হেনড্রিক ইয়ুহানেস ক্রুইফ (এপ্রিল ২৫, ১৯৪৭ – মার্চ ২৪ ২০১৬) আমস্টারডামে জন্মগ্রহণকারী ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ। তিনি ইয়ুহান ক্রুইফ নামে সমধিক পরিচিত। ১৯৭১,১৯৭৩ এবং ১৯৭৪ সালে সর্বমোট তিনবার তিনি ইউরোপ সেরা ফুটবলার ব্যালন ডি’অর এ ভূষিত হন । রাইনাস মিশেলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি টোটাল ফুটবল দর্শনের সূচনা করেন।সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় তার নামটি বহুলভাবে উচ্চারিত হয়।
১
ফুটবল ভুলের খেলা— যে সবচেয়ে কম ভুল করে, জয় তারই হয়।
২
মেসি হবে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যালন ডি’অর জেতা খেলোয়াড় — পাঁচ, ছয় কিংবা সাতটি পুরস্কার অর্জন করতে পারেন। তার তুলনা নেই। তিনি অন্য একটি স্তরের খেলোয়াড়।
৩
মাঠে ফুটবল খেলা একটি শিল্পকর্ম যা দর্শকের মন জয় করে নেয়।
— জোহান ক্রুইফ
৪
আজকাল ফুটবল মানেই যেন শুধু টাকার খেলা। খেলাটার ভেতরের মূল্যবোধগুলোতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা দুঃখজনক, কারণ ফুটবল পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর খেলা। আমরা এটি রাস্তায় খেলতে পারি, যেকোনো জায়গায় খেলতে পারি।
৫
আমি ধার্মিক নই। স্পেনে মাঠে নামার আগে সব খেলোয়াড়ই ক্রস চিহ্ন করে। যদি এটা সত্যিই কাজ করত, তাহলে প্রতিটি ম্যাচই ড্র হতো।
৬
ফুটবলের সবকিছু জীবনের মতোই। আপনাকে দেখতে হবে, আপনাকে ভাবতে হবে, আপনাকে সামনে এগোতে হবে, আপনার জায়গা খুঁজে বের করতে হবে, আপনাকে অন্যদের সাহায্য করতে হবে। এটাই জীবন এবং ফুটবলের মূলমন্ত্র।
৭
প্রতিটি অসুবিধার মাঝে লুকিয়ে থাকে একটি সুবিধা।
৮
গোল করার জন্য শট দিতে হয়, শট না দিলে গোল অসম্ভব।
৯
ইতালিরা আমাদের হারাতে পারে না, কিন্তু আমরা অবশ্যই তাদের কাছে হারতে পারি।
১০
জয় গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু নিজের একটা স্টাইল থাকা, মানুষ যখন তোমাকে অনুকরণ করে, শ্রদ্ধা করে — সেটাই সবচেয়ে বড় উপহার।
১১
সম্ভাবনা তো যুক্তিসঙ্গত।
১২
জিততে হলে প্রতিপক্ষের থেকে একটি বেশি গোল করতে হয়।
১৩
আমার দলে আক্রমন শুরু করে গোলকিপার, আর স্টাইকার হল প্রথম ডিফেন্ডার।
১৪
মেসিকে দেখলে হাসি পায়। একজন অসাধারণ ফুটবলারের মধ্যে আজও থাকে শিশুসুলভ মাধুর্য। বিশ্ববিখ্যাত হলেও বাচ্চাদের মতো নিষ্পাপ। তিনি শুধু খেলায় মগ্ন।
১৫
ফুটবলকে সবসময় আকর্ষণীয় হতে হবে — এটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে হয়, এটা হওয়া উচিত এক ধরনের প্রদর্শনী।
১৬
অযোগ্য নেতারাই কেবল টিমমেটরা ভুল করলে তাদের উপর একহাত নেয়। সত্যিকারের নেতারা ধরেই নেয়, সতীর্থরা ভুল করবে।
১৭
