You are currently viewing মির্জা গালিবের মৃত্যু নিয়ে উক্তি : ৩০ টি  মৃত্যু নিয়ে উক্তি

মির্জা গালিবের মৃত্যু নিয়ে উক্তি : ৩০ টি মৃত্যু নিয়ে উক্তি

মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ, ডাক নাম গালিব (গালিব অর্থ সর্বোচ্চ) এবং (পূর্বের ডাক নাম) আসাদ অর্থ সিংহ (ডিসেম্বর ২৭, ১৭৯৭ — ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৮৬৯) ভারতবর্ষে মোঘল-সম্রাজ্যের শেষ ও ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকের একজন উর্দু এবং ফার্সি ভাষার কবি । সাহিত্যে তার অনন্য অবদানের জন্য তাকে দাবির-উল-মালিক ও নাজিম-উদ-দৌলা উপাধি দেওয়া হয়।

তার সময়কালে ভারতবর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য তার ঔজ্জ্বল্য হারায় এবং শেষে ১৮৫৭ সালের সিপাহীবিদ্রোহ এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশরা পুরোপুরিভাবে মোঘলদের ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করে, তিনি তার লেখায় এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন। মহাবিদ্রোহের সময়কার তার লেখা সেই দিনলিপির নাম দাস্তাম্বু। তিনি জীবনকালে বেশ কয়েকটি গজল রচনা করেছিলেন যা পরবর্তীতে বিভিন্ন জন বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন ও গেয়েছেন। তাকে মোঘল সম্রাজ্যের সর্বশেষ কবি হিসেবে ও দক্ষিণ এশিয়ায় তাকে উর্দু ভাষার সবচেয়ে প্রভাবশালী কবি বলে মনে করা হয়। আজ শুধু ভারত বা পাকিস্তানে নয় সারা বিশ্বেই গালিবের জনপ্রিয়তা রয়েছে।

পায়ের এই ফোস্কা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পথ ভর্তি কাঁটা দেখে মন খুশি হয়ে গেল।

দুনিয়ার এই ভয়ানক উজাড় মজলিসে প্রদীপের মতো আমি প্রেমের শিখাকেই আমার সর্বস্ব জ্ঞান করলাম।

যখন দেখেছি তাকে আমি অন্য কারো সাথে, তখনই বুঝেছি খোদা শিরক কেন ক্ষমা করেন না।

পৃথিবীতে পোশাকবিহীন এসেছিলে, হে গালিব! একটি কাফনের জন্য এত লম্বা সফর করলে!

আমার আত্মার অবস্থান জানতে চেও না… নীরবতাই সব বলে দেয়।

কেন বেঁচে আছো গালিব-এই প্রশ্ন অবুঝের আমার ভাগ্যে লেখা মৃত্যুর বাসনা নিয়ে আরো কিছু দিন বেঁচে থাকা

তুমিও না গালিব খুবই চমৎকার! চাওয়া, পাওয়া, সব রাখলা মানুষের কাছে, আর অভিযোগ করো খোদার কাছে।

আমি একবারই দুঃসাহস দেখাবো , যখন লোকেরা হেঁটে চলবে আর আমি (মারা যাবার পরে) লোকেদের কাঁধে চাপবো।

আমার সামনে পৃথিবীটা যেন বাচ্চাদের খেলার মাঠ, প্রতিটা রাত্রি আর দিনে কেবল তামাশাই ঘটে যাচ্ছে।

১০

পৃথিবীর যত আয়োজন সবই প্রেমের জন্য প্রেমের আকর্ষনেই আসমান চক্রকারে ঘুরছে।

১১

যিনি আমাকে হিসেব ছাড়া দেন তাকে কেনো হিসেব ছাড়া ডাকবো!

১২

মৃত্যু কেন আসে না, গালিব! আর কতদিন বেঁচে থাকার জন্য আফসোস করে যাবো! একদিন মরার জন্য, কতদিন বাঁচতে হয়।

১৩

জীবন তো এমনি কেটে যেত কেন যে পথে তোমার কথা মনে পড়লো?

১৪

তসবি রেখে গালিব বলেন, ‘যিনি আমাকে হিসেব ছাড়া দেন তাকে কেন গুনে গুনে ডাকবো?

১৫

হে জীবন, তোমার কাছে প্রচুর অভিযোগ আছে। কিন্তু, তুমি যা দিয়েছো আমাকে, বহুজনের ভাগ্যে সেটাও জোটে না।

১৬

নিজের জীবন যখন এমনই বিবর্ণ, গালিব,
কী করে যে ভাবি, একদা আমাতেই ছিল স্রষ্টার বাস?

১৭

আমি এখন সেইখানে আছি, যেখান থেকে আমি নিজের খবরই আর পাই না।

১৮

যখন দেখেছি তাকে আমি অন্য কারো সাথে, তখনই বুঝেছি খোদা শিরক কেন ক্ষমা করেন না।

১৯

কিছুই যখন ছিল না, তো খোদা ছিল।
কোনো কিছু না হলেও তো খোদা হতো।
হয়ে যাওয়াই ডুবিয়ে দিল বন্ধু আমায়,
নাই বা যদি হতাম কী ক্ষতি আর হতো?

২০

প্রেমে বাঁচা আর মরার মাঝে কোন তফাৎ নেই,
কেনো তাকে দেখেই বাঁচি? যে অবিশ্বাসীর জন্য মরলাম!