শেখ হাসিনা ওয়াজেদ যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল এবং পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। বিশ বছরেরও বেশিসময় সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করার পর, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন এবং অসহযোগ আন্দোলনের ফলে ঘটিত ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পলায়ন এর মধ্যদিয়ে তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনকালের অবসান ঘটে। ১৯৮১ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এই ব্লগে শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময় বলা কিছু কথার সংকলন থাকছে এই পোস্টে।
১
আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু। তাই ধর্মীয় অনুশাসনের ক্ষেত্র যথেষ্ট বিস্তৃত। নারী সমাজকে মূল ধর্মীয় চিন্তা-চেতনার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয় না। বরং ধর্মকে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়।
২
মানুষের ওপর বিশ্বাস হারাতে চাই না। সততা ও জনগণের ওপর বিশ্বাসই আমার রাজনীতির একমাত্র ভরসা। আমি সব সময় বিশ্বাস করি আল্লাহ পরীক্ষা নেন এবং সৎ মানুষের সাথে থাকেন। তাই আমরা জোর করে বলতে পারি, সত্যের জয় হবেই।
৩
নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েচে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। তাঁর মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।
৪
আমার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনায় একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে কেউ দারিদ্র্যের অভিশাপে দুর্ভোগ পোহাবে না, সেখানে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে। অন্য কথায়, তারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, উন্নত ও মানসম্মত জীবন পাওয়ার সুযোগ পাবে।
৫
জাতির পিতার বাণী- ‘সবার প্রতি বন্দুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি।
(সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে প্রদত্ত ভাষণ, রাশিয়ান ফেডারেশন, ২৪ নভেম্বর ২০১০)
৬
প্রচলিত সর্বজনীন মূল্যবোধ, আইন ও অধিকার-বিরুদ্ধ কর্মকান্ড যখন সংঘটিত হয় তখনই অবিচার হয়। যে-পারিপার্শ্বিক অবস্থায় ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং জাতিগোষ্ঠীর অবদমন, নিগ্রহণ ও নিপীড়ন ঘটে সেখানেই অবিচার বিস্তার লাভ করে। বস্তুত যত বেশি অবিচার হবে তত বেশি সহিংসতার পরিস্থিতি তৈরি হবে।
(আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ‘গ্লোবাল পীস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রদত্ত ভাষণ, লন্ডন, ২৭ জানুয়ারি ২০১১)
৭
একজন নারী হিসেবে স্বভাবতই নারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার ব্যপারে আমার পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি একজন সুস্থ নারীই একটি সুস্থ শিশুকে জন্ম দিতে এবং সঠিকভাবে লালন পালন করতে পারেন, যা মূলত একটি সুস্থ জাতি গড়ে ওঠার পেছনে অবদান রাখে।
(২০১১ সালের ১৭ মে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ সমাবেশের ৬৪তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণ থেকে)
৮
শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জনগণের ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। ন্যায়বিচার হচ্ছে এর ভিত্তি।
(২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা।)
৯
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একটি জাতি কখনোই সত্যিকার উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা দেশের সমস্ত জনগোষ্টীর অর্ধেক-নারীদেরকে, বৈষম্যহীনভাবে পুরুষের সাথে এক কাতারে দাড়ানোর সুযোগ করে দিতে পারে।
(২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া বক্তৃতা থেকে)
১০
সরকারের জনসেবা প্রদানে নিয়োজিত সকল সদস্যই ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ হিসেবে বেবেচিত। আর পাবলিক সার্ভিসের মূলমন্ত্র হলো নাগরিকের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া। আপনারা জনগণের সেবক। আপনারা যে যেখানেই কাজ করবেন, আপনাদের সামনে থাকবে শুধু বাংলাদেশ এবং এ দেশের মানুষ।
(জনপ্রশাসন পদক ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণ, ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০১৬)
১১