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সমর্থকেরা। তারা যেন খুশি মনে ঘরে ফিরতে পারে — সেটাই আসল বিষয়। এটা তাদের অবসর সময়, আর আমাদের উচিত তাদের কিছু আনন্দ দেওয়ার মতো কিছু উপহার দেওয়া।
১৮
আমরা কেন ধনী একটা ক্লাবকে হারাতে পারবো না? আমি কখনও একটা টাকার বস্তাকে গোল করতে দেখি নি।
১৯
আমি আজকের খেলোয়াড়দের চেয়ে ছয় গুণ ভালো ছিলাম।
২০
ফুটবল খেলা খুব সহজ, কিন্তু সহজ ফুটবল খেলা সবচেয়ে কঠিন।
২১
গতি আসলে কি? মিডিয়া অনেক সময়েই চতুরতা আর গতিকে মিশিয়ে ফেলে। তুমি যদি বিপক্ষের চেয়ে খানিকটা আগে দৌড়োতে শুরু কর, তোমাকে গতিময় মনে হবে।
২২
নিশ্চিত করতে হবে, বিপক্ষের সবচেয়ে বাজে খেলোয়াড় যাতে সবচেয়ে বেশি বল পায়, তুমি খুব সহজেই বল ফেরত পাবে।
২৩
১০০০ বার বল জাগল করাটা স্কিল না, প্র্যাকটিস করলে যে কেউ করতে পারবে, তারপর সার্কাসেও কাজ করতে পারবে। আসল স্কিল হল এক টাচে বলটা পাস করা, আর টিমমেটের ডান পায়ে ফেলা।
২৪
আমার অবাক লাগে, যখন স্ট্যাটস দিয়ে প্রতিভাদের বাতিল করে দেয়া হয়। স্ট্যাটস দেখলে আমিও বাদ পড়ে যেতাম। আমার বয়স যখন ১৫, আমি ডানপায়ে ২০ মিটার আর বাম পায়ে ১৫ মিটারের বেশি দুরে বল পাঠাতে পারতাম না। আমার কোয়ালিটি ছিল স্কিল আর ভিশন, কোন কম্পিউটারের সেটা ধরার ক্ষমতা নেই।
২৫
দুঃখের বিষয়, তারা খুব নোংরা খেলেছে। এই কুৎসিত, অশ্লীল, কঠিন, হারমেটিক, কঠিনভাবে চোখ ধাঁধানো, খুবই কম ফুটবল ধরণ… এর সাথে যদি তারা তৃপ্তি পায়, ভাল, কিন্তু তারা হেরে যায়।
২৬
৯০ মিনিটের খেলায় একজন প্লেয়ারের কাছে বল থাকে ৩ মিনিট, তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, বাকি ৮৭ মিনিটের খেলা, যখন তোমার কাছে বল নেই। তুমি ভাল খেলোয়াড় কিনা, এই সময়টুকুই সেটা ঠিক করে দেয়।
২৭
৪-৫-১? কখনই না। বার্সেলোনায় [ফ্রাঙ্ক] রিজকার্ডের মতো একজন খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার হিসেবে এটা আমার জন্য সবসময় ৪-৩-৩ ছিল। ৪-৩-৩ এর সাথে সামনের দিকে সংমিশ্রণ তৈরি করা অনেক সহজ। শুধু একজন ফরোয়ার্ড দিয়ে তিনি কার কাছে যাবেন? তিনি কার সাথে সমন্বয় করতে যাচ্ছেন? ফুটবল হল সম্ভাব্য সেরা আক্রমণাত্মক খেলা। আমি সবসময় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে পছন্দ করি এবং অন্যথায় কেউ আমাকে বোঝাবে না।
২৮
প্রত্যেক প্রশিক্ষক নড়াচড়ার কথা বলেন, অনেক দৌড়ানোর কথা বলেন। আমি বলি এত দৌড়িও না। ফুটবল এমন একটি খেলা যা আপনি আপনার মস্তিষ্ক দিয়ে খেলেন। আপনাকে সঠিক মুহূর্তে সঠিক জায়গায় থাকতে হবে, খুব তাড়াতাড়ি নয়, খুব দেরি নয়।
২৯
ব্রিটেনের প্রধান সমস্যা হল অনেক বেশি প্রতিযোগিতা এবং অনেক বেশি খেলা। ইউরোপের জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া বা নতুন ধারণা চালু করার সময় নেই কারণ ঘরোয়া ফুটবলে খুব বেশি জোর দেওয়া হয়।
৩০
কখনও কখনও কিছু একটা ঘটতেই হয়, তারপরই অন্য কিছু ঘটতে পারে।
