cultural topics.