নারীমুক্তির প্রধান বাঁধা যদি হয় পুরুষ, তবে নারীমুক্তির পথপ্রদর্শকও পুরুষ। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে নারী এবং পুরুষের সমান অবদান।
(২০১৬ সালের ৮ মার্চ ঢাকায় ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভাষণ থেকে)
১২
নারীর ক্ষমতায়নে সর্বাগ্রে পুরুষ সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। একজন পিতাই পারেন তাঁর কন্যার সুশিক্ষার ব্যবস্থা করতে। একজন ভাই পারেন তাঁর বোনের চলার পথকে মসৃণ করতে, একজন স্বামীই পারেন পরিবারে এবং পরিবারের বাইরে তাঁর সহধর্মিণীর সম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে।
(২০১৬ আলের ৮ মার্চ ঢাকায় ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণ থেকে)
১৩
আমেরিকা গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে আর খুনিদেরকে আশ্রয় দেয়, প্রশ্রয় দেয়।
১৪
সব হারিয়ে আমার শুধু দেবার পালা। মানুষের জন্য করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের জন্য যে ত্যাগ করার করবো, আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত।
১৫
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থনকারী ‘শক্তিধর দেশের’ শিকার হয়েই বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিতে হয়েছে।
১৬
প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়—আমার সারা জীবনের লক্ষ্য এটা।
১৭
ন্যায় ও সত্যের পথ কঠিন পথ। এই কঠিন পথ আমি বেছে নিয়েছি।
(২৮ জানুয়ারি ১৯৯৯। শান্তিনিকেতনে এক আড়ম্বরপূর্ণ বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)
১৮
শান্তি একটি মৌলিক মানবাধিকার যাকে অর্জন, লালন, উন্নয়ন করতে হবে এবং সর্বদা ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে নিতে হবে।”
(২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)
১৯
২১ আগস্টের হামলা যারা করেছে তারা জনগণকে ভয় পায়। জনগণের দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। খুনিরা জানে না, ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়। আদর্শ ও নীতিকে হত্যা করা যায় না।
(১০ অক্টোবর ২০০৫। বিএনপি-জামাত জোটের চার বছরে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অনিয়ম, অত্যাচার, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতির উদ্দেশ্যে বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।)
২০
আওয়ামী লীগের যেকোনো সংকটে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাই বারবার দলকে টিকিয়ে রেখেছে। সে কারণেই প্রতিষ্ঠার পরের দীর্ঘ ৬০ বছরে অনেক ভাঙ্গা-গড়া, আঘাতের পর আঘাতের পরেও গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ তার সংগ্রামী অবস্থান ধরে রেখেছে।
(২৪ জুলাই ২০০৯। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।)
২১
আজ বিশ্বায়নের যুগে এককভাবে কোনো কিছু করা কষ্টকর। এর চেয়ে সহযোগিতা ও সহায়তা অনেক কিছুকে সহজ করে তুলতে পারে।
২২
বাঙালি জাতি এখন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলছে, আগামীতেও মাথা উঁচু করে চলবে, সেটাই হবে আমাদের আজকের দিনের প্রতিজ্ঞা।
২৩
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীরা যেন ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে না পারে। সেজন্য প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে।
২৪
আমি চাই বাংলার মানুষের মুক্তি। শোষণের মুক্তি। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। আজ যদি বাংলার মানুষের মুক্তি না আসে, তবে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়।
(১৭ মে ১৯৮১। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত গণ-সংবর্ধনায়।)
২৫
আজ সেই সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব এসেছে। এ দায়িত্ব শুধু আওয়ামী লীগের একার হতে পারে না। এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম আমরা সবাই মিলে যেমন এক ভয়ঙ্কর দুঃসময়ে, ঠিক তেমনি আজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃসময়ে, ঠিক তেমনি আজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করার আরেক সংগ্রামে আবার আমরা একসাথে নিঃশ্বাস নেব, এক প্রত্যয়কে অবলম্বন করব, এক লক্ষ্যে হব পথের সাথী।
(২৪ জুন ১৯৯৬। প্রথমবারের মতো সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ করে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।)
২৬
