You are currently viewing গুরু নানকের বাণী : গুরু নানক দেব এর ৩০ টি উপদেশ বাণী

গুরু নানকের বাণী : গুরু নানক দেব এর ৩০ টি উপদেশ বাণী

গুরু নানক দেব (এপ্রিল ১৫, ১৪৬৯ – সেপ্টেম্বর ২২, ১৫৩৯) শিখ ধর্মের প্রবক্তা এবং এই ধর্মের প্রথম গুরু। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে তার জন্মোৎসব পালিত হয়। তিনি বহু স্থানে ভ্রমণ করে মানুষের মধ্যে এক ঈশ্বরের মতবাদ প্রচলন করেন। গুরু নানক সমতা, ভ্রাতৃত্ব ও সদাচরণের ওপর নির্ভর করে একটি অনন্য ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলন করতে সক্ষম হন। শিখ ধর্মে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, পরবর্তী শিখ গুরুদের গুরুপদ লাভের সময় তাদের মধ্যে গুরু নানকের ঐশ্বরিক ক্ষমতা, ধর্মীয় কর্তৃত্ব ও পবিত্রতা প্রবাহিত হয়ে থাকে।

কেউ তাঁকে (ঈশ্বর) তর্কের মাধ্যমে কখনই বুঝতে পারবেন না, এমনকি সে যদি যুগ যুগ ধরেও তর্ক করতে থাকে।

তোমার কথা শুনে অন্যরা যেন তোমাকে সম্মান করে, এমন কথাই সব সময় বলা উচিত।

আমাদের কখনই, কারোর অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত নয়।

অহংকার মানুষকে মানুষের মত থাকতে দেয়না, তাই আমাদের অহংকার কখনই করা উচিত নয়। বিনম্রভাবে, সেবা করার ভাবনার দ্বারা আমাদের জীবন অতিবাহিত করা উচিত।

নিজের বাহুবলের মাধ্যমে পরিশ্রম করে, লোভকে ত্যাগ করে আমাদের সঠিকভাবে অর্থ উপার্জন করা উচিত।


যদি মৃত্যুর আসল অর্থ কেউ সত্যিই জানতে পারে, তা হলে মৃত্যুকে সে আর ভয় পাবে না।

আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের বীজ বপন করুন, সেটিকে সঠিক আবহাওয়ার মধ্যেই প্রস্তুত করা প্রয়োজন। যদি আপনি ধ্যানপূর্বক সেটির অবস্থানকে লক্ষ্য করেন তাহলে আপনি এটা জানতে পারবেন যে, বীজের গুনই সেটিকে উপরে নিয়ে আসে

তোমার হাজারও চোখ আছে তবুও একটি চোখও নেই, তোমারর হাজারও রূপ আছে তবুও একটি রূপও নেই।

ঈশ্বরকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পেরে উঠবে না।

১০

বন্ধুরা, আমরা কখনই মৃত্যুকে খারাপ বলতাম না যদি আমরা জানতাম যে, বাস্তবে মরে কিভাবে যাওয়া যায়।

১১

বন্ধুরা, আমরা কখনই মৃত্যুকে খারাপ বলতাম না যদি আমরা জানতাম যে, বাস্তবে মরে কিভাবে যাওয়া যায়।

১২

যদি কেউ সত্যি আপনাকে ভালবাসে, জানবেন আপনি ঈশ্বরের সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন।

১৩

না আমি পুরুষ, না আমি মহিলা বা না আমি নপুংসক। আমি কেবল একজন শান্তির বাহক যার মধ্যে অপার আত্মবিশ্বাস, সাহস এবং অনন্ত জ্যোতি বিরাজমান।

১৪

মাংস খাওয়া উচিত নাকি সবজি, এসব নিয়ে মূর্খেরা তর্ক করে! কোনটি মাংস এবং কোনটি সবজি, সেটি কে ঠিক করে দিয়েছে? আর কোনটি খেলে পাপ হবে, সেটাই বা আসলে কে জানে!

১৫

ঈশ্বর সর্বত্র বিদ্যমান আছেন, আমাদের সকলের পিতা একমাত্র তিনিই। এইজন্য আমাদের সবার সাথে প্রেমপূর্বক থাকা উচিত।

১৬

তোমাকে ঈশ্বর যে ধনসম্পত্তি দিয়েছেন, তা যদি তুমি শুধু নিজের বলেই আগলে রাখো, তা হলে তা একটি শবের চেয়েও পূতিগন্ধময়। কিন্তু যদি তা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নাও, তা হলে তা পবিত্র প্রসাদের চেয়েও বেশি পুণ্য বলে ধরা হবে।

১৭

ধনকে পকেটেই স্থান দেওয়া দরকার, নিজের হৃদয়ে নয়।

১৮

শুধুমাত্র সেটাই বলুন, যেই শব্দগুলি আপনাকে সম্মানিত করে।

১৯

নিজের উপার্জনের দশ ভাগের একভাগ পরের উপকারের জন্য এবং নিজের সময়ের দশ ভাগের একভাগ প্রভুর কীর্তন অথবা ঈশ্বর ভক্তিতে আমাদের দেওয়া দরকার।

২০

যেইসব মানুষ; যাদের মধ্যে ভালোবাসা আছে, তারা সেইসব মানুষদের মধ্যে একজন যারা ঈশ্বরকে খুঁজে পেয়েছেন।

২১

ধন-সমৃদ্ধিসম্পন্ন বড় বড় রাজ্যের রাজা মহারাজা-রো তুলোনা ওই ছোট পিপড়ের সাথে করা যায়না, যার মধ্যে ঈশ্বরের প্রেম ভরে আছে।

২২

ঈশ্বরের জন্য খুশির গান গাও, প্রভুর নামের সেবা করো এবং তাঁর সেবকের সেবক হয়ে যাও।

২৩

এই পৃথিবী একটি নাট্টমঞ্চ, যেটিকে একটি স্বপ্নের মাধ্যমে উপস্থাপিত করা হয়।

২৪

ভগবান এক কিন্তু তাঁর রূপ বিভিন্ন। সে সবারই নির্মান করেন এবং নিজেও মানুষরূপে জন্মগ্রহণ করেন।

২৫

প্রবঞ্চনা কোরো না। মানুষের ওপর অত্যাচার কোরো না। সৎ হও, পরিশ্রমী হও, ঈশ্বর নিশ্চয়ই তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।

২৬

শান্তিতে নিজের ঘরে নিজের বিচার করুন, তাহলে আপনাকে মৃত্যুর দূতও ছুঁতে পারবেনা।

২৭

পার্থিব ভালবাসাকে পোড়ান, নিজের ছাইকে ঘষুন এবং সেটার কালি বানান, নিজের হৃদয়কে কলম তৈরি করুন, নিজের বুদ্ধিকে লেখক বানান এবং সেটিই লিখুন যার কোনোও শেষ নেই আর যার কোনো সীমা নেই।

২৮

কেউ তাঁকে (ঈশ্বর) তর্কের মাধ্যমে কখনই বুঝতে পারবেন না, এমনকি সে যদি যুগ যুগ ধরেও তর্ক করতে থাকে।

২৯

যার নিজের উপর বিশ্বাস নেই, সে কখনই ভগবানের উপর বিশ্বাস করবেনা।

৩০

অহংকার মানুষকে মানুষের মত থাকতে দেয়না, তাই আমাদের অহংকার কখনই করা উচিত নয়। বিনম্রভাবে, সেবা করার ভাবনার দ্বারা আমাদের জীবন অতিবাহিত করা উচিত।

Leave a Reply