You are currently viewing অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী উক্তি : ২০ বাছাই করা উক্তি ও লাইন

অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী উক্তি : ২০ বাছাই করা উক্তি ও লাইন

আহফদ ছফা স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক ও ঔপন্যাসিক এবং বুদ্ধিজীবী।অর্ধেক নারী ও ঈশ্বরী বইটি আহমদ ছফার যদ্যপি আমার গুরু ও গাভী বৃত্তান্তের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় বই। আহমদ ছফার আত্মজৈবনিক উপন্যাস হচ্ছে ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী। ব্যক্তিগত জীবনে লেখক আহমদ ছফা অবিবাহিত হলেও বেশ কিছু নারীর সাথে তাঁর প্রণয়সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেইসব সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই তিনি এই উপন্যাসের কাহিনী দাঁড় করিয়েছেন। অনেক সাহিত্যিকের মতে, মীর মোশাররফ হোসেন এবং কাজী নজরুল ইসলামের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান লেখক হলেন ছফা।

জীবন শিল্প নয়,কবিতা নয়। জীবনে যা ঘটে শিল্প ও কবিতায় তা ঘটে না।জীবন জিবন ই।জীবনের সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলে না এবং জীবন ভয়ানক নিষ্ঠুর।সমস্ত প্রতিশ্রুতি , সমস্ত প্রতিজ্ঞা, সমস্ত স্বপ্ন দুঃস্বপ্নের ওপারে জীবনের লীলাখেলা।

বিপ্লব সফল করতে হলে সৌন্দর্য,শক্তি, অর্থ,মেধা,কৌশল সবকিছু একযোগে কাজে লাগাতে হবে।

সুন্দর জিনিশের আলাদা একটা মন হরণ করার ক্ষমতা থাকে।

 

তুমি আমার কাছে অর্ধেক আনন্দ, অর্ধেক বেধনা। অর্ধেক কষ্ট, অর্ধেক সুখ। অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী।

জিবনকে যদি অতীতমুক্ত না করি, তবে বর্তমানকে ধারণ করবো কোথায়?

যে কাহিনীর মূলে সত্যের স্পর্শ নেই সে কাহিনী মূল্যহীন।

দরিদ্রের অক্ষমতাকে কেউ যখন অবজ্ঞা করে, সেটা হাজার গুণ নিষ্ঠুর হয় বাজে।

কোন বিজয়ই নিরবচ্ছিন্ন বিজয় নয়। তার আরেকটি দিকও রয়েছে। সব বিজয়ের পেছনে একটি পরাজয় লুকিয়ে থাকে।

কোন রূপবতীর নামের সাথে যদি হৃদয়ঘটিত অপবাদ যুক্ত হয় তখন তার সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়।

১০

সাধ আর সাধ্য এক জিনিষ নয়।

১১

অনেক সময় মানুষ সত্য প্রকাশের ছলে নিজের মনের প্রচ্ছন্ন ঈর্ষা প্রকাশ করে।

১২

যেই দেশটিতে গিয়ে আমাদের ব্রিলিয়ান্ট তরুণেরা হোটেল বেয়ারা কিংবা ড্রাইভারের চাকরি পেলে জীবন স্বার্থক মনে করে, আমাদের অভিজাত এলাকার অত্যন্ত স্পর্শকাতর অপরূপ তরুণীরা শিশু পাহারার কাজ পেলে মনে করে আহ কি সৌভাগ্য! যেই দেশটিতে যাওয়া হয়নি বলেই সমস্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ এই নশ্বর জিবনে স্বর্গ দেখা হবে না বলে আফসোস করে, শামারোখ জমিরুদ্দিনকে নিয়ে সেই স্বপ্নের দেশ আমেরিকার কোথায় হারিয়ে গেছে, কে বলতে পারে?