সর্বস্তরের মানুষের দুর্ভোগের একটাই কারণ। সেটা হলো হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা বদলের পালা। ষড়যন্ত্র ও হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে যেভাবে ক্ষমতা বদল হচ্ছে তারই জন্য আজকে মানুষের এই দুর্ভোগ।
(১৪ অক্টোবর ১৯৮৪। শেরে বাংলা নগরে ১৫ দল আহুত জাতীয় সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।)
২৭
মাটি আর মানুষের সাথে রাজনীতিকে একাত্ম করতে হবে। সমাজের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে পৌঁছুতে হবে। জনগণের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে সততা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।
(১ জানুয়ারি ১৯৮৭। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।)
২৮
যারা অস্ত্রের ভাষা বুঝে, তারা মুক্তির ভাষা মানে না। অস্ত্রকে সম্বল করে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা যুক্তি বুঝে না, যু্ক্তি তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
(৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭। জাতীয় সংসদে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করে ভাষণে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা।)
২৯
স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গণমুখী ও বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যম গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।
(২৫ এপ্রিল ১৯৯১। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিরোধী দল বেতার- টেলিভিশনের স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত বিল সংসদে উত্থাপন করে। জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা।)
৩০
আওয়ামী লীগের আদর্শ জনকল্যাণমুখী এক শোষণমুক্ত উন্নত সমাজব্যবস্থা কায়েম করা। আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং স্বনির্ভর অর্থনীতি।
(১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।)
৩১
গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার চেয়ে বড় কোনো ভিত্তি নেই এবং সভ্যসমাজের আইন ও বিধান ছাড়া গণতন্ত্রের কোনো নিশ্চয়তা নেই।
(১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।)
৩২
যদি আলোচিত হতে চাও, সমালোচনাকে ভয় করো না- মনে রেখো সমালোচনাও এক প্রকার আলোচনা।
৩৩
আমার কাছে ক্ষমতা মানেই হচ্ছে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা।
৩৪
অনেক রক্ত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। কাজেই এ দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর সজাগ ও সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে এই স্বাধীনতা নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
৩৫
কী পেলাম, কী পেলাম না, সে হিসাব মেলাতে আমি আসিনি। কে আমাকে রিকগনাইজ করল, করল না, সে হিসাব আমার নাই। একটাই হিসাব, এই বাংলাদেশের মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কিছু কাজ করতে পারলাম কি না, সেটাই আমার কাছে বড়।
৩৬
সমাজে অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের হার বেড়ে গেলে যেসব ব্যক্তি বা তাঁদের সন্তানেরা সৎ পথে জীবন নির্বাহ করতে চান, তাঁদের জন্য সেটা কঠিন হয়ে পড়ে। সৎভাবে চলতে গেলে একজনকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়। আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড–ওই ব্র্যান্ড, এটা-সেটা, হইচই, খুব দেখানো যায়। ফলাফলটা এই দাঁড়ায়, একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্ম্যে যাঁরা সৎ জীবন যাপন করতে চান, তাঁদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।
৩৭
বিশ্বের এই চরম সংকটময় সময়ে আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতায় সম্পদ ব্যয় না করে তা সার্বজনীন টেকসই উন্নয়ন অর্জনে ব্যবহার করার আহ্বান জানাই।
৩৮
যে জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই বাঙ্গালি হয়ে কিভাবে ঘাতকরা জাতির পিতার বুকে গুলি চালিয়েছিল।
৩৯
দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। আওয়ামী লীগ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
৪০
৮১ সালে দেশে ফিরে হাই কোর্ট ভবনে বহুবার গেছি। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। আমরা বিচার চাইতে পারিনি… আমাদের মতো যেন বিচারহীনতায় ভুগতে না হয়।