You are currently viewing চরিত্রহীন উপন্যাসের উক্তি : ২০ টি বিখ্যাত উক্তি

চরিত্রহীন উপন্যাসের উক্তি : ২০ টি বিখ্যাত উক্তি

চরিত্রহীন হলো বাঙালি কথাসাহিত্যিক, লেখক ও ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এই উপন্যাসটি ১৯১৭ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রিয় পাঠক চরিত্রহীন উপন্যাসের সবচেয়ে বিখ্যাত কিছু সংলাপ ও উক্তি তুলে ধরেছি এই ব্লগ পোস্টে।

১#

যেদিন বুঝবে রুপটাও মানুষের ছায়া, মানুষ নয় সেদিনই শুধু ভালোবাসার সন্ধান পাবে।

২#

ধুঁয়া যেমন একটুখানি রন্ধ্রের সাহায্যে সমস্ত ঘর নিমিষে ব্যাপ্ত করিয়া ঘোলা করিয়া দেয়, তেমনি করিয়া একটিমাত্র নিষ্ফলতার ক্ষুদ্র দ্বার ধরিয়া নৈরাশ্যের গাঢ় অন্ধকারে তাহার সমস্ত মন পরিপূর্ণ হইয়া গেল।

৩#

যে বস্তুই হোক, শেষ পর্যন্ত ভেবে দেখা মানুষের সাধ্য নয়। যিনি যত বড় বিচক্ষণ পন্ডিতই হোন না কেন, শেষ ফলটুকু ভগবানের হাত থেকেই নিতে হবে।

৪#

সন্তান-ধারণের জন্য যে-সমস্ত লক্ষণ সবচেয়ে উপযোগী তাই নারীর রূপ। সমস্ত জগতের সাহিত্যে, কাব্যে এই বর্ণনাই তার রূপের বর্ণনা।

৫#

বুড়ো মানুষের কাছে কোনো যুক্তিই যুক্তি নয়। তাদের নিজের প্রয়োজনের বেশি সংসারে আর কিছু তারা দেখতেই পান না।

৬#

জগতের সমস্ত বস্তুই সাফাই সাক্ষীর হাত ধরে হাজির হতে পারে না বলে মিথ্যা বলে ত্যাগ করতে হলে অনেক ভালো জিনিস হতেই আমাদের বঞ্চিত হয়ে থাকতে হয়।

৭#

যেদিন বুঝবে রূপটাও মানুষের ছায়া, মানষ নয়—সেইদিনই শুধু ভালবাসার সন্ধান পাবে।

৮#

হায় রে মানুষের মন! এ যে কিসে ভাঙ্গে, কিসে গড়ে, তাহার কোন তত্ত্বই খুঁজিয়া পাওয়া যায় না! এই যে কতটুকু আঘাতে একেবারে মাটিতে লুটাইয়া পড়ে, আবার কত প্রচণ্ড আঘাতও হাসিমুখে সহা করে তাহার কোন হিসাবই পাওয়া যায় না। অথচ, এই মন লইয়া মানুষের অহঙ্কারের অবধি নাই।

৯#

যাহাকে ভালোবাসি সে যদি ভালো না বাসে, এমনকি ঘৃণাও করে তাও বোধ করি সহ্য হয়! কিন্তু যাহার ভালবাসা পাইয়াছি বলিয়া বিশ্বাস করেছি, সেইখানে ভুল ভাঙ্গিয়া যাওয়াটাই সবচেয়ে নিদারুন। পূর্বের টা ব্যাথা দেয়। কিন্তু শেষের টা ব্যাথাও দেয়, অপমান ও করে।

১০#

যাহা জটিল ও দুর্বোধ্য, তাহা বিশদভাবে পরিষ্কার করিয়া বুঝাইয়া বলিবার সময় ও সুবিধা না হওয়া পর্যন্ত একেবারে না বলাই ভাল। ইহাতে অধিকাংশ সময়ে সুফলের পরিবর্তে কুফলই ফলে।

১১#

এই গেরুয়া কাপড় পরা লোকগুলি সংসারকে যে অনেক জিনিসই দিয়ে গেছেন ।

১২#

কাঁচার দাম যে কি, সে কেবল তখন বুঝবি যখন আরও পাকা হবি৷

১৩#

যতদিন তুমি পরকালের কল্পনা, আত্মার কল্পনা, ঈশ্বরের কল্পনা, প্রভৃতি জঞ্জালগুলি মনের মধ্যে থেকে পরিষ্কার করে ঝেঁটিয়ে না ফেলতে পারবে, ততদিন সংশয় তোমার থেকেই যাবে। সখেই যে জীবনের শেষ উদ্দেশ্য এবং সুখী হওয়াই যে জীবনের চরম সার্থকতা, এ কথা বঝেও বুঝবে না। কেবলই মনে হতে থাকবে, কে জানে, হয়ত বা আরো কিছু আছে। অথচ এই আরো-কিছুর সাধন কোনদিনই খুঁজে পাবে না। এ তোমাকে ব্যস্ত করে রাখবে, অথচ গতি দেবে না, আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলবে, কিন্তু পরিতৃপ্তি দেবে না। পথের গল্পই বলবে, কিন্তু কোনদিন পথ দেখিয়ে দিতে পারবে না।

১৪#

ভালো ডাক্তার কেবল বড় লোকের জন্য, গরীবের বেলায় হাতুড়ে।

১৫#

জগতের সমস্ত বস্তুই সাফাই-সাক্ষীর হাত ধরে হাজির হতে পারে না বলে সে সব মিথ্যা বলে ত্যাগ করতে হলে অনেক ভালো জিনিস হতেই আমাদের বঞ্চিত থাকতে হয়।

১৬#

যে বস্তুরই হোক, শেষ পর্যন্ত ভেবে দেখা মানুষের সাধ্য নয়। যিনি যতবড় বিচক্ষণ পণ্ডিতই হোন না কেন, শেষ ফলটুকু ভগবানের হাত থেকেই নিতে হয়।

১৭#

যার ভালো-মন্দ কিসে হয় না হয় বুঝি, সেটা উপেক্ষা করে তার ক্ষতি করে একটা অনিশ্চিত মহত্ত্বের পিছনে ছুটে বেড়ানো আমার কাছে ভালো ঠেকে না।

১৮#

শ্রদ্ধা ছাড়া ভালোবাসা দাঁড়াতে পারে না। সমাজ যে স্ত্রীকে তাঁর সম্মানের আসনটি দেয় না, কোন স্বামীরই ত সাধ্য নেই নিজের জোরে সেই আসনটি তার বজায় করে রাখেন।

১৯#

যে চুপ করে সহ্য করে, সবাই তার ওপর অত্যাচার করে।

২০#

মানুষে একেবারে চুপ করে থাকতেও পারে না, পারা উচিতও নয়।

২১#

সংসারে বাস করতে গেলে অনেক ছোটখাটো মন্দ জিনিসকে অগ্রাহ্য করতে হয়

Mehadi Bhuiyan

Mehadi Bhuiyan holds a BA in English Literature from the National University of Bangladesh. His academic interests include literature, history, and cultural studies, with a particular focus on modern and contemporary writing. He works as a freelance writer, researcher, and editor, specializing in literary analysis, historical narratives, and cultural topics.

Leave a Reply