১৩

জ্বলন্ত আগুনে যে পোকারা ঝাঁপ দিয়ে মরে তাতে কি আগুনের অপরাধ আছে? কারণ পোকাদের ভাগ্যই আগুনে পুড়ে মরা।

১৪

অজগরের শ্বাসের মধ্যে কোনো প্রাণী যখন পড়ে যায় এবং আস্তে আস্তে চরম সর্বনাশের দিকে ছুটতে থাকে, আমার রক্তের মধ্যেও সর্বনাশের সেরকম নেধাই এখন কাজ করতে আরম্ভ করেছে।

১৫

যারা তার ওপর হামলা করত দুরদানা তাদের কোনো ক্ষতি করে নি। যারা তার নামে নানা রকম অশ্লীল গল্প রটিয়ে বেড়াতো, তাদের যৌন-যন্ত্রটা আসল জায়গার বদলে মগজের গভীর প্রদেশে অবস্থান করত বলে এমন সুন্দর কাহিনী তারা অনায়াসে রচনা করতে পারত।

১৬

লোকে তার নিন্দে করত, কারণ সে ছিল একান্তভাবে সুস্থ এবং স্বাভাবিক।

১৭

অতীত এসে আগামীর পথ রোধ করে দাঁড়ায়।

১৮

নারী আসলে যা, তার বদলে যখন সে অন্যকিছুর প্রতিক হয়ে দাঁড়ায়, তখন তার আকর্ষন করার শক্তি হাজার গুন বেড়ে যায়।

১৯

কুকুর মানুষ কামড়ালে সংবাদ হয় না,মানুষ যখন কুকুরকে কামড়ায় সেটাই সংবাদের বিষয়বস্তু হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

২০

ঢাকা শহরে কবির সংখ্যা কাকের সংখ্যার চাইতে কম নয়।

২১

আমরা এক আজব সময়ে বসবাস করছি,নিজের স্বার্থের প্রশ্ন না থাকলে কেউ কারো জন্য সামান্য বাক্য ব্যয় করতেও কুণ্ঠিত হয়।

২২

কাদায় আটকানো হাতি যেমন ডাঙায় উঠার জন্য সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করে, আমিও সেরকম স্মৃতির জলাভূমি থেকে ছুটে বেরিয়ে আমার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।

২৩

সবকিছুকে বাদ দিয়ে মন নিয়ে টানাটানি করলে যে জিনিশটি বেরিয়ে আসে,সেটা শূন্য।

২৪

নিজের স্বার্থের প্রশ্ন না থাকলে কেউ কারো জন্য সামান্য বাক্য ব্যয় করতেও কুণ্ঠিত হয়।

 

২৫

আমার ঘরের অবস্থা যতো করুণই হোক না কেনো আমি ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারবো না। যা আমার নয়, আমার বলে প্রদর্শন করতে পারবো না।

 

২৬

আমরা তো মাটির পৃথিবীতে বাস করি। নিতান্ত অনিচ্ছায় হলেও দৈনন্দিন কিছু প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়। এটা-সেটা কতো কিছু করতে হয়। মানুষের সমাজে মানুষের মতো বাস করতে হলে কতো দায়-উপরোধ রক্ষা আর কর্তব্য-কর্ম করে যেতে হয়।

 

২৬

মানুষের যতো রকম ব্যাধি আছে তার অর্ধেক সামাজিক ব্যাধি। বিপ্লবী কর্মকাণ্ড হলো এ ধরনের রোগ-ব্যাধি নিরাময়ের মোক্ষম ঔষধ।

২৭

মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন রাজা হওয়ার প্রস্তাবও অবহেলায় প্রত্যাখ্যান করতে হয়।

২৮

অতিরিক্ত পরিশ্রম, অতিরিক্ত দুঃখ প্রকাশের মতো অতিরিক্ত আনন্দও মানুষকে ক্লান্ত করে ফেলে।

২৯

একমাত্র সুন্দরের বাতাবরণের মধ্য দিয়ে মিথ্যেকে সত্যে রূপান্তরিত করা যায়।

৩০

এতোকাল স্মৃতি নিয়েই বেঁচে ছিলাম। তোমার স্পর্শে আমার সমস্ত সত্তা জেগে উঠেছে। কাদায় আটকানো হাতি যেমন ডাঙায় ওঠার জন্য সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করে, আমিও সেরকম স্মৃতির জলাভূমি থেকে ছুটে বেড়িয়ে আসার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি প্রাণপন। কাজটা সহজ নয় সোহিনী। একজন মানুষের শরীরে একটা হাত কিংবা পা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে অবশ হয়ে গেলে মানুষ যেমন স্বেচ্ছায় আপন হাতে সে অঙ্গটি কেটে বাদ দিতে পারে না, সে রকমই অতীতকে বর্তমানে টেনে তুলে তার জীর্ণ অংশ ছেঁটে ফেলাও একরকম অসম্ভব।